somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বজিতের চলে যাওয়া ও কিছু কথা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিশ্বজিৎ আমাদের ক্ষমা করে দিও আমরা পারলাম না তোমাকে বিজয়ের মাসে বিজয় দেখার জন্য ধরে রাখতে। তোমাকে ধরে রাখতে পারলাম না তোমার বাবা-মা-ভাই-বোনের জন্য বিজয় এনে দেবার জন্য।
সর্বশক্তিমান তোমাকে শান্তি দিক। হয়ত তোমার একবুক স্বপ্ন ছিল কিন্তু তুমি ভুএ গেছিলে যে এই বাংলায় স্বপ্ন পুরনের দিন শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। কি জবাব দেবে আজকের এই সুশীল সমাজ তোমাকে তোমার বাবা –মা কে। আমরা লজ্জিত তোমার কাছে। আমদের কে ক্ষমা করে দিও। আমরা বাংগালী আমরা অতি আবেগি, আমাদের কেবল আবেগটাই আছে। আর কিছু কুশীলব সেই আবেগ কে পুজি করে দিনের পর দিন আমাদের ঠকিয়ে যাচ্ছে। আজ বিশ্বজিত চলে গিয়ে বেঁচে গেছে। তার জায়গায় কি আমরা থাকতে পারতাম না। আপনি কি এখন আপনার নিজের জীবনের গ্যারান্টি দিতে পারেন? পারবেন না কারন পথে যে নানা বর্ণের নানা জাতের হায়েনারা বসে আছে। জাত আলাদা হতে পারে কিন্তু সব হায়েনারা একই রকম হিংস্র। যেমন বাঘ কখনো তৃণভোজী হতে পারে না তেমনি হায়েনারা কখন ও সভ্য হতে পারে না। আজ আমাদের চারপাশে হায়েনায় ভরে গেছে। আর এদের হাতেই মারা যাচ্ছে আমাদের মা,বোন, ভাই বাবা, ছেলে, মেয়ে। আমরা অসহায়, ভয়ার্ত চাহনি নিয়ে পথের দিকে তাকিয়ে আছি কখন আমদের মাঝে গ্রীক মিথের প্রমিথিউস এসে আমদের মুক্ত করবে । আমরা সাধারন জনগণ যদি ক্ষমতার উৎস হয় তাহলে আমদের কে মেরে ফেলে কি ক্ষমতার জোর বাড়াতে পারি আমরা। কেউ পারে না, মুয়াম্মার গাদ্দাফি পারেনি, মোবারক পারেনি, ইতিহাসে কেউ পারেনি। আমাদের সবথেকে বড় গুন হল আমরা আমদের ইতিহাস থেকে কোন শিক্ষা নেই না। তাই ঘুরে ফিরে একই ইতিহাস আমাদের সামনে আসে আর আমরা হতাশ হয়। বাংলাদেশের মানুষরা সবাই কাপুরুষ, আমি যে খুব সাহসী তা আমি বলব না তবে হ্যা আমার ভিতরে রুখে দাড়ানোর মনোবল আছে। আরবরা আমাদের মতই এতদিন নিষ্পেষিত ছিল তাদের অযোগ্য নেতাদের দ্বারা। তারা আজ আরব বসন্ত তৈরি করেছে। আর আমরা চেয়ে দেখছি। বসন্ত মানে এই নয় যে আমরা আমাদের সরকারকে উতখাত করব, আমরা আমাদের অধিকারের কথা বলব। আমাদের বাংলাদেশীদের শ্য ক্ষমতা অনেক বেশি তা নাহলে এখনও কি করে মুখে হাসি নিয়ে কথা বলি আমরা। আর আমাদের নেতা-নেত্রীরা মুখে হাসির ফোয়ারা নিয়ে চলে। তিনিসিয়ায় বোয়াজিজি নামের এক গ্রাজুয়েট যুবক রাস্তার ধরে বসে ফল বিক্রি করে বসেছিল। এর আগে সে সরকারী চাকরিতে পরীক্ষা দিয়ে টিক্তে পারেনি দুর্নীতির জন্য। এরপর সে ফল বিক্রেতা হয়ে যায় , ভাগ্যের নির্মম পরিহসা পুলিশ এসে তাকে অবৈধ ফল বিক্রেতা হিসবে ধরে নিয়ে যায় এর পর সে রাগে ক্ষোভে প্রতিবাদ জানানোর জ্য নিজের গায়ে আগুন দিয়ে মারা যায়। এর এটা ইউটিউবে প্রচারের মাধ্যমে সারা যুবসমজের মাঝে ক্ষোভের জন্ম নেই সাথে সাথে বোয়াজিজি এক আরব বসন্তের জন্ম দিয়ে যায়। আমরা আরব তরুন্দের থেকে অনেক দুর্ভাগা কারন আমাদের সমাজে প্রতিদিন কোন না কোন বোয়াজিজি নিজদের আত্মাহুতি দিয়ে চলেছে আর আমরা সাক্ষী গোপাল হয়ে হ্যা করে দেখছি। আমাদেরকে প্রমিথিউস হতে হবে সামনে অগ্নি মশাল উচিয়ে ধরে অন্ধকার সময় কে দূরে সরিয়ে দিতে হবে। আজ নিজেকে বড় লজ্জিত লাগল কারন আজ ও আমদের ছেড়ে চলে গেল। আমাদের নেতা নেত্রী ও সংবাদ মাধ্যম খুব ই দারুন ভাবে চলছে। আজ তাদের অব্রোধ ছিল আর অদের ছিল আনন্দ মিছিলের দিন। ওরা ছিল প্রস্তুত আর বিশ্বজিৎ ছিল সাধারন এক মানুষ তাই সে হেরে গেল আর আমরা ত হেরে বসে আছি।
আমাদের এই সব কুশীলবদের সাথে যোগ দিয়েছে কিছু পা থেকে মুন্ডি চোষা কিছু জ্ঞান ব্যবসাহীরা।তারা তাদের কলমের জোরে ক্যামেরার জোরে সব কিছু কে বদলে দিতে চান। আজ দেখলাম না কোন কুশীলব কোন কথা বলেছে। বিশ্বজিতের ভাগ্য ভালো তা না হলে মরার পর বিএনপির কর্মী উপাধি পাই। আর পড়বি তো পড় একবারে হায়েনাদের মাঝে গিয়ে পড়েছে। ওরা অকে শকুনের মত ছিন্ন-ভিন্ন করে দিয়েছে। কোন কুশীলব জাদুর বাক্সের মাধ্যমে বলল না আমারা দুঃখিত ও ক্ষমা প্রার্থী। এমনকি দেশের প্রাধান কুশিলব ও কিছু বললেন না। ছোট বড় সব অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কুশীলবেরা যেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। আজ আমাদের বুদ্ধি ব্যবসায়ীরা ও মুখে সুপার গ্লু দিয়ে বসে আছেন। অনেকে দেখলাম ফেসবুকে খুনি হায়েনাদের ছবি পর্যন্ত দিয়ে দিছে। আর আমাদের উজির-নাজির রা এদের নাকি চেনেন ই না। এরা নাকি কোন দলের তা । আসলে সব ঝকের কৈ তাই গোত্র প্রধান কিছু বলতে পারেন না। আমরা পরিনামহীন দেবতার মত ডানা ঝাপ্টিয়ে মরে যাচ্ছি। আজ আর কেউ কলাম লিখবে না আজ আর কেউ কোন কিছু বলবে না কেন মারা যাবে বিশ্বজিৎ? কেন মারা যাবে বরকত? কেন মারা যাবে নিরিহ মানুষ? কারন ওরা যে মুন্ডিচোশা জ্ঞানপাপী। ওরা লিখবে, ওরা কিছুই লিখবে না। আমদের পুলিশ বাহিনী আজ আর কিছু দেখবে না। হআয়েনাদের তারা চিনবে না, এদের কে ছুয়ে ও দেখবেনা। কারন ওরা যে সোনার হায়েনা। ওদের সাত খুন মাফ। সারা দেশের মানুষ দেখেছে আর ওরা বলবে আমরা তদন্ত করছি। ফেসবুকে ফটো আছে আর পুলিশ পাবে না তাহলে এদের দিয়ে কি হবে? এদের দিয়ে হবে অন্য জআতের হায়েনা মারা। মাঝে মধ্যে অন্য জাতের হায়েনারা কামড় দিয়ে বসে তাতে কি সোনার হায়েনারা তো কামড়া কামড়ি করা থেকে বাচল। আমাদের দেশের বুদ্ধি ব্যবসায়ীদের কে পরিত্যাগ করার সময় এসে গেছে। এদের থেকে বড় শয়তান আর কেউ নেই। এরা বিষধর সাপ থেকেও খারাপ। এরা আমদের সমাজে বিভক্তি তুলে দিচ্ছে।
আজ আমাদের ক্রান্তি লগ্নে এসেও আমাদের জ্ঞান ব্যবসায়ীরা চুপ করে বসে থাকেন দেখে লজ্জা করে । কিছু যুব সমাজ এদের আবার স্যার বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে। গলা ফাঠিয়ে বলতে ইচ্ছা করে জহির রায়হান তুমি কেন চলে গেলে, রুশো তুমি কবর থেকে উঠে এসো। এখন আমদের কলাম লেখক তথা জ্ঞানপাপীরা ব্যস্ত থাকবেন বিচার-আচার এর কথা নিয়ে। আমাদের অত সাধারন মানুষের দাম নেই দাম থাকলে কেউ না কেউ লিখত। প্রথম আলো দায় সারা ভাবে লিখছে বিশ্বজিৎ খুন সন্দেহের তালিকায় ছাত্রলিগ। যারা টিভি ক্যামেরায় চিহ্নিত তারা কি করে বাইরে থাকে? এর জন্য বিরোধী দল ও দায়ী তারা কেন অব্রোধ ডাকবে এর মানুষ বের হলে বাধাদেবার অধিকার তাদের নেই। কিন্তু এই বাংলায় আমাদের কারো নোন অধিকার নেই দুই পরিবার ছাড়া। তারা বলেছিল তারা জালাও পোড়াও করবেনা তারা করেছে। কিন্তু পুলিশের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে ছাত্রলীগ কে অস্ত্র হাতে মোহড়া দেবার জন্য কারা দায়ী তাদের কি বিচার হবে।
আমরা কোনদিন এগিয়ে আসতে পারি নি আর পারব বলে মনে হয় না। কারন আমরা যে কাপুরুষের দল।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×