somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেই বৈশাখ, এই বৈশাখ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বৈশাখ মানেই বাঙালী। বাঙালীর চিরায়ত সংস্কৃতি মানেই পহেলা বৈশাখ। একথা আমরা কেউ অস্বীকার করতে পারব না। আমরা অস্বীকার করতে পারবনা যে বৈশাখ মানেই একরাশ হতাশা আর ব্যর্থতার পাহাড় ডিঙিয়ে প্রাণের উচ্ছাসে বাঙালীর ভেসে যাওয়া। তাই তো গ্রাম থেকে শহর-প্রান্তরের প্রতিটি আনাচে-কানাচে বৈশাখের আগমনে প্রাণের জোয়ার জাগে বাঙালীর জীবনে।


শহর কিংবা গ্রাম যে কোন পটভূমিতে আমাদের দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে ভিন্ন মাত্রিক আঙ্গিকতা পরিলক্ষিত হলেও প্রাণের উন্মাদনা সবার জন্য এক। দিন বদলের সাথে সাথে আধুনিকতার ধরে অনেক পরিবর্তন এসেছে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপনে। তবে শহুরে সভ্যতার বর্ণিল ছোঁয়া তেমন করে গ্রাস করে নিতে পারেনি গ্রামীণ আটপৌরে জীবনের বৈশাখী আয়োজনকে। আজও আমাদের গ্রামাঞ্চলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় বিশ/তিরিশ বছর আগেকার পুরাতন গতিময়তায়।


যেভাবেই পালিত হোক না কেন, আমাদের প্রাণের উচ্ছাস আর হৃদয়ের ঝরণাধারায় বর্ণিল পয়লা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ শুরুর ইতিহাসের দিকে একটু নজর দেয়া দরকার বলে মনে করছি এ প্রসংগে। জানা যায় যে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুসারিত পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা নববর্ষ শুরু হয় মধ্য এপ্রিলে। সে হিসেবে ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ বা ১ লা বৈশাখ পালন করা হয়। বাংলা নববর্ষ বা বঙ্গাব্দ এর উৎপত্তি সম্পর্কে দুটি মতভেদ রয়েছে। কিন্তু আমরা সকলেই জানি যে, এই উপমহাদেশে তৃতীয় মোগল সম্রাট জালালউদ্দীন মুহাম্মদ আকবর প্রথম এই উপমহাদেশে বাংলা বর্ষপঞ্জি চালু করেন এবং এটিই ঐতিহাসিকভাবে গৃহীত মতভেদ। এর পেছনে তার উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের নিকট থেকে কর সংগ্রহকে সহজতর করা। এর আগে হিজরী বর্ষপঞ্জি অনুসারে কর সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু হিজরী বছরের শুরু বা শেষ যখন হতো তখন তার আগেই শস্য মাড়াই এর কাজ সম্পন্ন হয়ে যেত। ফলে অনেক কৃষকের পক্ষে কর পরিশোধ করা সম্ভব হতনা।


সম্রাট আকবরের রাজদরবারের জ্যোতিষী আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী নানারকম গবেষণা করে যে বাংলা বর্ষপঞ্জি তৈরী করেন সেটা চালু হয় ১৫৮৪ বঙ্গাব্দে। এই বর্ষপঞ্জির নাম ছিল ফসলি সান (ঋধংষর ঝধহ)। তখন ইংরেজী সন ছিল ১৫৫৬ এবং হিজরী সন ছিল ৯৬৩। এই দিনটি আরও একটি কারণে বিখ্যাত। ঐদিন সম্রাট আকবর দ্বিতীয় পাণিপথের যুদ্ধে হিমুকে পরাজিত করেন। সেই আনন্দে তিনি সামনের চৈত্র মাস পর্যন্ত কৃষকদের সমস্ত বকেয়া কর মাফ করে দেন। এরপর বৈশাখ মাসের প্রথম দিন থেকে বছরভিত্তিক করের হিসাব চালু করেন। সেই দিন থেকে বৈশাখ মাসের প্রথম দিন বাংলা নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তখন পহেলা বৈশাখের দিনে ভূমি মালিকগণ কৃষকদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করতেন, ব্যবসায়ীরা হালখাতা করে পুরানো বছরের দেনা-পাওনার হিসাব চুকিয়ে নতুন বছরের জন্য নতুন হিসাব শুরু করতেন। তখনও এই দিনটি উদযাপন করা হতো দিনব্যাপী মেলা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।


তবে বর্তমানে বাংলা বছর যে ১২টি মাস নিয়ে আবর্তিত হচ্ছে বঙ্গাব্দের সূচনালগ্নে এই ১২টি মাস কিন্তু এই নামে পরিচিত ছিলনা। তখন ১২টি বাংলা মাসের নাম ছিল যথাক্রমে কারভাডিন, আরডি, ভিহিসু, খোরদাদ, তীর, আমারদাদ, শাহরিয়ার, আবান, আযুর, ডাল, বাহাম ও ইসকানদর । কিন্তু বর্তমানে বাংলা মাসগুলো যে নামে পরিচিত সে নামগুলো কখন কিভাবে শুরু হয়েছে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হয় যে, এই মাসগুলোর নাম সৌরজগতের জ্যোতিস্ক মন্ডলীর নাম অনুসারে করা হয়েছে। যেমন ঃ

১. বৈশাখ এসেছে বিশাখা থেকে
২. জৈষ্ঠ্য এসেছে জাইষ্ঠ্যা থেকে
৩. আষাঢ় এসেছে ষাঢ় থেকে
৪. শ্রাবণ এসেছে শ্রাবণী থেকে
৫. ভাদ্র এসেছে ভাদ্রপদা থেকে
৬. আশ্বিন এসেছে আশআনি থেকে
৭. কার্তিক এসেছে কার্তিকা থেকে
৮. অগ্রহায়ণ এসেছে আগ্রাইহন থেকে
৯. পৌষ এসেছে পৌষিয়া থেকে
১০. মাঘ এসেছে মাঘা থেকে
১১. ফাল্গুন এসেছে ফাল্গুনি থেকে ও
১২. চৈত্র এসেছে চিত্রা থেকে।


রাজধানী ঢাকাসহ প্রধান প্রধান নগরগুলোতে প্রতি বছর নানা বর্ণিল আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়। প্রাণের টানে বয়সের পিছুটানকে উপেক্ষা করে প্রতি বছর চেষ্টা করি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে। কিন্তু ছোটবেলায় আব্বার হাত ধরে বটতলায় বা নদীর তীরের বৈশাখী মেলায় যাবার স্মৃতি কিছুতেই ভুলবার নয়। ঢাকায় বৈশাখ উদযাপনের সব বর্ণাঢ্য আয়োজন যেন এর কাছে ম্লান হয়ে যায়। তাই বৈশাখের আগমন মুহূর্তে আমার ভিতর স্মৃতির পাপড়িরা ডানা মেলতে শুরু করে। ভুলতে পারিনা চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন থেকে মা-চাচী-দাদীদের ব্যস্ততার কথা। বৈশাখকে ঘিরে তখনকার আটপৌরে গ্রামীণ জীবনের ভিতর বাড়ির দৃশ্য ছিল এমনি। মা-চাচীরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন চৈত্র সংক্রান্তির দিন আর পহেলা বৈশাখের দিনের খাবার আয়োজন নিয়ে। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে সব ধরনের শাক খাওয়ার রীতিটা ছিল বহুদিনের প্রচলিত প্রথা। বিগত বছরের সমস্ত জরা-ব্যধি দূর হয়ে যাবে-এই বিশ্বাসে প্রচলিত-অপ্রচিত সব ধরনের শাকের সমাহার ঘটত চৈত্র সংক্রান্তির দিনের দুপুরের খাবারে। তার সাথে চলত ঘর-বাড়ি ঝাড়-মোছের কাজ। বিদায়ী বছরের সমস্ত ধুলো-বালি-ময়লা-আবর্জনা দূর করে ঝকঝকে-তকতকে করে তোলা হতো বাড়িঘর। যাতে বৈশাখের আগমন ঘটে সূচী-শুভ্র-পবিত্রতার মধ্য দিয়ে।


মা-চাচীদের এই ধরনের আয়োজন আমাদের অর্থাৎ ছোটদের মনে বৈশাখকে ঘিরে বাড়তি উদ্দীপনা জাগিয়ে দিত। পরের দিন পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের প্রথম দিন। জমবে বৈশাখী মেলা। এর আগাম আনন্দবার্তা নিয়ে আসত চৈত্র সংক্রান্তির দিনটি। সারারাত উদ্দীপনায় আমাদের ঘুম হতোনা। যেমনটি হতো চাঁদ রাতের বেলায়। অপেক্ষায় থাকতাম কখন রাত পোহাবে। বৈশাখী মেলায় যাব। হাতি-ঘোড়া-পুতুল কিনব। সবচেয়ে মজা পেতাম খাওয়ার হাতি-ঘোড়া কিনতে পেরে। আমাদের দেশে এগুলোকে বলে সাজি। সাজি কিনতে না পারলে মনে হতো মেলায় যাওয়াটাই বৃথা গেল। সাথে কিনতাম বিন্নি ধানের খৈ। আর কিনতাম মাটি দিয়ে বানানো রং বেরং এর পুতুল, বাঁশী, আরও নানা ধরনের খেলনা।

মা-চাচীদের এই ধরনের আয়োজন আমাদের অর্থাৎ ছোটদের মনে বৈশাখকে ঘিরে বাড়তি উদ্দীপনা জাগিয়ে দিত। পরের দিন পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের প্রথম দিন। জমবে বৈশাখী মেলা। এর আগাম আনন্দবার্তা নিয়ে আসত চৈত্র
সংক্রান্তির দিনটি। সারারাত উদ্দীপনায় আমাদের ঘুম হতোনা। যেমনটি হতো চাঁদ রাতের বেলায়। অপেক্ষায় থাকতাম কখন রাত পোহাবে। বৈশাখী মেলায় যাব। হাতি-ঘোড়া-পুতুল কিনব। সবচেয়ে মজা পেতাম খাওয়ার হাতি-ঘোড়া কিনতে পেরে। আমাদের দেশে এগুলোকে বলে সাজি। সাজি কিনতে না পারলে মনে হতো মেলায় যাওয়াটাই বৃথা গেল। সাথে কিনতাম বিন্নি ধানের খৈ। আর কিনতাম মাটি দিয়ে বানানো রং বেরং এর পুতুল, বাঁশী, আরও নানা ধরনের খেলনা।


বৈশাখের সকাল বেলাতেই রান্নাঘরে দেখতাম আম্মার অন্যরকম ব্যস্ততা। নানা রকম পিঠে দিয়ে নাস্তা হবে। এখনকার মতো সকালবেলা পান্থা-ইলিশ দিয়ে নাস্তা খাওয়ার রীতি গ্রামে তখনও ছিলনা, এখনও নেই। নাস্তার পর দুপুরের খাবারের আয়োজনে লেগে যেতেন আম্মা। কারণ, পহেলা বৈশাখের দিনের দুপুরের খাবার অন্যদিনের মতো গতানুগতিক হলে চলত না। সাধ্যমতো বছরের প্রথম দিনটিতে ভালো ভালো খাবারের আয়োজন চলত ঘরে ঘরে। বিশ্বাস এই যে, পহেলা বৈশাখের দিন ভালো খাবার খেলে সারা বছর এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। অভাব আর দারিদ্রের নিস্পেষণে জর্জড়িত গ্রাম বাংলার মানুষের এই বিশ্বাস কতটুকু ফলপ্রসূ হতো তা আজও জানার অতীত। তবে আজও গ্রামের মানুষ এই বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে আছে বৈশাখী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে। আজকাল যেমন শহরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন কাপড় পড়ার প্রচলন দেখতে পাই তখনকার দিনে গ্রামাঞ্চলে তো বটেই শহরেও এমনটি ছিলনা। আমাদের গ্রামাঞ্চলের সেই আবহ এখনও বজায় থাকলেও পাল্টে গেছে শহুরে আনুষ্ঠানিকতা। আমরাও কখনও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নতুন পোশাকের জন্য বায়না ধরতাম না। আব্বা আমাদের চাহিদামতো সব ধরনের খেলনাপাতি ও খাবার জিনিস কিনে দিতেন। তাই নিয়ে খুশীতে নাচতে নাচতে বাড়ি ফিরতাম আমরা। বাড়ি আসার পথে সেই কি দৃশ্য! চোখের পর্দায় এখনও লেগে আছে যেন। মেলাফেরত মানুষের মিছিল। সব বাচ্চাদের হাত ভর্তি জিনিসপত্র। বাঁশীর প্যাঁ পোঁ শব্দে মুখর হয়ে উঠত চারপাশ। বাড়ি ফিরেই বসে পড়তাম কার কোন খেলনাটা কত সুন্দর হয়েছে সেটা ঠিক করতে।


আজ বহুদূর ফেলে এসেছি সেই পহেলা বৈশাখের দিনগুলো। আমার মা-বাবা কেউ বেঁচেও নেই। কিন্তু মহাকালের চিরায়ত নিয়মে আজও বৈশাখ আসে। নববর্ষের উদ্দীপনায় মেতে উঠি আমরা। শহরের কোলাহল মুখর ব্যস্ততায় আমার মা-চাচীদের আটপৌরে আয়োজনে উদযাপিত পহেলা বৈশাখের দিনগুলোর কথা আজও ভুলতে পারিনা। ভুলতে পারিনা সেই বটতলার কথা, নদী তীরের কথা। আমার কানে আজও বাজে সেই বাঁশীর সুর। বৈশাখী মেলা থেকে কিনে যে বাঁশীর সুরে চারদিক মাতিয়ে তুলতাম আমরা। আজ মনে হয় আমার প্রাণের নির্মল উচ্ছাসটুকু জড়িয়ে আছে বাঁশীর সেই সুরের সাথে। তাই বৈশাখের আগমন মুহূর্তে ছোটবেলার কথা স্মরণ করে বুকের ভিতর অন্যরকম ভালো লাগার অনুভবে আজও আলোড়িত হই আমি। আমার বুকের ওমে পরম আদরে পুষে রাখা সুখের ছোট্র সুখপাখী এটি। আমৃত্যু আমার মনে সুখের সরোবর হয়ে বেঁচে থাকবে।




সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×