somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দাড়ি সম্পর্কে রাসূল সাঃ এর বাণী

০১ লা মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুসলমাদেরকে দাড়ি রাখতে ও
লম্বা করতে রাসূল
সাঃ নির্দেশ
দিয়েছেন।
দাড়ি ছোট
করতে ও
মুন্ডন
করতে রাসূল
সাঃ নিষেধ
করেছেন।
নিম্ন এ
সম্পর্কে রাসূল
সাঃ এর
বাণী উল্লেখ
করা হল।
১-হযরত
আব্দুল্লাহ
ইবনে ওমর
রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল
সাঃ গোঁফ
নিশ্চিহ্ন
করতে, আর
দাড়ি বড়
করতে নির্দেশ
দিয়েছেন।
{সহীহ
মুসলিম,
হাদীস
নং-৬২৪}
২-হযরত আবু
হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন,
রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ
করেন,
তোমরা গোঁফকে কর্তন
কর,
এবং দাড়িকে লম্বা কর।
তোমরা অগ্নিপূজকদের
বিপরীত কর।
{সহীহ
মুসলিম,
হাদীস
নং-৬২৬}
৩-হযরত
আব্দুল্লাহ
বিন আব্বাস
রাঃ থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন,
রাসূল
সাঃ ইরশাদ
করেছেন যে,
আল্লাহ
তাআলার
ভর্ৎসনা ঐ
সব পুরুষদের
উপর
যারা মহিলাদের
সাদৃশ্যতা অবলম্বন
করে এবং ঐ
সব
মহিলাদের
উপর আল্লাহ
তাআলার
ভর্ৎসনা যারা পুরুষদের
সাদৃশ্যতা অবলম্বন
করে। {সহীহ
বুখারী,
হাদীস
নং-৫৫৪৬,
সহীহ
ইবনে হিব্বান,
হাদীস
নং-৫৭৫০}
দাড়ি থাকা পুরুষের
নিদর্শন। আর
দাড়ি না থাকা মহিলাদের
নিদর্শন।
তাই
দাড়ি কেটে মহিলাদের
সাদৃশ্য গ্রহণ
এ হাদীসের
ভাষায়
নিষিদ্ধ
হয়ে যায়।
৪-রাসূল
সাঃ এর
যুগে মুশরিক

অগ্নি উপাসকদের
মধ্যে দাড়ি ছোট
করে রাখা বা দাড়ি মুন্ডন
করার
রীতি প্রচলিত
ছিল।
রাসূলুল্লাহ
সাঃ তার
উম্মতকে বিশেষভাবে এ
সকল অমুসলিম
সম্প্রদায়ের
বিরোধিতা করতে এবং বড়
দাড়ি রাখতে নির্দেশ
দিয়ে ইরশাদ
করেন-
হযরত
ইবনে ওমর
রাঃ থেকে বর্ণিত।
রাসূল
সাঃ ইরশাদ
করেছেন-
তোমরা মুশরিকদের
বিরোধীতা কর।
দাড়ি লম্বা কর।
আর
গোঁফকে খাট
কর।
আর
ইবনে ওমর
রাঃ যখন
হজ্ব
বা ওমরা করতেন,
তখন
তিনি তার
দাড়িকে মুঠ
করে ধরতেন,
তারপর
অতিরিক্ত
অংশ
কেটে ফেলতেন।
{সহীহ
বুখারী,
হাদীস
নং-৫৫৫৩}
রাসূল
সাঃ এর
দাড়ি
রাসূল
সাঃ এর
দাড়ি লম্বা ছিল।
সাহাবাগণের
দাড়িও
লম্বা ছিল।
১-হযরত
আলী রাঃ রাসূল
সাঃ এর
বর্ণনা দিতে গিয়ে উল্লেখ
করেন যে,
“তিনি অনেক
বড় দাড়ির
অধিকারী ছিলেন।
{সহীহ
ইবনে হিব্বান,
হাদীস
নং-৬৩১১,
মুসনাদে আহমাদ,
হাদীস
নং-৯৪৬}
২-হযরত
জাবির বিন
সামুরা রাঃ বলেন
যে, রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের
দাড়ি ছিল
বেশি বা ঘন।
{সহীহ
মুসলিম,
হাদীস
নং-৬২৩০,
মুসনাদে আবী ইয়ালা,
হাদীস
নং-৭৪৫৬}
ফক্বীহদের
দৃষ্টিতে দাড়ির
বিধান
উপর্যুক্ত
হাদীসগুলোর
আলোকে মুসলিম
উম্মাহের
ফক্বীহগণ
একমত যে,
দাড়ি বড়
করা মুসলিমের
গুরুত্বপূর্ণ
দায়িত্ব
এবং দাড়ি মুন্ডন
করা বা “একমুষ্টি”
এর কম
রাখা নিষিদ্ধ।
পারিভাষিক
মূলনীতির
আলোকে কোন
কোন ফক্বীহ
দাড়ি রাখা “ফরজ”
বলে উল্লেখ
করেছেন।
কেউ
তা “ওয়াজিব”মত
দিয়েছেন।
কেউ
বা “সুন্নাত”
বলেছেন।
পঞ্চম
হিজরী শতকের
প্রসিদ্ধ
মুহাদ্দিস ও
ফক্বীহ
ইবনে হাযম
যাহিরী আলী ইবনে আহমাদ
বলেন
“দাড়ি ছেড়ে দেওয়া ও
গোঁফ কর্তন
করা ফরজ”।
{আল
মুহাল্লা-২/২২০}
চতুর্থ
হিজরী শতকের
অন্যতম
মুহাদ্দিস ও
ফক্বীহ আবু
আওয়ানা ইয়াকুব
ইবনে ইসহক
বলেন “গোঁফ
কর্তন
করা এবং তা ছোট
করা ওয়াজিব
ও দাড়ি বড়
করা ওয়াজিব”।
{ মুসনাদে আবী আওয়ানা-১/১৬১}
ষষ্ঠ
হিজরী শতকের
প্রসিদ্ধ
মুহাদ্দিস ও
মালিকী ফক্বীহ
কাযী ইয়াজ
বলেন যে,
“দাড়ি মুন্ডন
করা,
কাটা বা পুড়ানো মাকরূহ।
তবে দাড়ির
দৈর্ঘ ও
প্রস্থ
থেকে কিছু
কাটা ভাল।
দাড়ি কাটা বা ছাটা যেমন
মাকরূহ,
তেমনি প্রসিদ্ধির
জন্য
তা বেশি বড়
করাও
মাকরূহ”।
{ফাতহুল
বারী-১০/৩৫০,
নাইলুল
আওতার-১/১৩৬}
একাদশ
হিজরীতে প্রসিদ্ধ
হাম্বলী ফক্বীহ
মানসূর
বুহুতী রহঃ বলেন
যে,
“দাড়ি মুন্ডন
করা হারাম,
এক মুষ্টির
অতিরিক্ত
দাড়ি কর্তন
করা মাকরূহ
নয়।
{কাশশাফুল
কিনা-১/৭৫}
একাদশ
শতকে প্রসিদ্ধ
হানাফী ফক্বীহ
আলাউদ্দীন
হাসকাফী রহ^
তাঁর প্রসিদ্ধ
গ্রন্থ “আদ
দুররুল
মুখতার” এ
লিখেন যে,
“দাড়ি লম্বা করার
সুন্নাত সম্মত
পরিমাণ এক
মুষ্টি।
নিহায়া গ্রন্থে এক
মুষ্টির
অতিরিক্ত
দাড়ি কর্তন
করা ওয়াজিব
বলে উল্লেখ
করা হয়েছে।
আর এক
মুষ্টির কম
পরিমাণ
দাড়ি ছাটা কেউই
বৈধ বলেন
নি।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×