ব্রাজিল দলের গোল রক্ষকের পজিশনটা সামলাবেন জুলিয়াস সিজার, একটু বয়স্ক কিন্তু সেরা সময়টাকে একটু আগেই পেছনে ফেলে এসেছেন। কিন্তু ব্রাজিলের ডিফেন্স আর কনফেডারেশন কাপের ফাইনালের কিছু সেভের দিকে তাকালে দেখা যাবে সিজারের উপর ভরসা করা খারাপ হবে না।
ডিফেন্সের কথা কিই বা বলবো, ক্যাপ্টেন থিয়াগো সিলভা এখন বিশ্বের সেরা ২জন সেন্ট্রাল ব্যাকের একজন, আর অপর সেন্ট্রাল ব্যাক হিসেবে মাঠে নামার জন্য লড়াই করবেন চেলসির ডেভিড লুইজ আর বায়ার্ন মিউনিখের ডানটে, ক্লাব দলে যারা নিয়মিতই দলের মূল একদশে খেলে থাকেন। রাইট ব্যাক হিসেবে খেলবেন বার্সেলোনার ড্যানিয়েল আলভেস, আর লেফটব্যাক রিয়াল মাদ্রিদের মারসেলো, ডিফেন্স সামলানোর পাশাপাশি অ্যাটাকে যেতে যাদের জুড়ি নেই। এই সলিড ব্যাক ফোরকে পার করে গোল দেয়া যেকোন দলের জন্যই হবে চ্যালেঞ্জ।
মিডফিল্ডের ডিফেন্সিভ জোনে আছেন টনেটহামে খেলা পৌলিনহো, জার্মান লীগে খেলা লুইস গুস্তাভো, চেলসির রামিরেস, ম্যান সিটিতে খেলা ফারনানদিনহো, বাতিলের তালিকায় ফেলা যাবে না রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ সেনসেশান ক্যাসিমেরোকেও।
অ্যাটাকিং মিডফিল্ডের মধ্যমণি হবেন চেলসির অস্কার। যেখানে তাকে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে জ্যাডসন, বারনাড আর পিএসজি তারকা লুকাস এর কাছ থেকে।
লেফট উইংটা বার্সেলোনা তারকা আর ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের এবারের আশা ভরসার প্রতীক নেইমারের। ডান উইংটা জেনিথ সেন্ট পিটারসবারগের হাল্কের দখলে থাকার কথা, যদিও এই জায়গায় বদলী হিসেবে মাঝে মধ্যেই নামেন বারনারড আর লুকাস।
ব্রাজিলের এই টিমের একটাই দুর্বলতা সেটা হলো দুর্ধর্ষ একজন স্ট্রাইকার না থাকা। যদিও ফ্রেড এইটুকু প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন যে তার উপরে অর্পিত দায়িত্ব যথা সম্ভব পালন করার আপ্রাণ চেষ্টা তিনি করবেন।
নিজের মাঠে বিশ্বকাপ, দর্শকদের সমর্থন আর প্রত্যাশার চাপ এই দুইকে সঙ্গী করেই খেলে যেতে হবে ব্রাজিলকে। লুই ফিলিপ স্কোলারির শীষ্যরা কি পারবে ২০০২ এর পরে এবারে ঘরের মাঠে শিরোপা জিততে, আর জোগো বানিতোর সাম্বার তালে বিশ্ব মাতাতে। গ্যালারীতে চলবে সাম্বা নিত্য আর মাঠে জোগো বানিতো। এর চেয়ে দৃষ্টিনন্দন আর কিই বা হতে পারে ফুটবলে?