somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালো থাকার মন্ত্র শিখুন

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




জীবন একটাই। একবারই আসে সে। তাই তলানি পর্যন্ত শুষে নেয়াটা খুব জরুরি। এসব নিয়ে অনেক কথা বলেছেন দার্শনিকরা। জানতে বাকি নেই আপনার-আমার। তবু বারবার ভুলে যাই সেই ছোট্ট কথাটা। ভালো থাকার বদলে অকারণেই দুঃখ আগলে বসে থাকি! আর বলি এ জীবনটা বড় কঠিন! এসব পুরনো কাসুন্দি না ঘেঁটে বরং জীবনটা উপভোগ করুণ। সুখ পাখির জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না।
দুঃখ তো থাকবেই। ওগুলো তো আমাদের হাতে নেই, তা বলে শুধু এসব নিয়ে বসে থাকলেও চলবে না। ভালো থাকাটা কিন্তু আপনার নিজের হাতে। চাইলেই পারেন, এটা ভুলবেন না। কীভাবে ভালো থাকতে পারেন নিচে উল্লেখ করা হল তার ক'টা টিপস।
ভালো থাকার সব থেকে বড় ওষুধ হাসি। ওটা ভুললেই কিন্তু মুশকিল। হাসলে নিঃসৃত হয় এনডরফিন হরমোন, যা ভালো করে দেয় আমাদের মেজাজ। শুধু তাই নয় হাসলে ভালো থাকে আমাদের হৃদয়। ক্যালোরি পোড়াতেও সাহায্য করে হাসি।
বারবার মন খারাপের কারণ কিন্তু শারীরিকও হতে পারে। দুর্বল স্বাস্থ্য, ঘ্যানঘেনে অসুখ-বিসুখ প্রভাব ফেলে মনে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হলে আসতে পারে অবসাদ। মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এর ঘাটতিও কিন্তু ডেকে আনে অবসাদ। তাই রোজকার খাদ্য তালিকায় রাখুন পুষ্টিকর আহার। বিশেষত ভিটামিন-বি সমৃদ্ধ খাবার, যা অবসাদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সকাল থেকে মেজাজটা ভালোই ছিল। হঠাৎ কী হল, বিগড়ে গেল। এ মুড সুইংয়ের কারণ ভিটামিন ডি-এর অভাবে হতে পারে। ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস সূর্যরশ্মি। তাই সপ্তাহে অন্তত দু'দিন ১৫ মিনিট করে রোদে থাকুন। এমনিই ভালো হয়ে যাবে মন।
শরীরচর্চা কিন্তু মুহূর্তে ভালো করে দিতে পারে আপনার মন-মেজাজ। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয় এমন কিছু রাসায়নিক যা আপনাকে নিষ্কৃতি দেবে চিন্তা-ভাবনা থেকে। শরীরচর্চার ফলে মস্তিষ্কে নিঃসৃত হওয়া এনডরফিন এবং অ্যানান্ডামাইড এ কাজটি করে। তাই প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট সময় বের করুন। শরীরচর্চার জন্য।
কয়েক ধরনের সুগন্ধি কিন্তু শুষে নিতে পারে আমাদের মন খারাপ। এটি বহু পরীক্ষিত সত্য। বার্গামোট, জেরানিয়াম, নেরোলি, জেসমিন_ এ এসেন্সের মোমবাতি জ্বালান ঘরে। বা এ এসেন্সর রুম ফ্রেশনারও ছড়িয়ে দিতে পারেন ঘরে। গোসলের পানিতে মেশাতে পারেন এ সুগন্ধি তেল, তা হলেও একই ফল পাবেন।
হঠাৎ করে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। পড়ুয়ারা বিদেশে কিছু পড়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। এসব চলার সময় বেশ কিছুদিন উত্তেজনার পারদ থাকবে তুঙ্গে। তাই ভুলেই যাবেন মন খারাপের গল্প!
মন খারাপের পাল্লাটা যদি একটু বেশিই লম্বা হয় তা হলে কোন বন্ধুকে বিষয়টা জানান। দরকার হলে পরামর্শ নিন মনোবিদের। মনের কথাটা বললে অনেক সময় নিজেকে বেশ হালকা লাগে। সমস্যার সমাধান হয়তো নাও হতে পারে। কিন্তু মেজাজটা ভালো হয়ে যাবে। জীবনের ইতিবাচক দিকটা সামনে উঠে আসবে।খুব ছোট ছোট জিনিসও অনেক সময় মন ভালো করে দেয়। সেই ছোট ছোট জিনিসগুলোই খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। সেটা বাগানের গাছে পানি দেয়া হতে পারে বা দুপুরবেলা ছাদে বসে আচার খাওয়া। আপনি ভেবে দেখুন, মন খারাপের মুহূর্তে ঠিক কী করতে ভালো লাগে আপনার। খুব ভালো থাকার সময়ই বা কী করেন। সেগুলোই করুন ভালো থাকবেন আপনিই।
জীবনে কম-বেশি দুঃখ সবারই থাকে। নিজের কষ্টটা সরিয়ে রেখে অন্যকে যদি একটু সাহায্য করতে পারেন তা হলে ভালো থাকবেন আপনিই। অবসর সময়ে কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে যোগ দিতে পারেন বা দুস্থ শিশুদের পড়াতেও পারেন। এতে উপকার হবে ওদের। ফল পাবেন আপনিও। বন্ধুরা বিপদে পড়লে তাদের পাশে দাঁড়ান। পরিবারটাও হেলাফেলার নয়। কথায় বলে না, নিজের ঘর থেকেই শুরু হয় জনসেবা। এ কথাটাই কাজে পরিণত করুন।
জীবনে কী করতে চান সেটা জানা খুবই জরুরি। সেই মতো তৈরি করুন নিজেকে। যেটা ভালো লাগে সেটাই করুন। জোর করে কিছু করতে যাবেন না। তাতে খারাপই লাগতে থাকবে। বরং লক্ষ্যটা নিয়ে ভাবুন তা হলে মন খারাপ হওয়ার সময়ই থাকবে না।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×