somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বানী

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথিবীতে সুন্দর সুন্দর বানী আছে। তুমি দুঃখে আছো, তোমার জন্যে সুন্দর দুঃখের বানী আছে। তুমি সুখে আছো, তোমার জন্যে সুখের বানী আছে। তুমি সফল হয়েছো, তাও তোমার জন্যে বানী আছে। আবার ব্যর্থ হলেও আছে। তোমার যেটা মনে হয়, ব্যবহার করতে পারো সুবিধামত।

মানুষ মাত্রই নতুনের সন্ধান চায়। একটা নির্দিষ্ট পরিধির মধ্য থেকে যখন তার মাঝে একঘেয়েমি চলে আসে, তখন সে উন্মাদ হয়ে পড়ে পরিধি বহির্ভূত হতে। মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে যার অভিনয়ের অভ্যাস, সে যে মঞ্চের বাইরেও অভিনয় করবে না তার নিশ্চয়তা কই?

অভিনয় সবাই করে। কারোটা ধরা যায়, কারোটা যায় না। কেউ আবার প্রকাশ করতে চায়, কেউ চেয়েও পাড়ে না। অভিনয় করতে প্রয়োজন স্ক্রিপ্টের। সেই স্ক্রিপ্ট দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করতেই মানুষ কিছু বানী তৈরি করে রাখে। মানুষ নিজের উপর কতটুকু আধিপত্য বিস্তার করতে পাড়ে, তা জানি না। হয়তো পারে না। কিন্তু অন্যের উপর আধিপত্য বিস্তারের ক্ষমতা অনেককেই প্রকৃতি দিয়েছে। সেই ক্ষমতার একটা বড় অংশ হল বানী।

আমরা বানীর বইতে একটা কথা পড়ে চট করে বিশ্বাস করে ফেলি। প্রায়ই সেগুলি আমাদের মনে সাথে মিলে যায়। তাই বলে কখনও সেটা নয় যে, এসব বানী চিরন্তন সত্য। আর অন্ধভাবে এসব বানী অনুসরণের কারণেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিগুলি গড়ে উঠেছে অন্যের ভালো কিংবা খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে। সেটা কখনও ধনাত্মক আবার কখনও ঋণাত্মক। আমরা প্রতিনিয়তই প্রভাবিত হচ্ছি অন্যের বানী দ্বারা।

আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষই আছে, যারা সব দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করে তাদের বিশ্বাসের দেয়াল গড়ে তোলে। বেশিরভাগ মানুষেরই ধারনা, সে অনেক জানে।

পরিধিকে অতিক্রম না করে পরিধি বহির্ভূত চিন্তাভাবনা যেমন হাস্যকর, তেমনি একটা দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ রেখেও সবদিক বিবেচনা করা যায় না। এমন হলে তো মানুষ এত বানীর বই পড়তো না। একেক লেখক একেক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে লিখে। তারাও তো মানুষ। তাই তাদের লিখা বানীগুলির সাথে মাঝে মাঝে মানুষের মনের ব্যাপারগুলিও মিলে যায়। তাতে মানুষ খুব অবাক হয়।

মানুষকে অবাক করাটা খুব কঠিন কোন ব্যাপার না। কোন মানুষকে একবার অবাক করে দিয়ে তার মধ্যে বিশ্বাসের খুঁটি স্থাপন করতে পারলে দেয়াল গড়াটা খুব কঠিন না। ইটের পর ইট বসিয়ে দেয়াল গড়াটা তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

পৃথিবীতে কোন বানীই শাশ্বত নয়, ধর্মীও ব্যাপারগুলি বাদ দিয়ে। কেননা ধর্মের আগমন পৃথিবীকে গড়তে, পৃথিবীর ধর্মকে নয়।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×