তারেক রহমানকে ডাকাতের সঙ্গে তুলনার বক্তব্য অস্বীকার করে তার উকিল নোটিস প্রত্যাহার চেয়েছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
Published : 03 Jun 2013, 09:52 AM
নোটিস প্রত্যাহার না করলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও কথা বলেছেন তিনি।
সোমবার মন্ত্রীর আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু সুপ্রিম কোর্টে আইন সাংবাদিকদের কার্যালয়ে একথা জানান।
এর জবাবে আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু বলেন, “আমার মক্কেলের ওই বক্তব্য সকল পত্রিকায় একইভাবে এসেছে। কিন্তু একটি পত্রিকায়ই তা ব্যতিক্রমভাবে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি এভাবে কথা বলেননি।”
তিনি বলেন, “আপনি আমার মক্কেলকে কেবল একটি উকিল নোটিস দিয়েই ক্ষান্ত হননি। বরং এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন, যা সুশীল সমাজে আমার মক্কেলের ইমেজ ধ্বংস করেছে।”
“এই অবস্থায় ওই উকিল নোটিস প্রত্যাহার না করলে দেওয়ানী ও ফৌজদারি আইনে আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
গত পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি লন্ডনে এক সমাবেশে বক্তব্য দেন। প্রবাসে প্রথম রাজনৈতিক সভায় তারেকের বক্তব্য নিয়ে সরকারি দলের নেতারা সমালোচনা করে আসছেন।
এ রকমই একটি বক্তব্য ধরে পরিবেশমন্ত্রীকে উকিল নোটিস পাঠান তারেক, যাতে দৈনিক আমাদের সময়ে গত ২৫ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ উল্লেখ করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পরিবেশমন্ত্রী পৌরাণিক কাহিনীর রঘু ডাকাতের সঙ্গে তুলনা করেছেন। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির শাসনামলে হাওয়া ভবনের মধ্যমণি, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বরপুত্র তারেক রহমানকে বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে বিএনপি প্রকারান্তরে জানিয়ে দিয়েছে, তারা দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসবান্ধব।”
নোটিসের জবাবে আব্দুল মতিন খসরু বলেন, প্রকৃতপক্ষে হাছান মাহমুদ বলেছেন, তারেক রহমান ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলাসহ অন্য মামলায় অভিযুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) বাংলাদেশের আদালতে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ উপস্থাপন করে গেছেন। বিএনপি- জামায়াত জোট সরকারের আমলে তিনি হাওয়া ভবনের মাধ্যমে বিকল্প প্রশাসন গড়ে তুলেছেন। দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটিয়েছেন। এ কারণে মানুষ তাকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বরপুত্র হিসাবে বিবেচনা করতেন।
জবাব দিতে হাছান মাহমুদকে দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হলেও রোববারই এই জবাব তারেকের আইনজীবীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আব্দুল মতিন খসরু।
একই ধরনের একটি বক্তব্যের জন্য আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামকেও উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন তারেক, যাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।