somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশনে আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে ১০টি সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠনের আহবানে বিক্ষোভ সমাবেশ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মার্কিনসহ সাম্রাজ্যবাদ, ভারত ও তাদের দালাল শাসকশ্রেণীর রাষ্ট্র উচ্ছেদ করে শ্রমিক- কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে-
শ্রমিকশ্রেণী এক হও! শ্রমিক হত্যার বদলা নাও!
শ্রমিক-কৃষকের সাথে ছাত্র-বুদ্ধিজীবী-সংস্কৃতিকর্মী একাত্ম হও!
আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশনে আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক হত্যা, নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরন, বকেয়া বেতন পরিশোধ, মালিককে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিহত ও আহত শ্রমিকদের তালিকা ঠিকানাসহ প্রকাশের দাবীতে জাগরণের পাঠশালা, মার্কসবাদের প্রথমপাঠ, বিজ্ঞানচেতনা পরিষদ, প্রগতির পরিব্রাজক দল(প্রপদ), গণমুক্তির গানের দল, ল্যাম্পপোষ্ট, শহীদ রফিক স্মৃতি পাঠাগার, মঙ্গলধ্বনি এবং প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গের আহবানে-
::::::বিক্ষোভ সমাবেশ:::::::
৮ ডিসেম্বর, শনিবার, বিকাল ৪.০০ টা,
জাতীয় যাদুঘর প্রাঙ্গন, শাহবাগ।
সভাপতিত্ব করবেন- হাসান ফকরি

উপস্থিত হোন! অন্যদের উপস্থিত হতে অনুপ্রেরণা দিন! শ্রমিক হত্যার বদলা নিতে শ্রমিকদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হোন!
ফেসবুক ইভেন্ট এ যোগ দিন, মতামত দিন।
আশুলিয়ার তাজরিন ফ্যাশনে আগুনে পুড়িয়ে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

(ছবি: গত ২৮ সেপ্টেম্বর উল্লেখিত সংগঠনসমূহ আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরিন ফ্যাশন গার্মেন্টের পাশে সমাবেশ করে)
ব্লগার বন্ধুগণ!
গত ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তোবা গ্রুপের তাজরিন ফ্যাশনের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত শ্রমিক নিহত হয়েছে। সরকার ও গণমাধ্যমগুলো ১৩০জন শ্রমিক নিহত হয়েছে জানালেও স্থানীয় শ্রমিকদের দাবি অন্তত দেড় হাজার শ্রমিক নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, আজই উক্ত কারখানার মালিক কর্ণফুলি ইন্সিওরেন্স থেকে ক্ষতিপূরণের চেক গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এই ঘটনার মাধ্যমে এটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে এসব কোন দুর্ঘটনা নয়। বরং, মালিক শ্রেণীর পরিকল্পিত নৃশংস শ্রমিক গণহত্যা। আর এতে ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে মালিক সমিতি বিজিএমইএসহ রাষ্ট্র ও সরকার।
একই দিনে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে নির্মানাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে নিহত হয়েছে আরো ১৪ জন শ্রমজীবী। আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে শতাধিক। কিছুদিন আগে বউ বাজার বস্তিতে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন আরো ১৫জন শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষ।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আজ উত্তরার দক্ষিণ খানে সোয়ান গার্মেন্টে আবারো আগুন! আবারো শ্রমিকের পোড়া লাশ!
আগুনে পুড়ে, ভবন ধ্বসে, গার্ডার ধ্বসে শ্রমিকদের মৃত্যুই শুধু নয়, শ্রম শোষণের শিকারে দুর্বিষহ জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে শ্রমিকরা যখন আন্দোলনে নামে তখন শ্রমিকদের গুলি করে, গুম করে হত্যা করা হয়।
এর আগেও স্পেক্ট্রাম, কেডিএস, গরীব এন্ড গরীব, হা-মীমসহ বিভিন্ন কারখানায় দূর্ঘটনায় শত শত শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আর, প্রতিবারই এ ধরণের ঘটনার পর সরকার ও মালিকের পক্ষ থেকে লোক দেখানো তদন্ত কমিটি, ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু, আজ পর্যন্ত কোন তদন্ত রিপোর্ট যেমন জনগণের সামনে আসেনি তেমনি কারখানার অব্যবস্থাপনার জন্য কোন মালিকের শাস্তি হয়নি। বড় বড় মালিকদের রক্ষা করে সরকার ও রাষ্ট্র বারংবার শ্রমজীবী জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগের মহাজোট এবং বিএনপি-জামাত জোট যারাই যখন ক্ষমতাই ছিল তাদের ভূমিকা ছিল একই। বরং শ্রমিকদের আন্দোলন দমন করার কাজেই ছিল তাদের অধিকতর মনোযোগ। এ জন্য র‌্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা মোতায়েন করা এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করাই শ্রমিক বিষয়ে এসব সরকারের একমাত্র কাজে পরিণত হয়। অথচ এখন সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল মালিক শ্রেণীর স্বার্থরক্ষাকারী এসব দলগুলো শ্রমিকদের জন্য মায়াকান্না করছে।
সাম্রাজ্যবাদ ও তার দালাল শাসকশ্রেণী এদেশের শ্রমিক ও শ্রমজীবী জনগণকে অত্যন্ত নির্মমভাবে শোষণ-নিপীড়ন চালাচ্ছে। এ কারণেই শ্রমিকের জীবণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অবকাশ তাদের নেই। ঘরে-বাইরে-কারখানায় কোথাও শ্রমিকের জীবন আজ নিরাপদ নয়। প্রতিটি কারখানা, বস্তি পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে। আজ যে কোন সময় যে কোনখানে শ্রমিকের মৃত্যু ঘটতে পারে।
সাম্রাজ্যবাদ এবং তার দালাল শাসকশ্রেণীর বর্তমান রাষ্ট্র ও সমাজে শ্রমিকের প্রতি এ নির্মমতার অবসান ঘটতে পারেনা। সুতরাং সাম্রাজ্যবাদসহ এ শাসক শ্রেণীকে, তাদের নির্মম শোষণমূলক ব্যবস্থা এবং তাদের নিপীড়নমূলক রাষ্ট্রকে উৎখাত করে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করেই কেবল শ্রমিকশ্রেণী ও জনগণ এ অবস্থা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে। একারণে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই আসুন, শোককে শক্তিতে পরিণত করি, শোষক-নিপীড়ক মালিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণীর একটি দৃঢ় ঐক্য ও সংগ্রাম গড়ে তুলি। সেইসাথে মুক্তির বৃহত্তর সংগ্রামে কৃষক-মেহনিতসহ নিপীড়িত জাতি ও জনগণের সাথে ঐক্যবদ্ধ হই।

দাবী সমূহ:
১. প্রত্যেক নিহতের পরিবারের জন্য ২০ লক্ষ টাকা ও গুরুতর আহতদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে
২. অবিলম্বে আগুনে পুড়িয়ে শত শত শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ী তাজরিন ফ্যাশনের মালিক, ব্যবস্থাপককে আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে
৩. তাজরিন ফ্যাশনসহ অন্যান্য দায়ী গার্মেন্টস মালিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে
৪. মালিক ও সরকারকে অবিলম্বে কর্ম ও আবাসস্থলে শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার জন্য নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। কারখানায় অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. চট্টগ্রামে ফ্লাই ওভারের গার্ডার ভেঙ্গে মৃত্যুর জন্য দায়ী ঠিকাদার কোম্পানি এবং সিডিএ কর্তৃপক্ষকে গ্রেফতার, বিচার-দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি এবং তাদের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে
আয়োজনে:
মঙ্গলধ্বনি, প্রগতির পরিব্রাজক দল-প্রপদ, গণমুক্তির গানের দল, ল্যাম্পপোস্ট, ছাত্র গণমঞ্চ, জাগরণের পাঠশালা, বিজ্ঞানচেতনা পরিষদ, ‍মার্কসবাদের প্রথম পাঠ, শহীদ রফিক স্মৃতি পাঠাগার এবং প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গ
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×