somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবুল বারাকাতের কন্যা ঢাবি শিক্ষিকা অরণীর ইসলামবিদ্বেষী ভূমিকা : জুমা’র নামাজের সময় পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এবার খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইসলামবিদ্বেষের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুসলমানদের অন্যতম ইবাদতের দিন শুক্রবার জুমা’র নামাজের সময় উক্ত শিক্ষকা পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত লেকচারার অরণী বারকাত। জুমা’র নামজের সময় পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠার খবর পেয়ে পরিস্থিতি অবনতির পূর্বেই এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান। তিনি দ্রুত পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন এবং জানান, জুমা’র নামাজের সময় কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না। তিনি শিক্ষার্থীদের এ বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন, যেহেতু উক্ত শিক্ষক মহিলা। তাই তিনি জুমা’র নামাজের বিষয়টি মাথায় আনেননি।
তবে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বিভাগীয় চেয়ারম্যান পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য একটি কথা বলেছেন। কিন্তু উক্ত শিক্ষিকা ব্যক্তিগতভাবে ইসলামবিদ্বেষী পরিবারের হওয়ায় এঘটনা ঘটিয়েছেন। তাকে পরীক্ষার সময় নির্ধারণের পূর্বেই জুমা’র নামাজের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি জানান, তার হাতে সময় নেই। তাই নামাজের সময়ই পরীক্ষা নিতে হবে। এক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক অরণী বারকাত অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের কন্যা। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এধরনের ঘটনা নজিরবিহীন বলে জানান একাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
সূত্র জানায়, অর্থনীতি বিভাগের ৫ম সেমিস্টারের ‘ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড’ কোর্সটি পড়ান বিভাগের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক অরণী বারকাত। গতাল (শুক্রবার) ছিল কোর্সটির মিডটার্ম পরীক্ষা। সম্প্রতি হরতালসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুক্রবারেও ক্লাস পরীক্ষা চালু রাখার ঘোষণা দেন। ফলে অধিকাংশ বিভাগেই হরতালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এদিন সকল কার্যক্রম চালু রাখা হয়। জুমা’র নামাজ চলাকালে থাকে বিরতি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সকল রেকর্ড ভাঙিয়ে গতকাল জুমা’র নামাজের সময়ই পরীক্ষা নেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন অরণী বারকাত। পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয় ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ৩০২ নং কক্ষে ছিল পরীক্ষার স্থান। অথচ অধিকাংশ মসজিদে জুমা’র নামাজ চলে বেলা ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে। পবিত্র জুমা’র নামাজের কথা বার বার স্মরণ করিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীরা এসময় পরীক্ষা না নেয়ার অনুরোধ করলেও তিনি তা গ্রাহ্য করেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করে তীব্র ক্ষোভ আর অসন্তোষ। সব মহলে ওঠে নিন্দার ঝড়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি দেশে এধরনের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তারা এধরনের শিক্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কটের দাবি জানান।
ক্যাম্পাসব্যাপী এধরনের প্রতিক্রিয়ার ফলে বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী তসলিমের মধ্যস্থতায় পরীক্ষার সময় পিছিয়ে জুমা’র পরে দেয়া হয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। এটি বিভাগের কোনো সিদ্ধান্ত নয়, কারণ মিডটার্ম পরীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট কোর্সের শিক্ষক এককভাবেই নির্ধারণ করে থাকেন। তিনি বলেন, এধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেই নেয়া হয়।
বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ‘সময় কমে’র অজুহাত তুলে অরণী এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে চেয়ারম্যান ১২টায় পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে পরীক্ষা হলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। উক্ত শিক্ষক পুরুষ না হওয়ায় নামাজের বিষয়ে অবগত ছিলেন না বলে তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। এছাড়া পরীক্ষার সময় পিছিয়ে ২টায় করার সিদ্ধান্ত জানানো হয় এসময়। এব্যাপারে কথা বলতে অরণী বারকাতকে বার বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

ইনকিলাব
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×