somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

:Pজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা যা দেখাচ্ছে

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

X((জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা এখন যা দেখাচ্ছে তা ইতিপূর্বে কেউ দেখেছে বা সামনে কোনদিন দেখবে বলে মনে হয়না। সাংবাদিকরা আগে ব্যবস্ত ছিল রাজনীতি করতে ও করাতে। বাস্তবে এখন এ সকল কাজ বাদদিয়ে নিজেরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আকাম কুকামে। আদর্শ নীতি নৈতিকতা বাদ দিয়ে অন্যের বাশ কিভাবে দেওয়া যায় তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা। সাংবাদিকদের এহেন কুকর্মের ফলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ক্যাম্পাস বাসী। যেখানে সকলের আস্থাভাজন হবে সাংবাদিকরা সেখানে ধামাধরা তোষামদকারী রূপে প্রকাশ পাচ্ছে সাংবাদিকদের চেহারায়। আগে চাদাবাজি, নারী কেলেংকারী, ছাগলচুরির ভাগবাটোয়াকারী নামে প্রকাশ পেলেও নতুন আর একটা নামে প্রকাশ পাচ্চে সাংবাদিকদের, তা হল নকলকারী। ঘটনা সত্য হলে অত্যান্ত দুঃখের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আস্থাভাজন হওয়ায় সবাই মুক্তি পেয়ে গেছে ইতিপূর্বে এবারও নকলকারী ও সরবরাহকারী বেচে যাবে প্রশাসনের অশেষ কৃপায়। আগে দেখেছি সাংবাদিকরা ক্যাম্পাসের নানা সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকত। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন বিষয় গনমাধ্যমে তুলে ধরত। এখন আর আগের মত দেখা যায়না। হয় কারোর বাশ দেওয়া নিউজ হচ্চে বা তেল দেওয়া নিউজ হচ্ছে। সাধারন শিক্ষার্থীদের কল্যানের জন্য কোন সংবাদ দেখা যায়না। কষ্টের বিষয় হল সাংবাদিকরা যখন সাংবাদিকতা বাদ দিয়ে টাকার পেছনে ছুটেছে তখনই তাদের আদর্শ শেষ হয়ে গেছে। এখন কথিত আদর্শের নামে চলে চাদাবাজি, নারী ক্যালেংকারী, ছাগল চুরি অবশেষে নকলবাজী। সাংবাদিকদের প্রাক্তন এক সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া গবেষনাগার ও দুটি হলের টেন্ডার নিয়ে চাদাবাজি এবং তৎকালীন ভিসির সাথে সখ্যতার কারনে নিজ আতœীয়স্বজন নামে নিয়োগ বানিজ্য থেকে শুরু হয়েছে এ নৈতিক ধ্বংসের। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত সাংবাদিকরা আদর্শের নাম বলে দুটি সংগঠনে বিভক্ত হয় ক্ষমতার লোভে। একটি জামাত শিবিরের দুর্গ ক্ষ্যাত সাংবাদিক সমিতি এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ দাবিদার প্রেস ক্লাব। এরপরই প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক জনকন্ঠের সাংবাদিক আহমেদ রিয়াদের বিরুদ্ধে ইভটিজিং ও ছাত্রী উত্তোকতোর অভিযোগ ওঠে এবং তখন তার বিরুদ্ধে মিছিল ও বের করে সাধারন শিক্ষার্থীরা। এর কিছুদিন পরে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক হারুন-অর- রশিদ কক্সবাজার ট্যুরের নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী ২/৩ জন শিক্ষকের নিকট মোটা অংকের চাদা নেয়। এমনকি এদের মধ্যে এক শিক্ষক টাকা না দিয়ে সেন্টমার্টিনের যাবতীয় খরচ বহন করে বাধ্য হয়ে। কেননা তার প্রজেক্টের একটা খারাপ নিউজ করে বন্ধ করে দেবে তার প্রজেক্ট, সাংবাদিকাদের এই ভয় দেখানোর পর বাধ্য হয় তিনি। এরকিছুদিন পর রফিক জব্বার হলের ছাত্রলীগ ছাগল চুরি করে খাওয়ার সময় সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সমকালের সাংবাদিক ইমদাদ হক (আগে আদিত্য শুভ্র ছিল) ছাগলের ভাগ চাই তা না হলে নিউজ করে দিবে। (পরে না দেওয়ার ফলে নিউজ করে ঔই সাংবাদিক)। যার অডিও কপি আমরা বিভিন্ন পত্রিকার অফিসে পাই। এরপরে সা¤প্রতি ঘটেছে নকলবাজীর ঘটনা। প্রেসক্লাবের প্রকাশনা সম্পাদক যুগান্তরের সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম লিখন ৩য় বর্ষ পরীক্ষা দিতে যেয়ে নকল করে ধরা খায়। এ বিষয়ে ফেসবুকে একটা কমেন্টস আমার ভাল লেগেছে “ এসকল চোর বাটপার সাংবাদিকরা তাদের পত্রিকায় ভাল কি লিখতে পারে যারা বিভিন্ন খারাপ কাজের সাথে জড়িত। এদের চিন্তা ভাবনায়ত ঘুন ধরে গেছে। এরা জাতিকে কি উপহার দিবে। আগের সব চোরই মুক্তি পেয়ে গেছে আশা করি এ চোরও মুক্তি পেয়ে যাবে। কি আশা করব এ ধ্বজভাঙ্গা সাংবাদিকদের কাছ থেকে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা এখন কি করছে তা ক্যাম্পাসবাসীর সচেতন ভাবে পর্যবেক্ষন করছে। শিবিরের আখড়া নামে ক্ষ্যাত সাংবাদিক সমিতি যেখানে শিবির ছাড়া কোন সাংবাদিক নাই আবার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী প্রেস ক্লাব যেখানে আদর্শের বুলি উড়িয়ে অনাদর্শের কাজ হয়। কি দিবে ক্যাম্পাসকে এরা। নতুন একটা ক্লাব খুলেই জোগাড় করেছে দামি কম্পিউটার, টিভি, চেয়ার টেবিল। আবার নিত্যনতুন ট্যুরের আয়োজন করে অন্য একটি সংগঠন। এত টাকা কোথায় পায় সাংবাদিকরা? তারা কি আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেছে না লাভজনক ব্যবসা করে? প্রেস ক্লাবের পৃষ্টপোষকতা ভিসি থাকলে প্রধান সমন্বয়ক এখন কালের কন্ঠের ইমন রহমান ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহফুজুল হক। যাদের শিক্ষা জীবন শেষের দিকে হলেও এখনও ক্যাম্পাসে থাকে কিসের কারনে? ক্যাম্পাস কি তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি যে ক্যম্পাস ছাড়বেনা। আবার সাংবাদিক সমিতি চলে অদৃশ্য শক্তির জোরে। এ অদৃশ্য শক্তি কি সেটা কি জানেনা ক্যাম্পাসবাসী? নতুন নতুন সাংবাদিকদের দেখা যায় বিভিন্ন অখ্যাত পত্রিকার নামে সাংবাদিক সমিতির ব্যানারে। এ অচেনা মুখ গুলো কোথা থেকে বের করছে সাংবাদিক সমিতি। না তাদের সাংবাদিক বানানোর আলাদা গুদাম আছে। আমরা যখন সাংবাদিক ছিলাম তখন অনেক কাঠকড়ি পুড়ায়ে একজন সাংবাদিক বানাতাম। আর এখন দেখা যায় রাতারাতি সাংবাদিক হয়ে যাচ্ছে। বড় মজার নাটক এখন ক্যাম্পাসে। তেমনি নাম মাত্র কয়েকটি পত্রিকা নিয়ে বেচে আছে প্রেস ক্লাব। মজার বিষয় হল শরিফ এনামুল কবির ভিসি থাকা অবস্থায় তার পিছনে ঘুরঘুর করত প্রেস ক্লাব। তার আজ্ঞাবহ ছিল এ সংগঠন। ছাত্রলীগের জ্ঞানী শাখা নামে পরিচিত ছিল ক্লাবটি। পরে দেখা যায় আনোয়ার হোসেন আসার পর সমিতি হয়েগেছে তার আজ্ঞাবহ। পারলে ভিসির পা ধরে বসে থাকে তারা। নতুন ভিসিকি ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা প্রক্টরকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা সত্যই লজ্জাকর। এগুলো দিয়ে প্রশাসনের কাছে ভিড়তে চাই তারা। আগে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাদাগাদা নিউজ করলেও এখন কোন নিউজ দেখা যায়না। তাহলে কি নতুন ভিসি তাদেরকে কিছু উপহার দেয় কিনা সন্দেহ আছে। সর্বপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতি দুটির দিকে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। কি করছে তারা এত টাকা কোথায় পায়? এবং সাধারন শিক্ষার্থীদের অপরাধের কারনে যে শাস্তি হয় একই শাস্তি তাদের হওয়া উচিত। তারা আহামরি কেউ নয় যে তারা অন্যায় করলে শাস্তি দেওয়া যাবেনা। কেননা নিজেরাই তাদের পরিচয় নষ্ট করে চাদাবাজ, নারীলোভী, ছাগলচোর, নকলকারী দিয়েছে। তাদেরকেও সমান দৃষ্টিতে দেখা হোক। আইনের ফাকদিয়ে যেন বের না হয়ে যায়। আমার সচেন শিক্ষার্থীরা সজাগ আছি, না হলে আমরা বিচার করে দেব।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×