বঙ্গবন্ধুকে ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলার পরও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় নিজের লজ্জাবোধের কথা জানালেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
Published : 11 Apr 2014, 01:41 PM
তারেকের বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশকে আইনসিদ্ধ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার রাজধানীর গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ভারতের কোন পত্রিকায় দাউদ ইব্রাহিমের খবর প্রকাশিত হয় না। কিন্তু আপনারা ফেরারি আসামি তারেক রহমানের বক্তব্য যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেন। যে ভাবে তার বক্তব্য প্রকাশিত হয় তা আইনসিদ্ধ নয়।”
“তবে এখন যদি আমাকে আপনারা প্রশ্ন করেন, মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য হিসেবে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না- এর জবাবে বলব ‘আমি লজ্জিত। আমি লজ্জাবোধ করি, কেন একজন ফেরারি আসামির বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না’।”
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান গত ০৮ এপ্রিল লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ’অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’।
এর আগে ২৫ মার্চ লন্ডনের এক হোটেলে জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন তারেক।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি তারেক ২০০৮ সাল থেকে ইংল্যান্ডে অবস্থান করছেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, “অনেকেই বলছেন তারেক রহমান পাগল ও বালক। কিন্তু আমি বলব সে পাগল নয়, বরং তার এই বক্তব্য সম্পুর্ণ পরিকল্পিত। ২০১৩ এর শেষার্ধে বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করেছিল। এখন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার জন্য তথ্য ও বাক সন্ত্রাস শুরু করেছে।”
বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় পাড়ি দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এভাবে চলতে দিলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের সামনে ঘোর অন্ধকার নেমে আসবে। এখনই সময় এই বাক সন্ত্রাস বন্ধ করার, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়ার।”
“আমি তথ্য মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানাই, এই তথ্য ও বাক সন্ত্রাস এবং মিথ্যাচার খতিয়ে দেখে অবিলম্বে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হোক।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, কৃষক লীগের সহসভাপতি এম এ করিম ও জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।