somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বজিত ও কিছু কথা !

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বজিত এর মত হাজার খুন আমরা শুনে এড়িয়ে চলে জাই। রাস্তা-ঘাটে নিরবিকার কুপিয়ে হত্যা থেকে শুরু করে, কর্তবরত ডাক্তার কে ধর্ষন এর পর হত্যা করে ফেলাও আজকালের টাটকা খবর। এগুলো কেবল মাত্র দু’দিনের সংবাদ হয়ে খানিক মুহূরতে হারিয়ে যায়। আমরাও এসব নিয়ে পরে আর মাথা ঘামাইনা । “এ দেশটাই এরকম, এখাণে এসব কি নতুন কিছু” বলে সব ভুলে যাই ।

আমিও হয়ত ভুলে যাব বিশ্বজিত কে। পরশু আরেক বিশ্বজিত এর লাশ দেখে মন টা একটু খারাপ হবে, তারপর সব ভুলে যাব। কারণ আমার জীবনটা চলমান ।

বিশ্বজিত আলোচণার কেন্দ্রবিন্দু আজ। নির্মম হত্যাকারী দের ছুরিকাঘাতে তার সকল আকুতি মিনতি ও হার মানিয়েছিল। হয়ত আমি ও আপনি এখন এটা মনে করতে পারি যে, সময় শুধু তার জন্য ভুল ছিল। না হলে এত মানুষ থাকতে বিশ্বজিত কে কেন প্রান দিতে হল ।

হত্যা চলাকালীন সময় সকল প্রত্যক্ষদশীদের সাথে এদেশের সবচেয়ে মূল্যবান নাগরিকরাও উপস্থিত ছিলেন। হ্যা, আমাদের সাংবাদিক দের কথা বলছি। যারা তখন জীবনবাজি রেখে ব্যস্ত ছিলেন রক্তমাখা বিশ্বজিত এর কয়েকটি কোটি টাকার ছবি তুলতে। এসব ছবি যে পরদিন সংবাদ মাধ্যমে তুমুল ঝড় তুলবে। ডজনখানেক সাংবাদিকরা তখন ব্যস্ত ছিলেন একটি হত্যাকাণ্ডের প্রমানসহ রচনা লিখতে। এরমধ্যে কেউ একজন রচনা বাদ দিয়ে যদি সাহসিকতার পরিচয় দিতেন, হত্যাকাণ্ডে বাঁধা দিয়ে বাঁচাতে পারতেন একটি তরতাজা প্রাণকে, হয়ত সংবাদ মাধ্যমে তার এ রচনা আসতনা, হয়ত তার চাকরি হারানোর আশংকা বহুগুনে বেড়ে যেত, কিন্তু প্রানে বেচে যেত একটি বিশ্বজিত ।

এসব সহিংসতা চলবেই, রাস্তা-ঘাটে ভাংচুর হবেই। অবাধে চলবে ধর্ষন, হত্যা । আর এসব টাটকা সব সংবাদ আমরা পাব কেবল সাংবাদিক দের কাছ থেকেই। অথচ আজ একটি সাংবাদিক মারা গেলে দৃশ্যপট হত পুরো উল্টো। রাস্তা-ঘাট ভরে যেত প্রতিবাদ আর অ্নশনে । মামলাও হতো, অপরাধীরা শাশ্তিও পেত। কিন্তু বিশ্বজিত এর মত অসহায় জনতার হত্যাকাণ্ডের বিচার হবেনা। বিশ্বজিত এর মত টাটকা প্রান বাঁচাতে একটি সাংবাদিকও এগিয়ে আসবেনা। ফলাফল, সংবাদমাধ্যম গুলোর ব্যবসা জমজমাট !

পরিশেষে এটুকুই বলব, আমার মত একটি আমজনতার ক্ষমতাও নেই এর বিরুদ্ধে কিছু করার। হয়ত দু’তিন টা স্ট্যাটাস দিয়ে খানিকটা প্রতিবাদ এর প্রচেষ্টা করতে পারি। কিন্তু আজ কোটি জনতার হয়ে একটি দাবী-ই রাখতে চাই, যেসব সাংবাদিকরা ব্যবসা বাদ দিয়ে একটি পাশবিক হত্যাকাণ রুখতে পারেনা, একটি অসহায় তাজা প্রান বাচাতে পারেনা, তাদের সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদ বা অ্নশনের কোন অধিকার নেই। ধিক্কার তোমাদের !!
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×