রেমিটেন্স বাড়ার পাশাপাশি আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন ২ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছেছে।
Published : 10 Apr 2014, 04:32 PM
এই প্রথম বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাল। বৃহস্পতিবার দিন শেষে এর পরিমাণ ২০ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজী হাসান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিদেশ থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে। বেড়েছে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও।
“এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের মূল্য কমে যাওয়ায় আমদানি ব্যয় কমেছে। এসব কারণে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রিজার্ভের দিক থেকে সার্ক দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।
ভারতের রিজার্ভ স্থিতি ৩০৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার এবং তৃতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের রিজার্ভ স্থিতি ৯ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার।
এক প্রশ্নের জবাবে রাজি হাসান বলেন, “এই বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ সম্ভব। সরকার চাইলে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করা যাবে।”
গত বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলার। তখনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা অচিরেই রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের আশা প্রকাশ করেছিলেন।
এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল এর পরিমাণ ছিল ১৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। এক বছরে রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৪১ শতাংশ বেড়েছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। পরে ৫ মার্চ আকুর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের ৯৬ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর তা ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছিল।
রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স বাড়ায় ১৯ মার্চ রিজার্ভ আবারো ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, সদ্য শেষ হওয়া মার্চ মাসে ১২৭ কোটি ৩৩ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা এ যাবৎকালে দেশে আসা তৃতীয় সর্বোচ্চ।
ডেপুটি গভর্নর বলেন, বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ দিয়ে ৬ মাসেরও বেশি সময়ের আমদানি দায় পরিশোধ করা সম্ভব।
“বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। রপ্তানি আয় বাড়ছে। প্রবাসী আয়েও সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।