আদালতে আসার পরেও ভোগান্তির শিকার হলে বিচারকসহ আদালত সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি মানুষের বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
Published : 03 Jun 2013, 07:16 AM
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষ আর কোনো উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেই তারা আদালতে আসে। এই আদালতে আসার পরেও যদি তারা ভোগান্তির শিকার হয় তাহলে বিচারকসহ সবার প্রতি মানুষের বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়।
ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে বিচারকদের সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও বিচারিক মন প্রয়োগ গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন কামরুল ইসলাম।
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ আপনাদের কাছে আসে। সেটাই না পেলে এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।”
বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এজন্য আমরা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেছি। দরিদ্র মানুষ যাতে বিচার পায় সেজন্য লিগ্যাল এইড প্রকল্প আগেরবার চালু করেছিলাম। মাঝখানে এটা থমকে দাঁড়িয়েছিলো। বর্তমান আমলে আমরা আবার তা শক্তিশালী করেছি। প্রতিটি জেলায় লিগ্যাল এইডের কার্যালয় রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এই সেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে।”
“আমি এখন বলতে পারি, আপনারা এবং অ্যাডভোকেটরা সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করলে মানুষ আর ভোগান্তিতে পড়বে না,” বলেন তিনি।
অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল করা হয়েছে উল্লেখ করে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিচারকরা ভূমিকা রাখলে তাতে মানুষের উপকার হবে।
বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিচার বিভাগে কোনো প্রভাব বিস্তার করা হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “অতীতে অনেক ফরমায়েশী রায় হয়েছে। এখন বিচারকরা প্রভাবমুক্ত হয়ে বিচারিক মনের পূর্ণ প্রয়োগ ঘটিয়ে বিচার করতে পারেন।”
বিচারকদের বেতন বাড়ানোর প্রসঙ্গ তুলে ধরে কামরুল ইসলাম বলেন, বিচার বিভাগের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অতীতের কোনো সরকার বিচারকদের প্রতি এতটা সদয় হয়নি। বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে এটা করা হয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মফিজুল ইসলাম।