somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি রিপোস্ট ক্রিকেট রঙ্গ!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমে, যখন ইন্ডিজ ১৫০ এর নিচে আউট হয়ে যাচ্ছিল, বাংলাদেশের করুনা হলো... নাহ! অথিতিকে এরকম লজ্জায় ফেলা যায়না, At Least let them score 200 !!
প্রথমে যে পাঁচজন চলে গেল সেটার রহস্য হচ্ছে তামিম ইকবাল ও এনামুল হক আসলে গার্ড পড়ে আসেননি!! আর ওনারা যে গার্ড পরেননি আর সেকারণে এত দ্রুত আউট হবে সেটা তো আর বাকিরা জানতনা, নাকি!? ওরা আউট হতেই যখন নামতে হলো, তখন বাকিরা গার্ড পড়ার ব্যাপারটি ঠিক ভাবেন নি! Too Soon বলেতো একটা কথা রয়েছে নাকি? সেই চক্রে পড়ে বেচারারা একে একে (নাইম, নাসির ও মমিন সাহেব) ফিরে গেলেন! শেষে যখন মুশি প্রশ্ন করলো, ঘটনা কি রেহ? তখন নাইম গিয়ে বলল, আরেহ ভাই গার্ডগুলো কই রাখসেন?! মুশির টনক নড়ল! গার্ড পড়ে নিয়ে নামল!! তারপরে নিয়া কিছু বল খেলতে সমর্থ হৈল! মাহমুদুল্লাহ, উত্তম গার্ড সহ খেলে যাচ্ছিলেন, খুবই বেরসিক, অথিতি পরায়নতা মাহুদ ভাই জানেনা!!

কিন্তু গার্ড সমস্যার সমাধান হতে হতে ৫ জন ভাবলো, "গার্ড বিনা ক্রিকেট সুখ হয় কি মহিতে?" যাই গাহ! যারা গার্ড পড়েছে রান করার দায়িত্ব ওরাই নিক!!
তো গার্ড পরিধানরত অধিনায়ক ও সহ অধিনায়ক আস্তে আস্তে অভ্যাস করে নিল, গার্ড ও জোয়েল গার্নার এর আত্মা ভর করা স্যামি আর রোচ এর বোলিং এর সাথে!! কিন্তু কি বেরসিক এই স্যামি!? খালি আবেদন করে, আউট চায়! আরে ভাই, তুই হলি অথিতি, এরকম করলে হয়? Be Gentaleman !!! আবার দিল আজেবাজে স্পিনারদের কে এনে! আরে, ওসব দেখেলে আমরা তো টিম স্পিরিট হারিয়ে ফেলি, অত আলসেমি করে বল করলে হয়? জায়গায় দাড়িয়ে বল ঢিল দেয় খালি!

মাঝে মাঝে অর্কেস্ট্রা বাহিনী উত্সাহ ব্যঞ্জক বিজ্ঞাপন প্লে করছিল,
"যদি লক্ষ্য থাকে আউট,
হবেই হবে দেখা, দেখা হবে ড্রেসিংরুমে....."

সে যাই হোক, ড্রেসিং রুমে গিয়ে যখন আউট হওয়াদের ব্যর্থতার কারণ জানতে চাওয়া হলো, ওরা কিছুটা ক্ষিপ্ত হলো! বলল একে তো মিয়া গার্ড পরিনি, ওখানে গেলাম, আপনারা বলছেন ব্যর্থতা? কেন ব্যাটে কি আমরা বল লাগাইনি? এখন আমরা মাত্র দুজন, বল খেলি একজন, আর ওরা একজন অসহায় আমাদের উপরে ইচ্ছেমত জোরে বল করে, আর আপনারা বলছেন আমরা ব্যর্থ? কি করে আপনারা ১০০% শিউর করে বলছেন যে রান করতেই হবে? বল কত জোরে আসে জানেন? রান করতে বলেন আবার!! দেখেন রান করা করি কিছু না, ওখানে যেতে পারাই অনেক বড় ব্যপার! আমাকে প্রশ্ন করলো," আপনি পারবেন?"
আমি তরুণ এনামুলের চিন্তাভাবনা জানার চেষ্ট করলাম, আর যুগান্তকারী জবাব এসে গেল সাথে সাথে! টাইগার আমরা, এভাবে ম্যাচ বাকি রেখে, উত্তেজনা শেষ করে আমরা ম্যাচ জিতার মত কাপুরুষতা করতে পারিনা, আরে ভুলে গেলে চলবে কি করে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ হলো আমাদের অথিতি, শেষ খেলাটা পর্যন্ত তো ওদের একটা ফেয়ার সুযোগ দিতে হয় নাকি? আমরা বাঘ, খেলিয়ে মারি! হালুম!
মাশরাফি বললেন, আমি ভাবলাম পিছে ফাস্ট বোলারদের জনে কিছু নেই, স্যামিকে সেই কথা বলতেই ও বলল, "ঠিক বলেছ!" তো আমি একজন ক্যাপ্টেনের কথা কি করে অবজ্ঞা করি? আমি তাই সেভাবেই বল করলাম যাতে ওনার মনে হতাশা সৃষ্টি না হয়! বাংলা হল অথিতি পরায়নতার দেশ, ভুলে গেলে চলবে?
ড্যারেন স্যামি, ডরান স্যামি, দারুন স্যামি ভাবলেন, ওকে লাস্ট ম্যাচ তো জিততে পারবনা, বাংলাদেশ এত যত্ন আত্তি করলো এই ঢাকায়, প্রতিদান তো দিতে হয়? ভালো জায়গায় বল করে তাই গার্ড পড়া-না পড়া সকলকেই ড্রেসিং রুমে ফিরে যেতে সাহায্য করলো! আহা! স্যামির মহত্ব !! যুগে যুগে ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে থাকবে...
পরিশেষে, বাংলাদেশ বীরের দেশ, বাঙালি বীরের জাতি, কেন এই ম্যাচ হেরেছি আমরা? যাতে পঞ্চম ম্যাচটিকে "চরম গুরুত্বপূর্ণ" মনে হয় এবং আমরা এই অর্ডিনারি, কনটেস্টলেস ম্যাচ না জিতে বরং সেই ইস্পিশাল ম্যাচ জিতব!! সেটাই আমাদের প্রত্যয় !!

যাহোক, বাংলাদেশ পাঁচ নম্বর ম্যাচ জিততে চায়, সেজন্যে চার নম্বরটি বড়ই গৌন ও অগুরুত্বপূর্ণ !!

/:)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫০
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম নেতৃত্বের ক্ষেত্রে আব্বাসীয় কুরাইশ বেশি যোগ্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫




সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×