‘নায়করাজ’ রাজ্জাক এখন শঙ্কামুক্ত। শনিবার সকালে স্কয়ার হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জুবায়ের আহমেদ তার পরিবারকে এ তথ্য জানিয়েছেন। দুপুরেই তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে।
Published : 05 Apr 2014, 01:13 PM
গ্লিটজকে এ খবর জানিয়েছেন রাজ্জাকের বড় ছেলে অভিনেতা বাপ্পারাজ।
এর আগে নিউমোনিয়ার আক্রান্ত রাজ্জাককে শুক্রবার সকালে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকে তার চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন জুবায়ের আহমেদ।
বাপ্পারাজ জানিয়েছেন, নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আরও ৩ দিন রাজ্জাককে হাসপাতালে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মার্চের শেষদিকে রাজলক্ষ্মী প্রডাকশন হাউজের সিনেমা ‘কার্তুজ’ এর শুটিংয়ের জন্য রাজ্জাক রাঙামাটিতে অবস্থান করছিলেন। ঢাকায় ফিরে তিনি অসুস্থতা বোধ করেন। অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব নেন। উৎসব উপলক্ষে ২৭ মার্চ বিএফডিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি জানিয়েছিলেন, অসুস্থ হলেও তিনি চলচ্চিত্র দিবসের আয়োজনে দিনভর উপস্থিত থাকবেন।
কিন্তু ২৯ মার্চ অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ বোধ করায় তিনি বাসায় চলে যান। শুক্রবার সকালে আবার বুকে ব্যথা অনুভব হলে তাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবার।
৭২ বছর বয়সী অভিনেতা রাজ্জাক ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এর পরে আব্দুল জব্বার খানের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের ‘তেরো নাম্বার ফেকু অস্তাগড় লেন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাভিনেতা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।
এরপর তিনি ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘ময়নামতি’, ‘রংবাজ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘পীচ ঢালা পথ’, ‘বেঈমান’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘আনার কলি’, ‘নাতবউ’সহ প্রায় ৩ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৭৭ সালে ‘অনন্ত প্রেম’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র আজীবন সম্মাননা পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।