চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম ও তার ছেলে হারুন ইজাহারসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।
Published : 06 Apr 2014, 02:07 PM
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের সভাপতি ইজাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আগামী ২৮ এপ্রিল এই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রাখা হয়েছে।
এদিন ইজাহারের ছেলে মুফতি হারুনসহ অন্য আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। উচ্চ আদালত থেকে নেয়া জামিন বাতিলের পর থেকে পলাতক রয়েছেন মুফতি ইজাহার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি কামাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোযেন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩, ৪ ও ৬ ধারায় মুফতি ইজাহারসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে।
গত ২৭ মার্চ এই মামলায় উচ্চ আদালতের জামিন বাতিলের পর আদালত মুফতি ইজাহারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মামলার প্রধান আসামি মুফতি ইজাহার গত ২৮ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাদ্রাসার ডাইনিং সুপার মুনির হোসেন, শিক্ষক তাফসির আহমদ, আবদুল মান্নান, শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান, মো. জুনায়েদ, মো. ইছহাক ও আব্দুল হাই ওরফে সালমান।
গত বছরের ৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজারে জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার দারুল ইফতা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে বিস্ফোরণে আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়।
হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহার ওই মাদ্রাসার পরিচালক ও অধ্যক্ষ। তার ছেলে হারুন বিন ইজাহার ছিলেন ছাত্রাবাসের দায়িত্বে।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ প্রথমে ওই ঘটনাকে ‘ল্যাপটপ বিস্ফোরণ’ বলে চালাতে চাইলেও ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে হাতবোমা ও অ্যাসিডসহ বিস্ফোরকের মজুদ পায় পুলিশ।
এরপর পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও অ্যাসিড আইনে দুটি এবং একটি হত্যা মামলা করে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুফতি ইজাহার ও তার ছেলে মুফতি হারুন ইজাহারসহ নয়জনকে অভিযুক্ত করে বিস্ফোরক আইনের মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, দেশের পরিস্থিতি ‘অস্থিতিশীল’ করতেই মাদ্রাসায় ‘গ্রেনেড’ বানানো হচ্ছিল।