somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ট্রাইবুনালের ফাঁস হওয়া স্কাইপিবার্তা নিয়ে ৩টি কথা

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকা:- গণতন্ত্রের মুখরোচক ইজম আমাদের ভাতৃত্বপ্রিয় দেশটিকে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের দু'টি মেরুতে ভাগ করে দিয়েছে। বহুদিন ধরে বিভক্ত করে রেখেছে দেশের মানুষকে। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ ও রাজনৈতিক স্ট্রাটেজির ভয়ঙ্কর খেলার অংশ হিসেবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে জাতিকে নতুন আরো দু'টি মেরুতে বিভক্ত করে দিয়েছে কিছু লোক। এর ফলে গৃহযুদ্ধ না হলেও দেশে যে, দীর্ঘস্থায়ী অঘোষিত স্নায়ুযুদ্ধ চলবে সেকথা অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

গত কয়েক বছরে মন্ত্রী মহোদয় গণ নিজেদের বক্তৃতায় যতোবার যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কথা বলেছেন, তত বার দেশের অন্য কোন উন্নয়ন ইস্যুতেও কথা বলেন নি। একটি দেশের পিছিয়ে পড়ার জন্য আর কি প্রয়োজন? রাজনৈতিক এই খেলাকে কোন ভাবেই আমি সাময়ীক মনে করি না। নতুন কোন পলেটিক্যল স্ট্রাটেজি পাওয়ার আগ পর্যন্ত এটা চলবে। ইতোমধ্যে অনেক দায়ত্বশীলকে বলতে শোনা গেছে যে, দেশের গ্রামে গ্রামে ট্রাইবুনাল করে সব দালালদের বিচার করা হবে। এমনকি প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই বিচার চলবে!!! ফল: জাতীয় ঐক্য নয়,বরং বিএনপি আওয়ামীলীগের দু'টি মেরুর পর নতুন করে আরো দু'টি মেরুতে ভাগ হয়ে থাকবে এদেশের জনগন।ফলাফল ভোগ করবে রানৈতিক জুয়াড়ীরা।

মুল কথা:-
{১} বিচারপতির কথোপকথনগুলো বেআইনি হলে বা তাতে অন্যয্য কিছু থাকলে আসামীর অধিকার, কিংবা বিচারের স্বচ্ছতা রক্ষায় মিডিয়ার ভুমিকা অপরিহার্য ছিল। আর এর বিপরীত হলে দৈনিক আমার দেশের বিরোদ্ধে রিপোর্ট করাও তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু অজানা কারণে মিডিয়া সম্পুর্ণ নিরব। যেদেশে স্বঘোষিত ঘাতকের বিচারে অধিকার রক্ষা হলো কিনা, সেটা নিয়ে মিডিয়ার হৈচৈ
য়ের অন্ত থাকে না, সেদেশে এতোবড় হাইপ্রোফাইল বিষয়টি নিয়ে তাদের নিরবতা হয়তো ভয়ের কারণে নয়তো পক্ষপাতিতেত্বের কারণে। এটাই কি সত্য প্রকাশে নির্ভিক হওয়া? সাংবাদিক তো সংবাদই প্রচার করবে, সেটা কার পক্ষে গেল না গেল বিবেচ্য হওয়ার কথা নয়। এই বিচারের ব্যপারে অতিরিক্ত উৎসাহী সুশীরা তো এসব বিষয়েই সবচে বেশি মাথা ঘামিয়ে থাকে, তাদের মুখেও কুলুপ কেন?

{২} কেউ কেউ মুখ খুলে বলেছেন, বিচারপতি কারো সাথে পরামর্শ করতেই পারেন। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। আমি আইনের কিছুই বুঝিনা। তবুও অন্যন্য মামলার নজীর থেকে যেটুকু বুঝি, বিচারাধীন বিষয়ে তিনি কোর্টের বাইরে কারো সাথে ব্যক্তিগতভাবে কোন কথাই বলতে পারেন না। এমনকি কিছুদিন আগে ইকনোমিস্টের সাক্ষাতকারে উঠে এসেছে যে, বিচারকা স্বীয় স্ত্রীর সাথেও কোন কিছু শেয়ার করতে পারেন না। পরামর্শ নেওয়ার আইনি নিয়ম হলো, প্রকাশ্যে এ্যমিকাশ কিউরি নিয়োগ দিয়ে ওপেন কোর্টে তাদের মতামত নেওয়া।

{৩} ভেতরের কথা নিয়ে আজ কিছু না লিখে পুরো আলাপচারিতা প্রকাশের অপেক্ষা করতে চাই। শুধু একটি কথা বলতে চাই। বিচার নিজের গতিতে চলার কথা এদেশে যাদের মুখ থেকে শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা, তারাই আজ বলছে, সরকার রায় ঘোষণার জন্য বিচারককে পিড়াপিড়ি করতেই পারে, আমরা সবাই তো বিচারের দ্রুততা চাই। আমার কথা হলো, চাওয়া এক জিনিস, আর বিচারককে চাপ দেওয়া আরেক জিসিন। একজন মন্ত্রী বিচারাধীন বিষয়ে বিচারপতির বাসায় যাওয়া মানেই চাপ সৃষ্টি। যার কারণে বিচারপতির মুখে ''পাগল হইয়া গেছে সরকার'' কথাটি উঠে এসেছে। বিশ্বের কোন আইনে Executive Boady কখনো Judiciary কে বিচারিক কোন বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লোকচক্ষুর আড়ালে তার বাসায় গিয়ে রায়ের তাগিদ দেওয়া কি প্রভাবিত করা নয়?
{১} বিচারপতির কথোপকথনগুলো বেআইনি হলে বা তাতে অন্যয্য কিছু থাকলে আসামীর অধিকার, কিংবা বিচারের স্বচ্ছতা রক্ষায় মিডিয়ার ভুমিকা অপরিহার্য ছিল। আর এর বিপরীত হলে দৈনিক আমার দেশের বিরোদ্ধে রিপোর্ট করাও তাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু অজানা কারণে মিডিয়া সম্পুর্ণ নিরব। যেদেশে স্বঘোষিত ঘাতকের বিচারে অধিকার রক্ষা হলো কিনা, সেটা নিয়ে মিডিয়ার হৈচৈ
য়ের অন্ত থাকে না, সেদেশে এতোবড় হাইপ্রোফাইল বিষয়টি নিয়ে তাদের নিরবতা হয়তো ভয়ের কারণে নয়তো পক্ষপাতিতেত্বের কারণে। এটাই কি সত্য প্রকাশে নির্ভিক হওয়া? সাংবাদিক তো সংবাদই প্রচার করবে, সেটা কার পক্ষে গেল না গেল বিবেচ্য হওয়ার কথা নয়। এই বিচারের ব্যপারে অতিরিক্ত উৎসাহী সুশীরা তো এসব বিষয়েই সবচে বেশি মাথা ঘামিয়ে থাকে, তাদের মুখেও কুলুপ কেন?

{২} কেউ কেউ মুখ খুলে বলেছেন, বিচারপতি কারো সাথে পরামর্শ করতেই পারেন। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। আমি আইনের কিছুই বুঝিনা। তবুও অন্যন্য মামলার নজীর থেকে যেটুকু বুঝি, বিচারাধীন বিষয়ে তিনি কোর্টের বাইরে কারো সাথে ব্যক্তিগতভাবে কোন কথাই বলতে পারেন না। এমনকি কিছুদিন আগে ইকনোমিস্টের সাক্ষাতকারে উঠে এসেছে যে, বিচারকা স্বীয় স্ত্রীর সাথেও কোন কিছু শেয়ার করতে পারেন না। পরামর্শ নেওয়ার আইনি নিয়ম হলো, প্রকাশ্যে এ্যমিকাশ কিউরি নিয়োগ দিয়ে ওপেন কোর্টে তাদের মতামত নেওয়া।

{৩} ভেতরের কথা নিয়ে আজ কিছু না লিখে পুরো আলাপচারিতা প্রকাশের অপেক্ষা করতে চাই। শুধু একটি কথা বলতে চাই। বিচার নিজের গতিতে চলার কথা এদেশে যাদের মুখ থেকে শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা, তারাই আজ বলছে, সরকার রায় ঘোষণার জন্য বিচারককে পিড়াপিড়ি করতেই পারে, আমরা সবাই তো বিচারের দ্রুততা চাই। আমার কথা হলো, চাওয়া এক জিনিস, আর বিচারককে চাপ দেওয়া আরেক জিসিন। একজন মন্ত্রী বিচারাধীন বিষয়ে বিচারপতির বাসায় যাওয়া মানেই চাপ সৃষ্টি। যার কারণে বিচারপতির মুখে ''পাগল হইয়া গেছে সরকার'' কথাটি উঠে এসেছে। বিশ্বের কোন আইনে Executive Boady কখনো Judiciary কে বিচারিক কোন বিষয়ে কিছুই বলতে পারে না। সেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লোকচক্ষুর আড়ালে তার বাসায় গিয়ে রায়ের তাগিদ দেওয়া কি প্রভাবিত করা নয়?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৫
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×