রুহুল আমিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় ব্যাচের ছাত্র। বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার প্রত্যন্ত শ্যামপুর গ্রামের মনতেজার রহমানের ২য় পুত্র রুহুল আমিন। পিতা একজন দরিদ্র কৃষক। টিউশনি করে নিদারুণ কষ্টে লেখাপড়া চালিয়েও শিক্ষক হওয়ার মহান আদর্শ বুকে লালন করেছেন সব সময়।
এ বিভাগে ৪র্থ অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন পার করার শেষ মূহুর্তে এসে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নটি নিভু নিভু করছে ঘাতক ব্লাড ক্যান্সারের তাড়নায়। হতাশাগ্রস্থ তরুণটির মনে প্রশ্ন, ক্যান্সারের কাছে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন কি পরাজিত হবে?
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে রুহুল আমিন বলেন, “প্রায় দুই মাস আগে ব্লাড ক্যান্সার সিএমএল (Chronic Myeloid Leukaemia) এ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পারি।”
সলিমুল্লাহ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ড. আলমগীর কবির ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের অধ্যাপক ড.এম.এ খান এর তত্বাবধানে তার বর্তমান চিকিৎসা চলছে।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, রুহুল আমিনের শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন। যা বহন করা সম্ভব হচ্ছে না দরিদ্র পরিবারটির।
শরীরে ক্যান্সারের প্রভাব পড়েছে। মানসিক অস্বস্থিতে গত মাসে মাস্টার্স ১ম সেমিস্টার পরীক্ষার প্রস্তুতি যথাযথ হয়নি বলে জানালেন রুহুল আমিন।
ডাক্তার জানিয়েছেন, Bone Transfer করা ছাড়া ক্যান্সার থেকে সর্ম্পুণ মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। সিঙ্গাপুরই এ চিকিৎসার উপযুক্ত জায়গা। কিন্তু তার জন্য ব্যয় করতে হবে ৫৫ লাখ টাকা।
কেরাণীগঞ্জের খুঁপড়ি ঘরের মেসে শুয়ে চিকিৎসা ব্যয় বহনের অক্ষমতা আর শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নের কথা বলতে বলতে রুহল আমিনের চোখ বেয়ে পড়া পানির ফোয়ারা প্রশ্ন করছিল, কৃষক পিতার দুঃখ ঘোচাতে যাদের জন্ম, মহান পেশা বেছে নেওয়া যাদের স্বপ্ন= তাদের কেন প্রকৃতির অনিশ্চিত পথে যাত্রা করতে হয়?
বিত্তশালী কোনো আত্নীয়-স্বজন নেই রুহুল আমিনের। দৈনন্দিন চিকিৎসা ব্যয়টুকু যাতে থেমে না থায় সেজন্য তার সহপাঠী বন্ধুরা মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পাতছেন।
রুহুল আমিনের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠাতে হিসাব খোলা হয়েছে- DBBL-118,101,119319,Swift Code-DBBLBDDH 118 ইসলামপুর শাখা, ঢাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সমাপ্ত করার পথে একজন স্বপ্নচারী তরুণের আশার আলো কি আমরা ধরে রাখতে পারিনা?
(সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪.কম)