somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিটার্ন অফ হৈমন্তী- দ্যা টেক্সটাইল ভার্সন

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু আমার বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না । তিনি দেখিলেন যে, তাহার গুনধর পূত্র সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লুকাইয়া লুকাইয়া প্রেম করিয়া বেড়ায়, তথাপি কন্যার পিছনে BUET, DHAKA MEDICAL এর পোলাপাইনের ঘুর ঘুর তাহাকে অস্থির করিয়া তুলিয়াছিল।
আমি ছিলাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র।সূতরাং স্টক লটের মাল কিভাবে চুরি করিতে হয় তাহা আমি ভালই জানিতাম, কিন্তু বিবাহের কথা শুনিবা মাত্রই আমার ভিতরে ভয়ানক আনন্দ এবং উত্তেজনা কাজ করিতেছিলো।
আমার হবু বউর নাম ছিল হৈম। তাহার হট এন্ড সেক্সি ছবি দেখিয়া আমার মন তাহাকে চাহিয়া বসিল। কিন্তু সবই যে অ্যাডোবি ফটোশপের আকাম আসিলো ইহা বুঝি নাই।
হৈমর সহিত EMP lab এর পিছনে ডেট করিবার ব্যাপক খায়েশ ছিলো আমার ( বিবাহের পূর্বে)
কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। আজকাল ইএমপি ল্যাব, অ্যাপারেল ল্যাব কোথাও ফাকা জায়গা পাওয়া যায় না।
যাহা হউক, অনেক যল্পনা কল্পনা শেষে আমাদের বিবাহ হইল।বিবাহের রাত্রে তাহার হাত ধরিয়া আমি কহিলাম “ আমি পাইলাম , ইহাকে পাইলাম। “ তাহার ঘোমটা খুলিবার পর আমার আর তর সইতেছিল না, আমি তারাতারি ফেসবুকে বসিয়া স্ট্যাটাস দিলাম

“Ami ei matro hoimontir ghomta tullam “:P
বলাবাহুল্য আমার টেক্সটাইলের জুনিয়র সিনিয়র সবাই পরের স্ট্যাটাসটি পড়িবার আশায় সারারাত অনলাইনে থাকিল।
কিন্তু শেষ রাত্রিতে তাহারা আমার স্ট্যাটাস পড়িয়া এক প্রকার হতাশ ই হইল।
Mey manusher sorire je eto fiber thake tato age janitam na, singeing korite koritei raat kavar hoiya galo
যাহা হউক, দুই তিন বারে ইয়ার ক্রাশ খাইয়া আমি যখন ছোটো ভাইদের সহিত ক্লাশের পিছনে বসিয়া খালি তাস পিটাইতাম তখন হৈমর দেওয়া নকলের আশ্বাষ পাইয়া ব্যাপক উতসাহে পড়াশুনা শুরু করিলাম।
শেষ পর্যন্ত বি.এস.সি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করিয়া নিকটস্থ বিটাক কম্পোজিটে কাজ নিলাম। সারাদিন নষ্ট যন্ত্রপাতি গুতগুতি করা আর সুপারভাইজার এর সহিত বন্ধুত্ব করিয়া কমিশন খাওয়া ছাড়া আমার তেমন কোনো কাজ ছিল না।
কিন্তু আমি বাসায় থাকিতাম না এই সুযোগে হৈম আর আমার মা বিস্তর সমস্যা বাধাইল।আমার মা আর মাসিরা সারাদিন স্টারপ্লাস আর সনি টিভিতে বস্তাপচা সিরিয়াল দেখিতে চাইত। কিন্তু হৈম শুধু পড়ালেখার অনুষ্ঠান দেখিতে চাইত। আমার মা-মাসীরা সারাদিন ষড়যন্ত্র করিত কিভাবে হৈমকে আইক্কা বাশ দেয়া যায়।
হৈমর নিঃসঙ্গতা কাটাইতে তাহার বাপ আমাকে ডাকিয়া এক খানা ডেবিট কার্ড ধরাইয়া দিয়া কহিল, অকে মাঝে মাঝে মার্কেটিং এ লইয়া যাইও, মুখে বলিলাম যে আজ্ঞে, তলে তলে কহিলাম, “মুড়ি খাও শ্বশুর আব্বা”
কিন্তু আমার শ্বশুর আব্বাও কম ব্রিটিশ ছিল না , সে আমার কুমতলব বুঝিতে পারিয়াছিল, তাই অই ডেবিট কার্ডে সে কোনোদিনই টাকা পাঠায়নাই।
এদিকে হৈমর উপর আমার পরিবারের অত্যাচার বাড়িতে থাকিল।ক্লান্ত শ্রান্ত হৈম তাই আমাকে সুখ দিতে পারিত না রাত্রে বেলায়।
হৈমকে তাহার সময় কাটাইতে আমি একটা ল্যাপটপ আর কিউবি মডেম কিনিয়া দিলাম।সে তাহার বাপের সহিত চ্যাট করিবার কথা বলিয়া ধুমসে পোলাপাইন রে রিকুএস্ট পাঠাইত আর খালি চ্যাট করিত।
দিন রাত চ্যাট করিতে করিতে হৈম শুকাইয়া যাইতে লাগিল।
আর আমি ২-৩ মাস পর পর চাকরিতে পল্টী দিয়া নতুন ইন্ডাস্ত্রিতে যাইতে লাগিলাম। আমার বেতন ও বারিতে থাকিল। অতঃপর এক টেক্সটাইলের মালিকের মাইয়ারে পটাইয়া তাহার হৃদয়ে জায়গা করিয়া লইলাম।
কিন্তু একদিন সব জানাজানি হইয়া গেল। আমার ফ্যামিলির সবাই হৈমর কুকির্তীর কথা শুনিয়া ফেলিল। তাহারা হৈমর বাপ মা তুলিয়া গালি পাড়তে লাগিল। হৈম ও চেতিয়া গিয়া কহিল, আপনাদের পূত্রও তো কম লম্পট নহে, সেও তো পড়কীয়া করিয়া বেড়ায়, আমি চ্যালেঞ্জ করিলাম, প্রমান দিতে পারিলে কাটিয়া ফেলিবো,
সে তখন কহিল যাহার সহিত তুমি প্রেম করিতে আমি তাহার ফ্রেন্ড লিস্টে আছি, তাহার ওয়ালে তোমার সব পোষ্ট আমি দেখিতাম, এতদিন কিছু বলি নাই, কিন্তু আমি আর সহ্য করিবো না। এই বলিয়া হৈম আমার উপর ঝাপাইয়া পড়িল, আমিও কম কি! দিলাম মাইর, কিন্তু হৈম আমাকে মারিতেসে দেখিয়া আমার মা পটল তুলিল,
এর কয়েক দিন পর হৈম এক ছেলের সহিত ভাগিয়া গেল, আমার রাস্তাও ক্লিয়ার হইল। আমি নতুন বউ ঘরে আনিলাম, সেই টেক্সটাইল মিলের মালিকের মেয়ে কে। কিছুদিন পর আমার শ্বশুর আব্বাও পটল তুলিল, আর আমি হইলাম পুরা আস্তা একটা টেক্সটাইল মিলের মালিক, গাড়ী পাইলাম, নারীও পাইলাম,
আর আনন্দের সহিত বাচ্চা ফুটাইতে লাগিলাম আমার বউকে লইয়া। আপ্নারাও শুরু করে দেন।




▒▒▒▒▒▒▒██▒▒▒▒███▒▒▒▒██
▒▒▒▒▒▒█▓▓█▒██▓▓▓██▒█▓▓█
▒▒▒▒▒█▓▒▒▓█▓▓▓▓▓▓▓█▓▒▒▓█
▒▒▒▒▒█▓▒▒▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▒▒▓█
▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒▒█▓▓█▓▓▓▓▓▓█▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒▒█▓▓██▓▓▓▓▓██▓▓█
▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▒▒█▓█▒▒▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒█▓▓▒▒▓▒▒███▒▒▓▒▒▓▓█
▒▒▒▒▒█▓▓▒▒▓▒▒▒█▒▒▒▓▒▒▓▓█
▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▓▓▒▒▒▒▒▓▓▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▓▓███▓▓▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▒▒▒▒▒▒▒▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▒▒▒▒▒▒▒▒▒▓▓▓▓█
▒▒▒▒█▓▓▓█▓▒▒▒▒▒▒▒▒▒▓█▓▓▓█
▒▒██▓▓▓█▓▒▒▒██▒██▒▒▒▓█▓▓▓██
▒█▓▓▓▓█▓▓▒▒█▓▓█▓▓█▒▒▓▓█▓▓▓▓█
█▓██▓▓█▓▒▒▒█▓▓▓▓▓█▒▒▒▓█▓▓██▓█
█▓▓▓▓█▓▓▒▒▒▒█▓▓▓█▒▒▒▒▓▓█▓▓▓▓█
▒█▓▓▓█▓▓▒▒▒▒▒█▓█▒▒▒▒▒▓▓█▓▓▓█
▒▒████▓▓▒▒▒▒▒▒█▒▒▒▒▒▒▓▓████
▒▒▒▒▒█▓▓▓▒▒▒▒▒▒▒▒▒▒▒▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▒▒▒▒▒▒▒▒▒▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▒▒▒▒▒▒▒▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▓█▓█▓▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒▒▒▒█▓▓▓▓▓█▓▓▓▓▓█
▒▒▒▒▒████▓▓▓▓▓█▓▓▓▓▓████
▒▒▒▒█▓▓▓▓▓▓▓▓▓█▓▓▓▓▓▓▓▓▓





পোস্টটি প্রথমে টেক্সটাইল ব্লগারস এ প্রকাশিত হয়েছিলো।
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×