প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে শিক্ষার মূল ভিত্তি। প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষা জীবনের যাত্রা শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষায় আবার রয়েছে বিভিন্ন পর্যায়, যেমন- শিশুদের পারিবারিক প্রারম্বিক শিক্ষা, নার্সারী পর্যায়ে (কেজি স্কুল) শিক্ষা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এবং প্রাথমিক শিক্ষা। আমি এখানে শুধুমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে শিক্ষাদান করা হয় সেই পাঠদান পদ্ধতির উন্নয়ন বা পরিবর্তন ঘটেছে তা নিয়ে আমার ভাবনা উপস্থাপন করব।
আগে এমন সময় ছিল যখন শিক্ষকগণ শ্রেণীকক্ষে লম্বা বেত নিয়ে প্রবেশ করতেন। শিশুরা স্যারের ভয়ে আতংকিত। শিক্ষক বই বের করে কিছুক্ষণ নির্ধরিত পাঠ পড়ে কথাবার্তা বলেই, প্রশ্নোত্তর মুখস্থ করণ ও বাড়ীর কাজ দিয়েই ক্লাশ শেষ। প্রশ্নোত্তর মুখস্থ না পারলে তো খবর খারাপ। ১ম ও ২য় শ্রেণীর শিশুরা স্কুল আঙ্গীনায় দাঁড়িয়ে গণনা ও নামতা শিখত। অল্পদিন আগে পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ ছিল আতংকের এবং শিশুদের কাছে শিক্ষকগণ ছিলে ভয়ের কারণ। কিন্তু আজ আর সেই অবস্থা নেই।
বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এখন শ্রেণী পাঠদানকে শিক্ষকগণ করে তুলেন আনন্দময়। শিশুরা শিক্ষকগণকে গ্রহণ করেন বন্ধু হিসেবে। শ্রেণীকক্ষে প্রত্যেক শিশুরা যাথে সমান শিক্ষালাভ করতে পারে সেজন্য গ্রুপ তৈরি করে গ্রুপভিত্তিক পাঠদান করা হয়ে থাকে। হাতে তৈরি পাঠ সংশ্লিষ্ঠ উপকরণ ব্যবহার করে পাঠকে করা হচ্ছে শিশুদের কাছে বোধগম্য। এছাড়া পাঠের সাথে বাস্তবের মিল খুঁজতে শিশুদেরকে নিয়ে শিক্ষকগণ শেণীকক্ষের বাহিরে প্রাকৃতিক পরিবেশেও নিয়ে যান। শিক্ষাদান পদ্ধতি আরোও আধুনিকায়নের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংযুক্ত হয়েছে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর।
চলমান।