আমাদের মায়ের শরীরের কোথাও গ্যাংগ্রিন হয়ছিলো
নিজ গুনে সেটা ছড়িয়ে পড়তে চেয়েছিলো সবখানে
সুতরাং একাত্তরে
আমরা মায়ের অসুস্থ অংশটুকু ফেলে দিই ।
তবুও চামড়ার নিচে কোথাও দপদপ
জ্বলেই যাচ্ছিলো ব্যথারা
খুব নিঃশব্দে ঘাই মেরে মেরে
অসুখটা আবারো ছড়িয়ে পড়ছে ...
ঘরের জানালা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে
সকালের অক্ষর , আমি তাই লজ্জায়
দরজা বন্ধ রাখি ।
গল্প বলাবলিতে আমি নেই আর
ভাবছি সন্তানদের কেউ
একাত্তরের গল্প শুনতে চাইলে
অন্ধকারের মশারি থেকে চোখ নামিয়ে বলব
' বাবারা , মুক্তিযুদ্ধ বইলা কখনও কিছু ছিল না .........'
---শিবলী শাহেদ---
১০১২১২