somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জগন্নাথের তিন ছাত্র বহিষ্কৃত দুজনের সনদ বাতিল

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাইকোর্টের নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও বিশ্বজিৎ কুমার দাস হত্যায় জড়িত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে চিহ্নিত করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এঁদের তিনজনকে বহিষ্কার ও দুজনের সনদ বাতিল করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর আবারও বলেছেন, পথচারী বিশ্বজিৎ দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগ কোনোভাবেই জড়িত নয়। জাতীয় জাদুঘরের এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি বলছি, এর সঙ্গে আমাদের ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই এবং কোনোভাবেই ছাত্রলীগ জড়িত নয়। এ দুঃখজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে আটজনের গ্রেপ্তারের কথা বলছেন তাঁরা কোথায়, তাঁদের নাম-পরিচয় কী, ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এঁদের আদালতে হাজির করা হয়নি কেন? এসব প্রশ্নের জবাব দেননি দায়িত্বশীল কেউ-ই। একই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করতে হবে, এটা সাংবিধানিক বিধান। এর মধ্যে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হলে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করতে না পারলে তা-ও আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় গতকাল বুধবার আটজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আবারও দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের আদালতে হাজির করা বা না করার বিষয়টি পুলিশ ও আদালত বুঝবে।’
পাঁচজন চিহ্নিত: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে চিহ্নিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র বাংলা বিভাগের (স্নাতকোত্তর-২০০৮-০৯) মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ ও দর্শন বিভাগের (স্নাতকোত্তর-২০০৮-০৯) ইমদাদুল হকের সনদ বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের (স্নাতক-২০০৮-০৯) রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের (স্নাতকোত্তর-২০০৯-১০) নূরে আলম, মনোবিজ্ঞান বিভাগের (স্নাতক-২০০৬-০৭) ওবাইদুল কাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এঁরা ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সক্রিয় কর্মী। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ছবি দেখে এবং নিজস্ব প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৯ ডিসেম্বর সকালে অবরোধের সময় পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে পথচারী বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং পত্রপত্রিকা হামলাকারীদের পরিচয় ও ছবি প্রকাশ করলেও পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে।
এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও নাম দেখে হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু গতকাল ২৪ ঘণ্টা পার হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেনি। গতকাল ভোরে সাভারের আশুলিয়া থেকে রফিকুল ইসলাম ও ওবাইদুল কাদের নামের দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা শোনা গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
বিক্ষোভ মিছিল: বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল বেলা দুইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। মিছিলটি শাঁখারীবাজার থেকে বের হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক, লক্ষ্মীবাজার, পাতলা খান লেনসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে কয়েক মিনিট অবস্থান করে।
বিশ্বজিতের ভাই উত্তম কুমার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে, তা স্পষ্ট। এখনো তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না কেন? আসলে আমরা বুঝতে পারছি না, সরকার কী চায়?’
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×