আমি একজন সাধারন মানুষ বলছি।
আমি কোন রাজনীতি করিনা, তারপরও কি আমার জীবন নিরাপদ। বিশ্বজিতের ঘটনা দেখে তো তা মনে হচ্ছে না।
না। আমি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলবনা।পক্ষেও না।
আমি বিএনপি'র পক্ষেও বলবনা, বিপক্ষেও না।
আমি জামাতকেও সমর্থন করবো না।
আমি একজন সাধারন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই।
আমি স্বাধীন দেশে সুস্থভাবে নি:শ্বাস নিতে চাই।
আমি আরেকজন বিশ্বজিত হতে চাইনা।
আমার সংবাদপত্রের হেডিং হবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও নাই।
আমি আমার ছোট্ট ছেলেটাকে কোলে নিয়ে বিকেলবেলা বেড়াতে চাই।
আমি লাশ হতে চাই না।
বিশ্বজিতের মৃতু্যতে সামুতে পোষ্টের বন্যা বয়ে গেছে।অধিকাংশ আওয়ামী বিরোধী পোষ্ট। কিছু কিছু পোষ্টের মন্তব্যে দেখলাম অনেকে বলছেন জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এক হতে হবে। তার মানে! আবারও একটা রাজনৈতিক দলের অশুভ ছায়ায়?
এখানে একটা গ্রুপিং চলছে।
হয় ছাগু হও, নইলে ভাদা হও, নাহয় কুত্তা দল হও, নতুবা কুত্তা লীগ হও, একটা কিছু হইতেই হবে!?
কিছু না হইলে চলে না!
ওহ্ হো, ভুইলাই গেছিলাম কিছু না হইলে তো আবার পোষ্টে হিট কইমা যাইবো, + কইমা যাইবো, কুত্তা বিলাইও কমেন্ট করবো না, তাই না!
তাই সই। আমার প্রতিষ্ঠিত, জনপ্রিয় ব্লগার হওয়ার দরকার নাই।
আমি সাধারন মানুষ হইতে চাই।
সামুর সব ব্লগাররাই কি রাজনীতির সাথে জড়িত?
সম্ভবত না। বরং আমার মত নীরিহ, শান্তিপ্রিয় ব্লগারের সংখ্যাই বেশী।
আসেন না আমরা একটা গ্রুপ বানাই।
"রাজনীতি মুক্ত সাধারন পাবলিক" গ্রুপ।
এখন কোন লেখায় স্বাধীন মত প্রকাশ করতে গেলেই ভয় লাগে। এই বুঝি কেউ গালি দিলো, এই বুঝি রিপোর্ট করলো, এই বুঝি আমারে ব্যান কইরা দিলো।
জীবনের সব ক্ষেত্রেই ভয়, আতঙ্ক আর হাহাকার নিয়ে বেঁচে আছি।
এই ভয় থেকে কি মুক্তি নেই?
অনেকে বলে বিশ্বজিত মরে গিয়ে বেঁচে গেছে। এই নোংরামি আর দেখতে হবেনা তাকে।
কিন্তু আমিতো মরে গিয়ে বাঁচতেও ভয় পাই,
আমি মরে গেলে আমার ছেলেটার কি হবে?