somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিকদের উৎসবের সুযোগ

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোরআনের ১৫ নম্বর সুরার (সূরা হিজর)এর নবম আয়াতে বলা আছে- "নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমি তা সংরক্ষণ করবো।" এই আয়াতের ভিত্তিতে মুসলিমরা বিশ্বাস করে, আল্লাহ্‌ নিজেই কোরআন রক্ষা করবেন যে কোন বিপদ থেকে। মাঝে মদ্ধেই আমরা দেখি বিভিন্ন জায়গায় কোরআন অক্ষত থাকার গাল গল্প। এর মধ্যে আগুনে কোরআন না পড়ার গল্প প্রাইই ফেসবুকে দেখতে পাই। বেশ অলৌকিক ভাবে দাবি করা হয়ে থাকে সব কিছু পুড়ে গেছে কিন্তু কুরআন পুড়ে নি। আল্লাহ্‌ কোরআন রক্ষা করছে। যাইহোক আমরা এখন যুক্তিবাদী মন নিয়ে এটি দেখব-

প্রথমত, ঘরে আগুন লাগলে একজন খাটি মুসলিম যেটিকে বাচাতে প্রথম চেষ্টা করবে তা হচ্ছে কোরআন। তাই দেখা যায় কুরআন আগুনে পড়া থেকে রক্ষা পেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, শুধু কোরআন না যেকোনো মোটা বইয়ের ভিতরের অংশ পুড়তে সময় লাগে অনেক বেশী। এর কারণ হচ্ছে বইটা বুঝানো থাকলে তার পাতা গুলোর ঘনত্ব এতো বেশী থাকে যেখানে অক্সিজেন প্রবেশ করতে কষ্ট হয়। এই কারনে বইয়ের ভিতরের পাতা গুলো পুড়তে অনেক দেরি হয়, সেটা আল্লাহার কোরআন হোক আর রুশদির স্যাটানিক ভার্সেস হোক।

তৃতীয়ত, কোরআনের পৃষ্ঠা গুলো অন্যান্য সাধারণ বইয়ের থেকে একটু ভাল মানের হয়, যা অপেক্ষাকৃত পুড়তে একটু দেরি লাগে।
চতুর্থত, কোরআনের উপরের মলাট অন্যান্য বইয়ের থেকে ভাল মানের এবং অনেক পুরু হয়। তাই আগুনের ধাপটা প্রাথমিকভাবে মলাটের উপরে যায়। অনেক সময় দেখা যায়, মলাটের উপর পুড়ছে কিন্তু ভিতর পুড়ে না।
পঞ্চমত, কুরআন সাধারণত কাপড় দিয়ে পেঁচানো এবং অনেক সময় কাঠ দিয়ে আবৃত থাকে যা পুড়তে সময় লাগে। এছাড়া, কুরআনটা সাধারণত একটা নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়, যাতে কুরআন রক্ষা পেতে পারে। অনেক সময় কাকতালীয় ভাবেই এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে। মাঝের মধ্যে ঘটনার যে বর্ণনা দেয়া হয় তা একেবারেই বানোয়াটও থাকে।

উপরের কারণ গুলো আগুনে কোরআন না পড়ার জন্য যথেষ্ট। শুধু কোরআন নয় বেদ, গীতা, বাইবেল এর ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। তবে সাধারণত মুসলিমরা এর মধ্যে বেশী মোজেজা খুজেন। একজন বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ হিসেবে এদেরকে আমি পরীক্ষণকে গুরুত্ব দিতে বলবো। নাস্তিক দের কোরআন পড়ানোর পরীক্ষণ দিয়ে আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন এই জিনিশ আসলেই পুড়ে কিনা। যারা পুড়াচ্ছে তারা সাপ হয়ে যাচ্ছে কিনা। কুরআন নিয়ে পরীক্ষণ, পর্যবেক্ষণের জন্য পাশ্চাত্যরা বারনিং কুরআন ডে পালন করে। এই দিনে কোরআন পুড়িয়ে উৎসব করা হয়। বাঙালি নাস্তিকরা এমনিতেই ধর্মীয় উৎসব থেকে বঞ্চিত। তাদেরকে আমরা উৎসব পালন করতে দেই এবং একই সাথে পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞান মনস্ক হই।
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×