চৈত্রের নিদারুন খরায় পুড়ছে ফসল
খেত মাঠ ফেঁটে চৌচির ,
কষ্টের জীবন যাপন মানুষের
কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ,
মাঠে ঘাটে ঘুরে দেখে
উত্তপ্ত মধ্যান্হে জানালার শিকের ধারে বসে
কবি দুশ্চিন্তার প্রহর গোনে ,
বলপয়েন্টের ডগা বেগবান হয় ।
সেই খরস্রোতা নদীটির বুক ভরে গেছে
মৌসুমী পলিতে ,
শীতে তার বুকে হাঁটুজল
কোথাও ফসলের উৎসব ,
বর্ষায় ঠাঁই নাই ,
কূল উপচে প্লাবিত জনপদ
বড় দুঃখ বানভাসি মানুষের ,
কবি পেরেশান
বিপন্ন মানুষের অশ্রু তার কলমের ডগায় ঝরে ।
কৃষ্নপক্ষের নিকষ কাল রাত্রি গভীর হয় যত
জেগে থাকে কবি
বাদুড়ের দ্রুততায় পথ চলা
হৃদয়ের হীরক দ্যূতির বাতিঘর বর্ণচ্ছটায়
কবি প্রসব করে কাব্যের সোনালী হরফ ।
শুক্ল পক্ষের আলোর প্লাবন
স্থির আঁখি পল্লবে সুখময় মায়ার খেলা ,
জেগে থাকা কবিতার খাতা তার
ভরে ওঠে প্রেমময় লাস্য বিন্যাসে ,
বাসর রাতে সলাজ বধূর পাশে বসার মত
প্রিয় কলমটি কবিতার অবগুন্ঠন তোলে ।
হিরোশিমার দানবীয় ধ্বংস
কাবুল আর বাগদাদে মানুষের লাশের সারি
চারিদিকে বিপন্ন মানবতা
বড় কষ্ট দেয় তাকে ,
কাব্যের প্রসব বেদনা বড় কাঁদায়
বারবার জন্ম নেয়া কবিতার ভ্রুণ
ব্যস্ত রাখে কবিকে ।