somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা মরছি তিলে তিলে ক্ষণে ক্ষণে

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছুক্ষণ আগে টিভি-তে বিশ্বজিৎ-কে মারার মর্মান্তিক দৃশ্যটি দেখলাম। ভাবছি কাল না আমাকেই এই কুৎসিত রাজনীতির বলির পাঠা হতে হয়। তাঁর মা-বোনের কান্না বার বার বিবেককে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে, এ কোন বর্বর দেশে বাস করি আমরা। কাল বিক্ষোভ, পরশু হরতাল, কে জানে পরশু আবার কোন চমক অপেক্ষা করছে। মানুষ দিন শেষে বাসায় ফিরছে হাত-পা ভেঙ্গে বা লাশ হয়ে , শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুধু পিছাচ্ছে, সময় কাটছে সারক্ষণ অনিশ্চয়তায় পরীক্ষা হবে কি হবে না, (যেমন এবারের বি.সি.এস পরীক্ষা। এমতাবস্থায় কেউ পড়ায় মনই বসাতে পারছে না। কোন কাজও মনোযোগ দিয়ে করতে পারছে না।
যেসব বাবা-মায়ের ছেলেরা ঢাকায় বা অন্যথায় থেকে পড়াশোনা করে, তার ছেলে মেয়ের চিন্তায় মরছে ক্ষণে ক্ষণে। যেসব অভাগা-অভাগিনীর সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকে, তারা একটু মারমারির খবর শুনলেই ভয়ে থাকে, না জানি তার স্বপ্ন দুস্বপ্নে ভাঙ্গে। আমি অনেকের বাবা-মায়ের চিন্তা স্ট্রোক করার কথাও জানি। আমার মা-বোনরা অনেক সময় বলত দরকার নেই আর পড়াশোনার,তুই বাড়ি এসে পড়।
আসলে আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতারা (সরকার ও বিরোধীদলীয়) কি এটাই চাচ্ছে। পুরো জাতিকে জিম্মি করে রেখে নিজেদের মত করে চালাতে?
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কয়জন নেতা হরতালের সময় নিজের সন্তানকে নিয়ে যায় পিকেটিং করতে? কয়জন নেতা রাজনীতি শেখানোর জন্য নিজের সন্তানকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে? এসব দেখেও আমাদের মত কিছু গর্দভ তাদের পা চাটতে ভুলে না। বিভিন্ন দলের এসব তুলকালাম কান্ড দেখে কোন দলই করতে মন চায় না।
আমার মত সাধারণ জনগণ সর্বদা প্রস্তুত থাকবে শুধু বলির পাঠা হবার জন্যে। হায়রে অভাগা জাতি, আমরা এগুচ্ছি এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু আমাদের এ অনিশ্চিত যাত্রা শেষ হয় না।
কে জানে আমাদের এ অনিশ্চিত যাত্রা কত মায়ের বুকের মানিককের লাশ মাড়িয়ে, কত বোনের আদরের ভাইয়ের বক্ষে দাড়িয়ে, কত অবুঝ শিশূর বাবা হারানোর আর্ত চিৎকার বিদীর্ণ করে শেষ হয়?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×