২০০৮ সালের কথা। আমরা তখন ক্লাস ৯ এ পড়ি। বন্ধুদের প্রায় সবাই ফান ম্যাগাজিন ‘আলপিন’এর ভক্ত।‘আলপিন’এর নিয়মিত কার্টুনিস্ট মানিক ও রতনের অন্ধ ভক্ত আমি তারও আগে থেকে। তাদের কার্টুন দেখে অনুপ্রানিত হয়েই আমি নিজে কার্টুন আঁকানো শুরু করি। বলা বাহুল্য সেগুলো কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাং ছাড়া আর কিছুই হত না। উৎকৃষ্ট মানের কাকের ঠ্যাং বকের ঠ্যাংও না, অতি নিম্নমানের! যত বই খাতা ছিলো তার সবকিছুকেই আমি আমার কার্টুন আঁকানোর ক্যানভাস বানিয়ে ফেললাম! এরি মধ্যে বন্ধু হিমেল ও ওলি নিজেদেরকে তরুন কার্টুনিস্ট হিসাবে আখ্যায়িত করে কার্টুন আঁকানোর মহান কাজে নিযুক্ত করল। এভাবে পিতৃপ্রদত্ত বই-খাতাতে কার্টুন আঁকানোর কিছুকাল পরে আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এবার একটা ফান ম্যাগাজিন বের করতেই হয়।নানা রকম জল্পনা কল্পনা শুরু হল।‘আলপিন’ যে কঠিন এক প্রতিদ্বন্দির কবলে পরতে যাচ্ছে তা নিয়েও কোনো সংশয় রাখলাম না! মোট পাঁচজন বন্ধু মিলে শুরু হল আমাদের কর্মযজ্ঞ। প্রথমেই ঠিক করতে হবে নাম। তা নিয়ে মহাতর্ক হলো।তবে শেষ পর্যন্ত বন্ধু অর্ঘ্যের দেয়া নামটাই ফাইনাল করা হলো! ‘খামচি”!
শেষ পর্যন্ত অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বছর খানেক পরে আমদের পত্রিকা বের হয়! তবে আমাদের ধারণা ছিলো আমদের ৫ জনের জন্য ৫ টি কপি ছাড়া আর কেউ এই জিনিস কিনবে না! কিন্তু আমাদের অবাক করে ‘খামচি’ শ’দুয়েকের বেশী কপি বিক্রি হয়ে গেলো! এরপর অনেক চেস্টা করেও পরবর্তী সংখ্যা বের করতে পারিনি! হয়ে ওঠেনি।
ব্লগের পাঠকদের জন্য সেই ‘খামচি’ এখানে দিয়ে দিলাম। দেখুনতো কেমন ছিলো কয়েক কিশোরের স্বপ্নের পত্রিকা...
পৃষ্ঠা ১
পৃষ্ঠা ২
পৃষ্ঠা ৩
পৃষ্ঠা ৪
পৃষ্ঠা ৫
পৃষ্ঠা ৬
পৃষ্ঠা ৭
পৃষ্ঠা ৮
পৃষ্ঠা ৯
পৃষ্ঠা ১০
পৃষ্ঠা ১১
পৃষ্ঠা ১২