অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসাকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
Published : 08 Apr 2014, 02:26 PM
বার্ধ্ক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের সিনিয়র মিডিয়া এক্সিকিউটিভ জাহিদ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার রাত ২টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এবিএম মুসার ছেলে নাসিম মুসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার বাবার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
এবিএম মূসার চিকিৎসা চলছে অধ্যাপক বরেণ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে।
একুশে পদক পাওয়া এবিএম মূসার সাংবাদিকতায় বর্ণময় অভিজ্ঞতা রয়েছে, এ পেশায় তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকেছেন প্রায় ৬০ বছর ধরে।
১৯৩১ সালে ফেনীতে জন্ম নেয়া মূসা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ হলে সংবাদে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে আবার পাকিস্তান অবজারভারে ফিরে এসে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত প্রথমে প্রতিবেদক ও পরে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। স্বাধীনতার পর বিটিভির মহাব্যবস্থাপক ও মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
মূসা ১৯৭৮ সালে ব্যাংককে জাতিসংঘের ইকোনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের (এসকাপ) পরিচালক পদে যোগ দেন।
১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন তিনি।
২০০৪ সালে দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব নিলেও সেখানে বেশিদিন থাকেননি তিনি।
এরপর গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ল্যাবএইডের অর্থায়নে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের খোলার জন্য আবেদন করলেও তা পাননি মূসা।
এরপর কোনো সংবাদ মাধ্যমে সরাসরি সম্পৃক্ত না হলেও বিভিন্ন পত্রিকায় অসংখ্য কলাম লিখে আসছেন এবং টেলিভিশনগুলোতে বিভিন্ন আলোচনায় (টক শো) অংশ নিয়ে আসছেন।