সত্যবাদী মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।
বিশ্বজিতের বাবা শ্মশান থেকে গণতন্ত্র পোড়ার গন্ধ পাচ্ছেন। অগ্নিদগ্ধ বিশ্বজিত্ বিনয়ের সাথে বাবাকে বলছে-বাবা! আমি লাশ নই। আমি বাংলাদেশের গণতন্ত্র। এই লাশে তুমি গণতন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছো। শুকে দেখ। গণতন্ত্রের গন্ধ। গণতন্ত্র পোড়ার গন্ধ। এই গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য বাবা তারা আমায় কুপিয়েছে। বাবা তোমরা ভোট দিতে যেও।আবার ২০১৪ সালকে মনে করো। হয়তো বাবা তোমাদের সেই ভোটের বিনিময়ে নতুন সরকার আসবে, আসবে নতুন কোনো লাশের সংবাদ।আমরা গণতন্ত্রে ভোট দেই একদিন। আর গণতন্ত্রের প্রহরীরা আমাদেরকে খুন করে প্রতিদিন। বাবা চোখের জল মোছে ফেলো। এটাতো আমাদের ভাগ্য। ১৬ ডিসেম্বরের মাত্র পাঁচ দিন আগে তুমি বিশ্বজিতের লাশ পেয়েছ। ছোট বোনটিকে কাঁদতে বারণ কর। ওকে বোঝাও এটা গণতন্ত্রের শ্মশান। এই শ্মশানে হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই। আমার আদরের বোনটিকে বলো আগামী নির্বাচনে যেন আর কারো নামে শ্লোগান না দেয়। বাবা আমি নূর হোসেনকে দেখতে পাচ্ছি। সে বিকৃত করেছে সেই শ্লোগানটি। নৈরাজ্যের গণতন্ত্র নিপাত যাক, মানুষ মুক্তি পাক। যে গণতন্ত্রে বাবাকে চিকিত্সা করাতে পারে না, যে গণতন্ত্রে বোনের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না, যে গণতন্ত্রে আমি রাস্তায় বেরোতে পারি না, বাবা তোমরা সেই গণতন্ত্রের জন্য ভোট দাও। বাবা আমি পুনর্জন্মে ফিরে আসব। অন্য কোনো দেশে। যে দেশের গণতন্ত্রের প্রহরীরা এভাবে কাউকে খুন করবে না।যে দেশে ছাত্রলীগ নাই