somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বজিৎ এবং বাস্তবতা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বজিৎ এর মৃত্যু নিয়ে জনমনে অনেক বড় বড় ভাবনা দেখা গিয়েছে। আসলে এত ভাবনা ভাবা জ্ঞানীদের কাজ। আমাদের মত আমজনতাদের না। অনেকে (জ্ঞানীরা) এরই মধ্যে ভেবে ফেলেছেন কিভাবে বিশ্বজিৎ কে দিয়ে ব্যাবসা করা যায়(আমি দুঃখিত)। যেখানে বিশ্বজিৎ এর পরিবার থেকে বলছে তাঁরা কেউই কোনও দলের সাথে সম্পৃক্ত নন, সেখানে তাকে বানিয়ে দেয়া হয়েছে ছাত্রদলের কর্মী, শুনে আমরা ভাষা হারিয়ে ফেলি (আসলে আমাদের মত আমজনতাদের এর চেয়ে বেশি কিছু করার নেই)। আবার আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে কারো কান্না দেখলে নিজের চোখে পানি ধরে রাখতে পারেন না, সেখানে তার নিরব উপস্থিতি আমাদেরকে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও ভাবায়। অন্যদিকে প্রশাসনের কর্ণধার, পুতুল মার্কা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (মতান্তরে যুদ্ধাপরাধী) মুখস্ত করা বুলি, "তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দিবেন", শুনতে আমাদের গা জলে উঠে । আমরা জানি, বিশ্বাস করি, আমরা স্বীকার করি, বাংলার মাটিতে কোনও তদন্তই একবার শুরু হলে জীবন ভর সমান গতিতে চলতেই থাকে, কখনই শেষ হয় না।

আসলে কিছুই হবেনা বললে ভুল হবে। তদন্ত কমিটি হবে। দেশের সব চেয়ে বড় জ্ঞানী লোক থাকবে ঐ কমিটিতে। ৬ মাস ধরে তদন্ত করবে। শেষে তারা কাউকেই খুঁজে পাবেনা। বিরোধী দলের হাত বলে চালিয়ে দিবে কিংবা বিশ্বজিৎ আসলে কোপের কারনে রক্তাক্ত হয়ে মরেনি, হার্ট এটাক এ মরেছে বলেও চালিয়ে দিতে পারে। অথবা বলবে বিশ্বজিৎই আসলে ঐ সব মেধাবী তরুনদের(?) মারতে গিয়েছিল। তারা নিজেদের আত্ম রক্ষার জন্যে যা করার করেছে।

বাস্তবতাঃ
যাই হোক এবার আসল কথায় আসি। আসল কথা হল, যে দেশে সাংবাদিক দম্পতির হত্যার বিচার হয়না, যে দেশে সাংসদ গুম হলে তার খোঁজ মিলেনা, সে দেশে এসব বিশ্বজিৎদের (ক্ষমা করবেন এভাবে বলছি দেখে) আসলে খবর নেয়ার কিংবা বিচার করার সময় কারো নেই। আর এগুলা নিয়ে আশা করাও একধরনের সৌখিনতা, বিলাসিতা। সে কোনো দলের মেধাবী ছাত্র ও না যে তাঁকে নিয়ে মিছিল হবে কিংবা সভা সমাবেশ হবে। অতি সাধারন ঘরের সাধারন ছেলে।
তবে হ্যাঁ, হয়ত তাঁকে(ভাই বিশ্বজিৎ) নিয়ে সেই খুনিরা হেসে লুটিয়ে পরছে। হয়ত কেউ কেউ বলতেছে ,"শালারে (ক্ষমা করবেন) দেইখা তো দলের পাবলিকই মনে হইছে"। আবার কেউ কেউ হয়ত বলতেছে, "এক্কে বারে পুঁটি মাছের প্রান, ৮/১০ টা কোপেই শেষ (আমি দুঃখিত)"। কেউ হয়ত বলতেছে, "যা হইছে কমের উপর দিয়া গেছে, তবে এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সঠিক নিশানায় হামলা করতে হবে"।

তাই একদিন আমাদের সবাইকেই বিশ্বজিৎ হতে হবে, এ দেশে বাঁচতে(?) হলে এটা অবধারিত। কারণ এদেশ বিশ্বজিতের জন্যে নয়, কিংবা সাগর-রুনির জন্যেও নয়। আমার আপনার মত আমজনতাকে দিয়ে এদেশের কোনও উন্নতি হবেনা। কারণ আমাদের দ্বারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম করাও সম্ভব না, সুতরাং রাজনীতিবিদও(?) হওয়া অসম্ভব। আমরা শুধু পারব, " পিছনে বসে ম্যা ম্যা করে কাঁদতে, আর হায় বিশ্বজিৎ হায় বিশ্বজিৎ বলে চিৎকার করতে। কারো সামনে নয়, আমরা পিছনে পিছনে এভাবে লিখতে পারব যা কেউ কোনও দিন পড়বেওনা, দেখবেওনা"।

আবার সোনার দেশের সোনার ছেলেদের কাছে দেশটাও ছেড়ে দিয়ে যেতে আমরা পারবনা। বাপ দাদার জীবন দেয়া এদেশ কিভাবে ছেড়ে দেই এই সব কথিত আধুনিক , সভ্য দেশ প্রেমিকদের কাছে? আমরা আসলে কিছুই পারিনা। সুতরাং আমাদের দিয়ে আসলে কিছুই হবেনা। ক্ষমা করো বিশ্বজিৎ ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×