বাইরে থেকে ফিরে, ঘরের দরজার তালা খুলে, প্রথম রুম পার হয়ে বেডরুমে এসেই দেখি, কাপড় রাখা বেতের তাকের ওপরে খুব চুপ করে ও বসে আছে। ভাবলাম, ঘরে ঢুকল কী করে? ও আচ্ছা, জানলা তো খোলাই ছিল। আমার অনুপস্থিতিতেই ঘরে শ্রীমতী প্রজাপতিনী। ছোট্ট দুটো ডানা, ওর ডানায় আঁকা আকাশ__আমাদের সম্পর্ক যাচ্ছেতাই। যা-ইচ্ছে-তাই। আজ আমার বেশি একা লাগছিল, সেটা টের পেয়ে, আজ আমার বুকের মধ্যে খুব খুরখুরে লাগছিল, সেটা নিজে থেকেই বুঝে নিয়ে, ঝগড়া করেই মন ভালো করে দিতে ও এসেছে। ও হচ্ছে প্রায়পাখি বা পাখিনী। কিন্তু তা না, ও হচ্ছে প্রজাপতিনী। প্রজাপতিনী, মানুষ তোমাকে ঈর্ষা করছে, মানুষ তোমাকে বেশি সহ্য করবে না বলে মনে হচ্ছে। আজকাল মানুষ তোমাকে নিয়ে একটু আধটুপ্রশ্নও করছে। আমি কী জবাব দেব? কীভাবে বলব, আমি তোমার কে? অসম বয়েসি আমি তোমার কী হই?
সারাদিন হরতাল ছিল। শীতের শহর ঝাপসা ছিল। কুয়াশায় পিকেটিং করেছি খুব। এখন ঘরে ঢুকলাম। ডানাঅলা পতিনী (প্রেতিনীও হতে পারে, ওরাল টোনে প্রেত্নী) শোনো, ধরো তো, এই যে ভালোবাসা, ভালোবাসাটা একটু ধরো, আমাকে হালকা হতে দিবা না?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬