হিন্দুদের দেশত্যাগ ঠেকানো না গেলে বাংলাদেশ মহাসংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন সরকার দলীয় সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
Published : 10 Apr 2014, 06:43 PM
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে গণমাধ্যমের খবরকে উদ্ধৃত করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কোনো বিচার হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জানিয়ে দেয়া বক্তব্যে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “হিন্দুরা নীরবে নিভৃতে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। নাহলে মহাসংকটে পরিণত হবে।”
আদমশুমারির বরাত দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ১৯৭৪ সালে মোট জনসংখ্যার ১৩ দশমিক পাঁচ ভাগ হিন্দু ছিল। ১৯৮১ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ১২ দশমিক এক ভাগে এবং ২০০১ সালে তা আট দশমিক পাঁচ ভাগে নেমেছে।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার এবং সম্পত্তি দখলের একটি ঘটনারও বিচার হয়নি।”
দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, “এই সরকারকে কাজ করতে দিতে হবে। সংবিধানসম্মতভাবে সরকারকে কাজ করতে দিতে হবে।
“প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রী ও কর্মচারীদের মধ্যে সদ্ভাব থাকতে হবে”, যোগ করেন সুরঞ্জিত।
‘জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’- তারেক রহমানের এই দুটি বক্তব্যের পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে বলে মনে করেন তিনি।
“বিষয়টি আমার কাছে অতো সহজ মনে হচ্ছে না। শুধু রাজনৈতিক আস্ফালন মনে হচ্ছে না। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। অনেকে আছেন, যারা আইন ব্যবসা করেন- তারাও সমর্থন করছেন।”
তারেক রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সরকার দলীয় এই সাংসদ।
সরকারের নীতিনির্ধারকদের উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত বলেন, “স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে চান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পেনাল কোর্টে মামলা করতে হবে।”
খালেদা জিয়া অশিক্ষিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, “যারা স্বাধীনতার ইতিহাসকে অস্বীকার করে, তাদের বাংলাদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই।”