হাসিনা মানেই খাড়ার উপর পল্টিঃ ভারতের সাথে গুপন চুক্তি ও তার জাহাজকে ভূর্তকিতে তেল দিয়ে খালেদাকে কটাক্ষ!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১৯৮৬ সালে যখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে তখন শেখ হাসিনা প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা দিল "যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান"! পরের দিন ঠিকই জামাতকে সাথে নিয়ে হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে গেল। তারপর ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিল আমি বিরোধী দলে গেলেও আর কোনদিন হরতাল দিব না। কিন্তু ২০০১-০৬ সময়ে ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিল।
২০০৮ সালের নির্বাচনে হাসিনার ঘোষণা ছিল;
নৌকা মার্কায় ভোট দিব,
১০ টাকায় চাল খাব!
http://www.youtube.com/watch?v=rGBoPL2DqeI
তারপর তারা তথাকথিত আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনকে নিয়ে ট্রানজিট গড়ে তুলে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে দিবে। এখন চীনতো দূরে থাকুক নেপাল ও ভুটান বিষয়ে ভারত কোন চুক্তি করেনি। উপরন্ত হাসিনা ২০১০ সালের জানুয়ারীতে দিল্লীতে গিয়ে কি কি শর্তে ভারতের সাথে তথাকথিত ট্রানজিটচুক্তি করল তা সংসদেও আলোচনা হয়নি। হাসিনা ও আলীগ ক্ষমতায় থাকলে ভারতের সাথে এই স্পর্শকাতর বিষয়ে কি কি শর্তে চুক্তি হবে তা সংসদ ও দেশবাসীর অনুমোদনতো দূর পূর্বেই কিছু জানবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করা যায় না। এবার হাসিনার সরকার বলেছিল ১৯৭২ সালের মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি মোতাবেক আমাদের নদী পথ দিয়ে চলা ভারতীয় নৌযান হতে টোল নেওয়া হবে। এই বিষয়ে হিন্দুস্থানের চামচা মসিউর বলল "ভারত হতে ফি চাওয়া অসভ্যতা"। এটা শুধু মসিউরের অনুমোদন নয় বরং হাসিনারও সায় আছে। হাসিনা ভারতের এতটাই ক্রীতদাস যে বাংলাদেশের মানুষের কষ্টের পয়সার ভর্তূকি মূল্যের জ্বালানি তেল ভারতীয় নৌযানকে দিচ্ছে;
Click This Link
আর এখন খালেদা জিয়া যখন ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সে দেশে গেলে হাসিনা বলে;
যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
খালেদা জিয়া তেল মারতেই ভারত গিয়েছিলেন
Click This Link
কি অবস্থা হাসিনার মুখেল ভাষা! এই নাকি বলে দেশরত্ন। ফাজিল-কুটিল মহিলা নিজে ভারতে গিয়ে মূখ্যমন্ত্রীর ডাক শুনে মুচকি মুচকি হাসে আবার সেই কিনা অপরকে ভিত্তিহীন ও নোংরা অপবাদ দেয়। সীমাহীন র্দূনীতি, লুটপাট ও জুলুম করে এখন হাসিনা ও তার BAL জনপ্রিয়তার ধ্বস নামাতে তার চামচা ও প্রভু ভারতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তাই বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। তাতে হাসিনার ১৮০ ডিগ্রীতে ইউটার্ন তথা বার বার খাড়ার উপর পল্টি দিতেও আপত্তি নেই। হাসিনার ক্ষেত্রে বলা যায় ১৯৮৬ এর বেঈমান সারা জীবনই বেঈমান।
২২টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।
এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=
০১।
=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।
পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।
জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন