somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রজাপতির কত্ত রঙ

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছড়ার রঙিন বাঁকের মতো পাখা মেলে উড়ে বেড়ায় খাগড়া নামের প্রজাপতিটি। বাঁকা হাসির এ সুন্দর বন্ধুটির ইংরেজি নাম কিন্তু কমন কাইম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রকৃতির উঁচু-নিচু রাস্তায় হাঁটার সময় চোখের সামনে ওড়াউড়ি করতে দেখতে পারেন নাম-না-জানা মেয়ে প্রজাপতিটি। ক্ষণিকের মধ্যেই কাড়বে আপনার মনোযোগ। চিনতে চান তাকে? পেইন্টেড লেডি ইংরেজি নামের এ প্রজাপতি সখার বাংলা নামটি বিন্তি। টাইনি গ্রাস ব্লু পুরোদস্তুর বাঙালি গৃহবধূ সেজে এখন তিনি্ন নামেই পরিচিত।
বৈচিত্র্যময় এরকম প্রজাপতি দেখতে পাবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২৭৫ প্রজাতির বাহারি প্রজাপতির দেখা মেলে এ ক্যাম্পাসে। সৃজনশীল উদ্ভাবনী মানসিকতায় বৃক্ষরাজির ডালপালার আড়াল থেকে খুঁজে দর্শনার্থীদের সামনে এনে তুলে ধরেছেন অনুসন্ধিৎসু গবেষক অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন তুহিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে পড়ান তিনি। তার উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেক সৃষ্টিশীল গুণীজন অধ্যাপক ড. খালেদ হোসাইন। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান এ কবি পরম যত্নে ৪০টি প্রজাপতির বাংলা নামকরণ করেছেন। এমনকি ড. মনোয়ারের দেওয়া ব্যাখ্যার সঙ্গে ছড়ায় ছড়ায় প্রজাপতিগুলোর বৈশিষ্ট্যও বর্ণনা করেছেন কবি ড. খালেদ। প্রজাপতির সম্মিলন ঘটাতে বছরের একটি দিন ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় প্রজাপতি মেলার।
লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ নানা ধরনের প্রজাপতি। খাঁচায় বন্দি করে সে প্রজাপতিগুলো নিয়ে চলে প্রদর্শনী। চারদিকে মশারির জাল টানিয়ে বানানো হয়েছে প্রদর্শনী স্টল। খাঁচার ভেতরে ফুলের টব। তার ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে টাইগার গ্রুপ, শ্যালো টেল, গ্রাজ ইয়েলোসহ সাত রঙের প্রায় অর্ধশত প্রজাপতি। কৃত্রিমভাবে বানানো প্রজাপতির হাটে বৈচিত্র্যময় প্রজাপতি দেখে মুগ্ধ শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ। প্রজাপতির পাখার রঙ ক্যামেরায় বন্দির খেলায় ব্যস্ত কেউ কেউ।
গত শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত প্রজাপতি মেলায় এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। 'উড়লে আকাশে প্রজাপতি প্রকৃতি পায় নতুন গতি' প্রতিপাদ্য নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় প্রজাপতি মেলার। প্রকৃতি ও প্রজাপতি সংরক্ষণের প্রতি গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টানা ৩য় বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখা দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে।
এরপর সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের করিডোরে শিশুদের জন্য 'প্রকৃতি ও প্রজাপতি' শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি শহীদ মিনার সংলগ্ন বাগানে আয়োজন করা হয় প্রজাপতির নির্বাচিত ছবি নিয়ে প্রদর্শনী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রজাপতি আকৃতির প্রদর্শনী ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় প্রজাপতি বিষয়ক বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
মশারি টাঙিয়ে তার ভেতর কৃত্রিম বাগান তৈরি করে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ব্যবস্থা করা হয় সরাসরি প্রজাপতি প্রদর্শনীর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে প্রজাপতি নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি 'প্রজাপতি' দেখানো হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়। এখানে প্রজাপতিরা ইচ্ছেঘুড়ি মেলে উড়তে পারে। আপন মনে ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়, মধু খায়। আকাশে রং ছড়ায় । রঙের জাদুতে মোহিত করে দর্শকদের।
রঙের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রয়েছে বাহারি প্রজাতির নামও। টাইগার গ্রুপ, শ্যালো টেল, গ্রাজ ইয়েলো, ইয়েলো পেনসি, লাইম বাটার ফ্লাই_ আরও কত কী! আমাদের দেশের মোট দু'শ' জাতের প্রজাপতির ১১০ প্রজাতিই রয়েছে এখানে। প্রজাপতির বাংলা নামকরণ করেছেন ড. মনোয়ার। গবেষণা চালিয়ে তার তত্ত্বাবধানে আবিষ্কৃত ৪০টি প্রজাতির প্রজাপতির বাংলা নামকরণ করেন তিনি। তাকে সহযোগিতা করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক খালেদ হোসেন।

ছড়ার রঙিন বাঁকের মতো পাখা মেলে উড়ে বেড়ায় খাগড়া নামের প্রজাপতিটি। বাঁকা হাসির এ সুন্দর বন্ধুটির ইংরেজি নাম কিন্তু কমন কাইম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ প্রকৃতির উঁচু-নিচু রাস্তায় হাঁটার সময় চোখের সামনে ওড়াউড়ি করতে দেখতে পারেন নাম-না-জানা মেয়ে প্রজাপতিটি। ক্ষণিকের মধ্যেই কাড়বে আপনার মনোযোগ। চিনতে চান তাকে? পেইন্টেড লেডি ইংরেজি নামের এ প্রজাপতি সখার বাংলা নামটি বিন্তি। টাইনি গ্রাস ব্লু পুরোদস্তুর বাঙালি গৃহবধূ সেজে এখন তিনি্ন নামেই পরিচিত।
বৈচিত্র্যময় এরকম প্রজাপতি দেখতে পাবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২৭৫ প্রজাতির বাহারি প্রজাপতির দেখা মেলে এ ক্যাম্পাসে। সৃজনশীল উদ্ভাবনী মানসিকতায় বৃক্ষরাজির ডালপালার আড়াল থেকে খুঁজে দর্শনার্থীদের সামনে এনে তুলে ধরেছেন অনুসন্ধিৎসু গবেষক অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন তুহিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে পড়ান তিনি। তার উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেক সৃষ্টিশীল গুণীজন অধ্যাপক ড. খালেদ হোসাইন। বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান এ কবি পরম যত্নে ৪০টি প্রজাপতির বাংলা নামকরণ করেছেন। এমনকি ড. মনোয়ারের দেওয়া ব্যাখ্যার সঙ্গে ছড়ায় ছড়ায় প্রজাপতিগুলোর বৈশিষ্ট্যও বর্ণনা করেছেন কবি ড. খালেদ। প্রজাপতির সম্মিলন ঘটাতে বছরের একটি দিন ক্যাম্পাসে আয়োজন করা হয় প্রজাপতি মেলার।
লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ নানা ধরনের প্রজাপতি। খাঁচায় বন্দি করে সে প্রজাপতিগুলো নিয়ে চলে প্রদর্শনী। চারদিকে মশারির জাল টানিয়ে বানানো হয়েছে প্রদর্শনী স্টল। খাঁচার ভেতরে ফুলের টব। তার ওপর ঘুরে বেড়াচ্ছে টাইগার গ্রুপ, শ্যালো টেল, গ্রাজ ইয়েলোসহ সাত রঙের প্রায় অর্ধশত প্রজাপতি। কৃত্রিমভাবে বানানো প্রজাপতির হাটে বৈচিত্র্যময় প্রজাপতি দেখে মুগ্ধ শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ। প্রজাপতির পাখার রঙ ক্যামেরায় বন্দির খেলায় ব্যস্ত কেউ কেউ।
গত শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত প্রজাপতি মেলায় এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। 'উড়লে আকাশে প্রজাপতি প্রকৃতি পায় নতুন গতি' প্রতিপাদ্য নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় প্রজাপতি মেলার। প্রকৃতি ও প্রজাপতি সংরক্ষণের প্রতি গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে টানা ৩য় বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখা দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে।
এরপর সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের করিডোরে শিশুদের জন্য 'প্রকৃতি ও প্রজাপতি' শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি শহীদ মিনার সংলগ্ন বাগানে আয়োজন করা হয় প্রজাপতির নির্বাচিত ছবি নিয়ে প্রদর্শনী। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রজাপতি আকৃতির প্রদর্শনী ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় প্রজাপতি বিষয়ক বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
মশারি টাঙিয়ে তার ভেতর কৃত্রিম বাগান তৈরি করে বোটানিক্যাল গার্ডেনে ব্যবস্থা করা হয় সরাসরি প্রজাপতি প্রদর্শনীর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে প্রজাপতি নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি 'প্রজাপতি' দেখানো হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়। এখানে প্রজাপতিরা ইচ্ছেঘুড়ি মেলে উড়তে পারে। আপন মনে ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়, মধু খায়। আকাশে রং ছড়ায় । রঙের জাদুতে মোহিত করে দর্শকদের।
রঙের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রয়েছে বাহারি প্রজাতির নামও। টাইগার গ্রুপ, শ্যালো টেল, গ্রাজ ইয়েলো, ইয়েলো পেনসি, লাইম বাটার ফ্লাই_ আরও কত কী! আমাদের দেশের মোট দু'শ' জাতের প্রজাপতির ১১০ প্রজাতিই রয়েছে এখানে। প্রজাপতির বাংলা নামকরণ করেছেন ড. মনোয়ার। গবেষণা চালিয়ে তার তত্ত্বাবধানে আবিষ্কৃত ৪০টি প্রজাতির প্রজাপতির বাংলা নামকরণ করেন তিনি। তাকে সহযোগিতা করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক খালেদ হোসেন।


Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×