দির্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ হলো এ দেশে। দেশ স্বাধীন হলো। বিজয়ের গৌরবে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক উল্লসিত।
কিন্তু বিজয়ের কাজটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করার কারনে। বিচারটি সুষ্টভাবে সুচালভাবে করা দরকার। কিন্তু তা হচ্ছে না। ফলে ভাল একটা উদ্যোগ সমালোচিত হয়ে আজ হুমকির সমুক্ষিন।
কি দরকার ছিল সাজানো মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়ে বিচার করার। কি দরকার ছিল দলিয় বিচার পতিদের দিয়ে বিচার করানোর। কি দরকার ছিল একক ভাবে এই উদ্যোগ নেয়ার। জাতিয় ভাবে কেন ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ কাজ করা হলো না।
মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল কেন এর বিরোধিতা করবে।
কেন কাদের সিদ্দিকির মতো লোক এ বিচারের প্রতি আস্থা হারাবেন। কেন বিশেষ একটি দলের বিরোধীতা করলে রাজাকার বলা হবে। কেনই বা মুক্তিযোদ্ধাকে বলা হবে বাইচ্যান্স মুক্তিযুদ্ধা। এসব আর যাই করুন নাই করুক ঐক্য গড়বে না। ডিভাইটেশন তৈরী করবে।
কেনই বা বিজয়ের মাসটি নিয়ে রাজনীতি হবে। এমাসে নাকি হরতাল যে দেবে সে পাপ করবে। অথচ দুটি রাজনৈতিক দলে ইতিহাসে এ মাসে হরতালে দৃষ্টান্ত বিদ্যমান। যা নিজের মধ্যে নাই তা কেন আমার বলি।
বিজয়ের মাস কোন রাজনৈতিক গোষ্টির হাতিয়ার হতে পারে না। এটা আমাদের জনগনের। আমাদের বিজয়ের প্রথম ধাপ। আমাদের প্রকৃত বিজয় এখনো অর্জিত হয়নি। দুর্নিতি- সন্ত্রাস- চাঁদাবাজি -হত্য -খুন-গুম- ধর্ষন এসব থেকে এখনো মুক্তি আসেনি। মুক্তি আসেনি অর্থনৈতিক ভাবেও। আমাদের দেশ আজ ভারত আর মার্কিনিদের মার্কেট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের মুদ্রা আজ পাচার হয়ে যাছ্ছে বিদেশে। শেয়ার মার্কেট ধংসের মুখে। কোথায় আমাদের বিজয়?