somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“ মামা,আপ্নের প্যান্টের চেইন তো খুলা !’ :P :P :P একটা দুঃখমুলক পোষ্ট!!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের জীবনে যে কত রকমের বিড়ম্বনাই থাকে ! ঠিক-ঠাক পোশাক-আষাক পড়িয়া ভদ্র ফুল বাবু সাজিয়া থাকিবার পথেও নানারকম বিড়ম্বনা ঘটিয়া থাকে। আমি আমার জীবনের কতিপয় দুঃখজনক ঘটনার কথা আপনাদিগকে বলিতেছি। সমস্ত দুর্ঘটনার খলনায়ক অবশ্য সে একই ব্যক্তি, তিনি হইতেছেন আমার প্যান্টের জিপার! ঘটনা আসলে শুরু সেই ছোটবেলা থেকেই। খুব ছোটবেলায় কয়েকবার প্যান্টের চেইন লাগাতে গিয়ে ওখানের নরম চামড়াতে আটকে গিয়ে অন্যের সাহায্য লইতে হইয়াছে! বড় হইবার পড়ে জিপার মহাশয় আমার লজ্জা নিবারণে কেমন অবদান রাখিয়াছেন তা নিয়ে আমি খুব একটা নিশ্চিত করিয়া বলিতে পারিবনা, তবে জিপার থাকিবার পরেও আমি তাহাকে আটকাইতে ভুলিয়া গিয়া বেশ কয়েকবার নিদারুন দুঃখজনক পরিস্থিতির স্বীকার হইয়াছি। :P
অলস আর ভুলোমনা হিসেবে পরিচিতদের মাঝে আমার একটুখানি সুনাম আছে!( মানে বিষয়টা আমি এভাবেই দেখতে পছন্দ করি আর কি !)। একবার গিয়াছি মিষ্টি কিনিতে, বেশ ভীড়, যতটা দ্রুত পারা যায় মিষ্টি লইয়া ভেগে যাইবার ধান্দায় আছি । এমন সময় পাশের ভালমুখো নিরীহ ভদ্রলোক আমাকে বলিলেন, “ জনাব কি একটু আমার সাথে আড়ালে আসিবেন, একটা কথা বলিতাম?’, আমি মোটামুটি বিরক্ত ও বিভ্রান্ত হইয়া তাহাকে নিয়া পাশে আসিলাম। তিনি আমার কানের কাছে মুখ আনিয়া খুব একটা গোপন কিছু একটা বলিতেছেন এমন স্বরে বলিলেন , “ ভ্রাত, আপনার প্যান্টের চেইনটা খোলা ’। আমি চমকাইয়া উঠিয়া দেখিলাম ঘটনা সত্য। দ্রুত জিপার বাবাজীকে বিধিমত আবদ্ধ করিয়া আমতা আমতা ধন্যবাদ দেওয়ার চেষ্টা করিলাম। :P
এই ঘটনাটি আরও করুণ, হলজীবনের ঘটনা। দুপুরবেলা বিরাট আয়োজন করিয়া নিদ্রা যাইতেছি, ও ফোন করিয়া নিচে নামিয়া চা খাইতে বলিল, অতঃপর তাহাকে বিধিমত পুরান ঢাকার তাহার বাসার মোড়ে নামাইয়া দিয়ে আসিলাম। ফিরিবার পথে রিকশা ঠিক করিতেছি। আমার দুর্ভাগ্য, জনৈক অর্বাচীন রিকশাওয়ালা আমার কপালে পড়িল। বিশ টাকার ভাড়া সে চল্লিশ টাকা দাবী করিয়া বসিল। আমি এই অন্যায় আবদার কোনভাবেই মানিতে পারিলাম না, প্রতিবাদ স্বরূপ কয়েকটি কটু কথা বলিলাম। বিধাতা তো আর একা আমাকে না, তাহাকেও মুখ দিয়াছেন। সেও তাহার মুখ আমার প্রতি কটু কথা বর্ষণে কাজে লাগাইল- ফলাফল ধুন্ধুমার ঘটনা শুরু হইল। তুচ্ছ রিকশাওয়ালার সহিত রাস্তায় দাঁড়িয়ে ঝগড়াঝাটি মানানসই হইতেসে না ভাবিয়া ক্ষান্ত দিয়ে হাঁটা ধরিলাম। সে হাঁক দিয়া আবার আমাকে ডাকিল। আমি তো এইবার রক্তচক্ষু নিয়া তার দিকে ফিরিলাম, মনে মনে ভাবিতেছি আবার বেয়াদবী করিলে তোর আর রক্ষা নাই! সে ব্যাটা হাঁক দিয়া কহিল, “ মামা,আপ্নের প্যান্টের চেইন তো খুলা !’ কস্কি মমিন?? মুহূর্তেই আমি জল হইয়া গেলাম! হাত দিয়া বুঝিলাম সর্বনাশ ঠিকই ঘটিয়াছে। হতচ্ছাড়া জিপারের কথা আমি আবারও ভুলিয়াছি, আবারো ধরনী দ্বিধা হইবার ঘটনা ঘটিয়াছে। পরের কথা আমি আর কি বলিব? আপনারাই বুঝে নেন... ফেরার পথে সুপারম্যান হইয়া না জন্মানোর জন্য কষ্ট লাগিতে লাগিল, বিশেষ কোন কারনে নয়- সুপারম্যান হইলে জাঙ্গিয়া প্যান্টের উপরেই পরিতাম, আমাকে এই জিপার লাগাতে ভুলে যাওয়ার দুঃখ মাথা পেতে নিতে হইত না।
বলিতে গেলে তো আসলে আরও অনেক ঘটনার কথাই বলিতে হয়, এই পরিসরে তাহা আঁটিবে না, তাই এবারে ক্ষান্ত দিলাম। তবে শেষ করবার আগে জিপার নিয়ে কয়েকদিন আগে পড়া একটা কৌতুক শেয়ার করি- জনৈক প্রখ্যাত গে ব্যক্তি গিয়াছেন দর্জির কাছে প্যান্ট বানাইতে। সব মাপজোক নেওয়ার পরে দর্জি মশায় গে ব্যক্তিটিকে জিজ্ঞেস করিলেন, “মহাশয়ের প্যান্টের জিপার কি শুধু সামনে একটাই নাকি সামনে পেছনে দুজায়গাতেই দেব??? ’ :P :P :P :P
পুনশচঃ যারা পড়িতেছেন তাহাদের মনে যে আশঙ্কাটি বুদবুদ বাঁধিতেছে তাহা আমি এই বেলাতেই পরিস্কার করিয়া দেই, প্রতিবারেই আমি অন্তর্বাস পরিধান করিয়াছিলাম! ফলে চূড়ান্ত মাত্রার সর্বনাশ থেকে আমি কোন ক্রমে রক্ষা পাই! আপনেরা আমার প্রতি দোয়া রাখিয়েন...অনাগত দিন গুলাও যেন সম্মান রক্ষা করিয়া চলিতে পারি...
=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪২
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তোমাকে লিখলাম প্রিয়

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০২ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০১


ছবি : নেট

আবার ফিরে আসি তোমাতে
আমার প্রকৃতি তুমি,
যার ভাঁজে আমার বসবাস,
প্রতিটি খাঁজে আমার নিশ্বাস,
আমার কবিতা তুমি,
যাকে বারবার পড়ি,
বারবার লিখি,
বারবার সাজাই নতুন ছন্দে,
অমিল গদ্যে, হাজার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ মিসড কল

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

×