somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দোহা জলবায়ু সম্মেলন,জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার অগ্রগতি ও বাংলাদেশের প্রাপ্তি রাশিদুল ইসলাম নাহিদ

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হওয়া বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ- ১৮ বিগত ২৬ নভেম্বর ২০১২ থেকে শুরু হয়ে ৮ ডিসেম্বর ২০১২ টানা ১৩ দিনের আলোচনার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। ঐ সম্মেলনে অনেক গুলো বিষয়ের মধ্যে ৩ টি গুরত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর প্রথমটি ছিল কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে। কেননা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ শেষ হয়ে যেত এবং ঐ প্রটোকল অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে, ১৯৯২ সালে প্রথম ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং সম্মেলনের মধ্যে দিয়েই পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে জাতিসংঘের উদ্যোগে গঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) এবং মনুষ্যসৃষ্ট দুষণ রোধ তথা কার্বন নির্গমনের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার উদ্দেশে ১৯৯৭ সালের ১১ ডিসেম্বর জাপানের কিয়োটো শহরে ১৬০ টি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয় কিয়োটো প্রটোকল। ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী এই চুক্তি কার্যকর হয়ে গেলে বিশ্ববাসী সবাই জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে উচ্চকিত হয়ে ওঠে। আইপিসিসি ২০০৭ সালে রিপোর্ট থেকে দেখা যায় কার্বন নির্গমনের চলতি হারে যে বৈশ্বিক উষ্ণতা হচ্ছে তার ফলে আগামী ২০৮০ সাল নাগাদ সমুদ্রতল ৯ থেকে ৪৮ সেন্টিমিটার এবং উচ্চ নির্গমনের হারে সমুদ্রতল ১৬ থেকে ৬৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বাড়বে। ফলে সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলগুলো পানিতে নিমজ্জিত হবে, নদনদীতে লোনা পানির পরিমাণ বেড়ে যাবে, বাড়বে শরণার্থীর সংখ্যা ২০ থেকে ৩০শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে পড়বে এবং বিশুদ্ধ পানির সংকট বেড়ে যাবে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হেপাটাইটিস বি, সংক্রামক সেরিব্রাল, মেনিনজাইটির মত গ্রীষ্মকালীন রোগগুলো বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে সূর্যের বিকিরণকৃত আলটাভায়োলেট রশ্মিও অনুপ্রবেশ বৃদ্ধির কারণে চামড়ার ক্যান্সার ও চোখের ছানি পড়া রোগ বৃদ্ধি পাবে। এমনকি খাদ্যশস্যে তেজস্ক্রিয়তা বেড়ে যেতে পারে। আইপিসিসি এর রিপোর্টে আরও বলা হয় যে ২০৮০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ভূমির এক তৃতীয়াংশ পানিতে নিমজ্জিত হবে। এর ফলে পরিবেশবাদীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। আর ২০০৭ সালের সিডর ও ২০০৯ সালের আইলা ঘূুিণঝড়ে জনদুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিশেষ আলামত প্রকাশ হয়ে ওঠে। এছাড়াও ২০১২ সালের ২৪ অক্টোবরে আটলান্টিক মহাসাগরে উত্থিত ঘূণিঝড় স্যান্ডি ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জের জ্যামাইকা, হাইতি, কিউবা, বাহামা ও সর্বশেষ ২৯ অক্টোবর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এসবের ফলে সারা বিশ্বে যে জলবায়ু পরিবর্তনের আলামত দেখা দিয়েছে তাতে গবেষকদের আর কোন সন্দেহ নেই।
কিয়োটো প্রটোকল স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে অনেক গুলো সম্মেলনই হয়ে গেল এবং এর কার্যকর হওয়ার জন্য যে ৫৫ টি রাষ্ট্রের অনুসমর্থন প্রয়োজন ছিল সেটাও ২০০২ সালে পুরণ হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল এই চু্িক্ত কতটুকু অর্জন করতে পেরেছে। বিভিন্ন জলবায়ু সম্মেলনে ২০১২ সালের মধ্যে অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনকারী রাষ্ট্রগুলোকে কার্বনের পরিমাণ হ্রাস করার জন্য বিভিন্ন লক্ষ্য মাত্র দেয়া হয়েছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ৮শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র ৭ শতাংশ, জাপান ৬ শতাংশ এবং রাশিয়ার জন্য ৩ শতাংশ। কিন্তু ২০০১ সালের ২৯ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র কিয়োটো প্রটোকল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলে এই লক্ষ্য মাত্রা কাগজে কলমেই রয়ে যায়। বলাই বাহুল্য, এসব উন্নত ও তেল সমৃদ্ধ দেশ (যুক্তরাষ্ট্র, চীন,অস্ট্রেলিয়া, জাপান, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন) নিজেদের বিলাস বহুল ভোগের জন্য অতিমাত্রায় কার্বন (গড়ে ১৩ টন প্রায় টন/ব্যক্তি/বছর) নির্গমন করছে এবং এর ফলে মারাতœক ক্ষতির স্বীকার হচ্ছে গরীব রাষ্ট্র গুলো। অথচ চলতি মাসেই এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
কিন্তু আশার কথা হচ্ছে দোহা জলবায়ু সম্মেলনে কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের মত আফ্রিকান দেশগুলোও সোচ্চায় হয়ে ওঠে। তারা বলেছে কোন ক্রমেই কিয়োটো প্রটোকলকে হত্যা করতে দেয়া হবে না। ফলে এসব দেশের দাবির প্রেক্ষিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিরোধিতা সত্তেও আবারও অনেক আশা-আকাঙ্খা নিয়ে ২০২০ সাল পর্যন্ত কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। উন্নত দেশগুলো ২০১৭ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ কার্বন হ্রাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি যাতে লক্ষ্য মাত্রার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে সেদিকে উন্নত রাষ্ট্র গুলোর দৃষ্টিপাত দেয়া উচিত বলে পরিবেশবাদীরা মনে করেন।

দোহা জলবায়ু সম্মেলনে দ্বিতীয় যে গুরত্বপূর্ণ বিষয়টি আলোচিত হয় সেটি হচ্ছে কার্বন নিঃসরণের ফলে তৃতীয় বিশ্বের যে দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সেটির ক্ষতি পূরণ প্রসঙ্গে। বাংলাদেশ ও আফ্রিকান দেশগুলোর পাশাপাশি ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র গুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দোহা জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতি পূরণের নতুন অর্থায়নের মডেল দাবি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় অর্থায়নের জন্য ‘গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড’ গঠিত হলেও এ তহবিলে অর্থ নেই। ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিন বছরে তিন হাজার কোটি ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল উন্নত দেশগুলো। কিন্তু দেখা গেল এ পর্যন্ত ঘোষিত অর্থের মাত্র ২৯০ কোটি ডলার প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন দাবি করেছে এর মধ্যেই তিন হাজার দুইশ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই অর্থ গেল কোথায়? এখানে জলবায়ু কবলিত দেশগুলোকে এক ভয়ংকর শুভঙ্করের ফাকির মধ্যে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এ দেশ গুলোর সহযোগিতা না পাওয়ার অবশ্য একটি বড় কারণ হতে পারে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা। খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অর্থনৈতিক অবনতির কারণে অকুপাই মুভমেন্ট হয়েছে। তারপরও দোহা জলবায়ু সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ দেশ গুলো উন্নত দেশগুলো কে অথ্য দেয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে ২০২০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা বলেছে এবং ২০১৫ সালের মধ্যে তারা ৬০ বিলিয়ন ডলার দাবি করেছে। এর প্রেক্ষিতে হাতে গোনা কয়েকটি দেশ এ তহবিলে অর্থ দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ উন্নত দেশগুলো এর বিরোধিতা করেছে ও কিছু দেশ পূর্বের মত ভুয়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু ইউরো সংকটের সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত ধনী দেশগুলো তাদের শিল্প উৎপাদন কমিয়ে কার্বন নিঃসরন কমাতে এবং তহবিলে অর্থ দেবে বলে মনে হয় না। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় সংকটে পড়েছে। একদিকে বারাক ওবামার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকট। এক্ষেত্রে বারাক ওবামা যদি আভ্যন্তরীণ ব্যয় মেটানের দিকে দৃষ্টি দেয় তবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সেটা ভাল হবে অন্যদিকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি সে জলবায়ু মোকাবেলার অর্থ প্রদান না করে তবে সে বিশ্ববাসীর কাছে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে পরিচিত হবে। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু তহবিলে অর্থ যোগান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি কতটুকু বাস্তবায়ন হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে বিশ্লেষকগন মনে করেন দোহা জলবায়ু সম্মেলন তার কাঙ্খিত চাওয়া অর্জন করতে পারে নি। বরং কয়েকটি ভাল চুক্তি, কিছু সমঝোতা স্মারক, তহবিলে ভুয়া অর্থদানের প্রতিশ্রুতি এবং সেই দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরনের মাত্রা একটি নির্দিষ্ট সীমায় সীমিত ইদ্যাদি গালভরা কিছু প্রতিশ্রুতির মধ্যে দিয়ে দোহা জলবায়ু সম্মেলন শেষ হয়েছে।
যে সময় থেকে মানুষ পরিবেশ বিপর্যয়ের ক্ষতিকারক দিকগুলো গুলো বুঝতে পারছে এবং এর মাত্রা দিন দিন আরও বেড়ে যাচ্ছে তখন থেকে বাংলাদেশ,আফ্রিকার দেশগুলো ও ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র গুলো মারাাতœক ক্ষতির শিকার হয়ে আসছে। বিশ্ব ব্যাংকের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচের ও আফ্রিকার দেশগুলো। মালদ্বীপ ২০০৯ সালে জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে বাচানোর জন্য সমুদ্রের পানির নিচে বৈঠক করে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এছাড়াও জলবায়ুর পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ অনেক ঝুকির সম্মূখীন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উডহোল ওসানোগ্রাফিক ইনষ্টিটিউটের গবেষক জন ডি মিলিম্যানের গবেষণা থেকে দেখা যায় যে ২০৫০ সালে বিশ্বব্যাপী সমুদ্র পৃষ্ঠের পানি যখন গ্রীন হাউস প্রভাবে ৭৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাবে, বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে পানি তখন বাড়বে ১৪৪ থেকে ২০৯ সেন্টিমিটার। এতে ১৬ থেকে ১৮ ভাগ জমি তলিযে যাবে ১৩ থেকে ১৫ ভাগ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর অর্থনীতির দেশ, লোনা পানি বৃদ্ধির ফলে জমির লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ফসল মারাতœক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওয়াচ এর এক জরিপে দেখা যায়, ১৯৯১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের প্রায় ২০৯ কোটি ক্ষতি হয় যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ১.৫৬ শতাংশ। ২০৫০ সালের মধ্যে ধানের উৎপাদন ১০ শতাংশ এবং গমের উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমে যাবে। এছাড়াও সিডর, আইলা ও নার্গিসের কবলে পড়ে বাংলাদেশের যে ক্ষতি হয়েছে, তার ফলে দেশ আজ সোজা হয়ে দাড়াতে পারেনি। ক্ষতিগ্রস্ত এসকল দেশ তাদের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ও কার্বন নিঃসরনের পরিমান কমানোর লক্ষ্যে উন্নত দেশগুলোর সাথে মিলিত হয় জলবায়ু সম্মেলনে। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। বড় আশা নিয়ে এসকল দেশ মিলিত হয়েছিল দোহা জলবায়ু সম্মেলনে। বরাবরের মতো এবারো বাংলাদেশ পরিবেশমন্ত্রী, কয়েজন সংসদ সদস্য, সাংবাদিক, এনজিও ও গবেষক সহ দোহা জলবায়ু সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশ সহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুকিতে থাকা মালদ্বীপ, ইথিওপিয়া সহ আর কিছু দেশ মিলে তাদের সমস্যাগুলো জোড়ালো কণ্ঠে তুলে ধরে। কিন্তু তাদের এই বক্তব্য কার্বন নিঃসরনকারী দেশগুলোকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে বলে মনে হয় না। কেননা উন্নত দেশগুলোর চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিরোধিতা, জলবায়ু তহবিলে অর্থ প্রদানে অপরাগত এবং অনেক দেশ যে কিয়োটো প্রটোকলের মধ্যে থাকার অনিহা প্রকাশ করেছে তাতে করে মনে হয় দোহা জলবায়ু সম্মেলন কিছু ব্যর্থ গালভরা প্রতিশ্রুতির মধ্যে দিয়েই শেষ হল। এত বিরোধিতার পরও যদিও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং অর্থ যোগানের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে তারপরও এগুলো কতটুকু বাস্তবায়ন হবে এবং পরিবেশ দূষণ রোধ কতটুকু সম্ভব হবে, কিংবা আদৌ সম্ভব হবে কিনা, না আবারো কোপ-২১ এর আশায় বসে থাকতে হবে সেটা এখন দেখার বিষয়। কিন্তু পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে উন্নত বিশ্ব যদি এখনই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন না করে তবে আগামী কয়েক শতাব্দীর মধ্যে এই বিশ্ব বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। শরণার্থী মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাবে, ভুমিহীন মানুষ ও খাদ্যসংকটের সৃষ্টি হবে। তখন এর দায়ভার উন্নত বিশ্বকেই নিতে হবে। কিন্তু সেটা আমাদের প্রত্যাশা নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×