.........................................................................
আমি আমার মৃত্যু দেখেছি তোমাদের দেশে
নৃশংসতার, অমানবিকতার কোপানলে তোমাদের রক্তচক্ষুতে
আমার রক্তে আমি করেছি দাফনের স্নান
চিতার হুংকারে দৌড়ে পালাতে চেয়েছি ক্ষমা করেনি শ্মশান...
খোলা দরজা, ভিতরে তোমাদের রঙ্গের মসনদ
হুকুমে তোমার ক্ষমতা গর্জে, বাহিরে তোমাদের দুর্দান্ত দাপট
খোঁচায় খোঁচায় তুমি তোমার দেশে আমারে ক্ষতবিক্ষত কর
আমার ফোটায় ফোটায় লাল জীবনের স্পন্দনে পরিস্কার কর তোমার হাত,তোমার দেশ
আমার রক্ত গঙ্গার পানে চেয়ে আমার দেশ খুজেছি করেছি চিৎকার
অবশেষে তুমি তোমার ঘরে গিয়ে নিয়েছ আত্মতৃপ্তির স্বাদ, করেছ জয়োল্লাস
হয়ত মাতাল নেশায় তোমরা প্রদর্শন করবে তোমাদের আজন্ম আহ্লাদ
আর আমি...... রব সেই সাধারন একজন, কোন একদিন ছিল কিনা কেউ করবে না স্মরন
হয়তো এই মাটিতে যার জন্য ঐ মা বাবা আমৃত্যু ফেলবে চোঁখের জল
সদা লোনা জলে দেখবে আমার রক্তাক্ত ছবি তোমাদের মাটির উল্টো পিঠে
তবু তারা দোষ দিবে না কাউকেই ... ঘোর অন্ধকারে নিজের কপালেই ফেলবে হয়তো জুতার বারি
আবার হয়ত কালের গর্তে সব ঢেকে গিয়ে নতুন সুরে বেজে উঠবে এই দেশে
আরও এক বাবা মার আর্তনাদ ... এইতো হয় বারবার এই তো হয়ে আসছে
আবার কোন একদিন তোমাদের এই আজকার খোলা দরজায় ঝুলবে তালা
ঘোর অন্ধকারে ক্ষনে ক্ষনে বেজে উঠবে আজকের রাজাদের আর্তনাদ .........
পাশেই জেগে উঠবে আরেকটি নতুন ঘর, চলবে নতুনের মোহরা
বলির পাঠা হয়তো হবে সাধারন কোন এক বিশ্বজিত, সে বিশ্বজিত,আমি,সে
যাকে এ দেশের কোন প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন পড়ে না, হলে বিশ্বজিত বারবার মরতো না |