বিজয় দিবস দুই হাজার বারো
হাসি মুখে আত্মাহুতি দিয়ে গেলে হে মহান বিজয়ীরা
দিয়ে গেলে আমাদের পরিচয়, অধিকার আর বেঁচে থাকার গৌরব
একচল্লিশ বছর পরে আজও আমাদের কান্না থামে নাই
স্বজন আর অঙ্গ হারানোর বেদনা শুধু তারাই জানে যারা হারিয়েছে
যাদের কান্না বাতাসে মিলিয়ে যায় আর ভারী হয় জীবনের বোঝা
কেউ বা আজ ভিক্ষার ঝুলি হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে
হায় কি আশ্চর্য বেঁচে থাকা-
আক্রোশ আর যাতনার বিষ-বিদ্ধ অসহায় গোঙ্গানির শব্দ
ঘুম আসে না, অক্ষমতার গ্লানি বাড়ে-
যারা মুক্তির কথা বলে তাদের জন্য বরাদ্দ অশ্লীল শব্দাবলী
যারা পৃথিবীতে এসেই দেখলো নতুন সূর্য
সূর্যোদয়ের ইতিহাস জানতে তাদের বড়োই অনীহা
হাজারো ‘ফিরোজকে’ নির্মম ভাবে বেঁধে দেওয়া হয় ঘোড়ার পিঠে
খেলার এমন নিষ্ঠুর দৃশ্য দেখতে ঘোড়দৌড়ের মাঠে যেতে হয়না আর
সন্তানহারা জননী তুষের আগুনে জ্বলে মৃত্যুর প্রতীক্ষা করে প্রতিদিন
যারা স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়
শহর থেকে ছুটে রাজধানীর রাজপথে-
তারা বিশ্ব জয় করে হয় ‘বিশ্বজিৎ’ অথবা ‘প্রবীর শিকদার’
আশঙ্কায় কেটে যায় জীবনের সিংহভাগ
অপেক্ষায় কেটে যাবে হয়তো বাকি জীবন
তবু জানি তুমি আসবে একদিন, আসবে বিপ্লব
উড়বে বিজয় পতাকা বাজবে আনন্দ সানাই
হে আমার অহংকারে অর্জিত স্বাধীনতা
আমরা আবার হাসবো।