somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখতে হবে

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা আমার নিকট দোয়া করো, হে আমাদের রব! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম তালাশ করো।’
যার ফলে একজন মুসলমানের জন্মের পর তা’যীন-তাহনীক্ব অর্থাৎ কানে আযান- ইক্বামত ও মুখে মধু দিতে হয় অর্থাৎ আযান ইক্বামত দিয়ে দ্বীনি তা’লীম শুরু করা হয় আর মধুপান করিয়ে পবিত্র সুন্নত মুবারক আমল শুরু করা হয়।
তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম উনার দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখতে হবে।
এটাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ। মুসলমান উনারা এর বিপরীত শিক্ষানীতি গ্রহণ করতে পারে না।
আমরা মুসলমান! মুসলমান উনাদের বিলাদত তথা জন্মের পর থেকে তো অবশ্যই বরং জন্মের পূর্ব থেকে শুরু করে ইন্তিকালের পরও ইসলামী বিধি-বিধান পালনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা আমার নিকট দোয়া করো, হে আমাদের রব! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।’

আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম অন্বেষণ করো।’ যার ফলে একজন মুসলমানের জন্মের পর তা’যীন-তাহনীক্ব অর্থাৎ কানে আযান-ইক্বামত ও মুখে মধু দিতে হয় অর্থাৎ আযান ইক্বামত দিয়ে দ্বীনি তা’লীম শুরু করা হয় আর মধুপান করিয়ে সুন্নত আমল শুরু করা হয়। তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম উনার দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখতে হবে। এটাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ। মুসলমান উনারা এর বিপরীত শিক্ষানীতি গ্রহণ করতে পারে না।

অনুরূপভাবেই ইন্তিকালের পরও সুন্নতী কায়দায় তার গোসল, কাফন, জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। যা মূলত পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদেরই নির্দেশ। আর এ নির্দেশ পালন করতে হলে তাকে অবশ্যই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সম্পর্কে ইলম বা শিক্ষা লাভ করতে হবে। তাই ‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোন আইন পাস হবেনা’-এ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে, ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম উনাদের দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষাকে প্রথম ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা।

দ্বীনি ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্যই ফরযে আইন। তাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের অসংখ্য স্থানে দ্বীনি ইলম অর্জন করার নির্দেশ, উৎসাহ ও ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা বলো অর্থাৎ আমার নিকট দোয়া করো, হে আমাদের রব! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।’ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম অন্বেষণ করো।’

মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ইলম অর্জন করা ফরয।” (বায়হাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)
এ ইলম হলো দু’প্রকার। যেটা অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, “ইলম দু’প্রকার- (১) ক্বলবী ইলম অর্থাৎ ইলমে তাসাউফ যা উপকারী ইলম। (২) লিসানী ইলম অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ, যা বনী আদম উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে দলীল স্বরূপ।” (দারেমী শরীফ, তারগীব শরীফ, তারীখ শরীফ, মিশকাত শরীফ)

এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মিশকাত শরীফ’ উনার বিখ্যাত শরাহ ‘মিরকাত শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন যে, মালিকী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো, কিন্তু ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করলো না, সে ফাসিক। আর যে ব্যক্তি ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করলো কিন্তু ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো না, সে যিন্দিক (কাফির)। আর যে ব্যক্তি উভয়টি শিক্ষা করলো, সে মুহাক্কিক তথা হক্কানী আলেম।” অর্থাৎ যে ইলমে ফিক্বাহ শিখলো, কিন্তু ইলমে তাসাউফ শিখলোনা, সে হচ্ছে ফাসিক। আর যে বলে আমি মা’রিফাত করি বা ইলমে তাসাউফ করি কিন্তু শরীয়ত বা ফিক্বাহ স্বীকার করেনা, সে হচ্ছে যিন্দীক। আর যিনি উভয়টাই শিক্ষা করলেন, তিনি হচ্ছেন মুহাক্কিক অর্থাৎ হাক্বীক্বী আলিম।

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এ কথাই সাবেত হয় যে, সকল মুসলমান পুরুষ ও মহিলার জন্য ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করা ফরয। শুধু এ ফরয পরিমাণ ইলম শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবেনা। কেননা ফতওয়া দেয়া হয়েছে যে, ইলমে ফিক্বাহ ও ইলমে তাসাউফে দক্ষতা অর্জন করা ফরযে কিফায়ার অন্তর্ভুক্ত। এ ফরযে কিফায়া যদি আদায় না করা হয়, তাহলে সকলেই ফরয তরকের গুনাহে গুনাহগার হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “কেনো তাদের প্রত্যেক ক্বওম বা সম্প্রদায় থেকে একটি দল বের হয়না এজন্য যে, তারা দ্বীনি ইলমে দক্ষতা অর্জন করবে এবং তাদের ক্বওমকে ভয় প্রদর্শন করবে, যখন তারা তাদের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে। আশা করা যায়, তারা বাঁচতে পারবে।” (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ-১২২) অতএব, কিছু লোককে অবশ্যই দ্বীনি ইলমে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে, নচেৎ সকলকেই ফরযে কিফায়া তরকের গুনাহে গুনাহগার হতে হবে। (তাফসীরে মাযহারী শরীফ, রুহুল মায়ানী শরীফ, রুহুল বয়ান শরীফ, ফতহুল ক্বাদীর শরীফ, হাশিয়ায়ে সাবী শরীফ, খাযেন শরীফ, বাগবী শরীফ, কবীর শরীফ, ইবনে কাছীর শরীফ, যা’দুল মাছীর শরীফ, বয়ানুল কুরআন শরীফ।)

মূলকথা হলো- একজন মুসলমানের জন্মের পর তা’যীন-তাহনীক্ব অর্থাৎ কানে আযান-ইক্বামত দিয়ে দ্বীনি তা’লীম শুরু করা হয় আর মুখে মধু দিয়ে পবিত্র সুন্নত মুবারক আমল শুরু করা হয় এবং মৃত্যুর পরও কাফন-দাফনের মাধ্যমে দ্বীন ইসলাম উনাকেই অনুসরণ করা হয়। তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম উনার দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখতে হবে। এটাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ। মুসলমান এর বিপরীত শিক্ষানীতি গ্রহণ করতে পারে না।
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা: ব্লগাররা বিষয়টি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৯ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১


ছবি- আমার তুলা।
বেলা ১২ টার দিকে ঘর থেক বের হলাম। রাস্তায় খুব বেশি যে জ্যাম তা নয়। যে রোডে ড্রাইভ করছিলাম সেটি অনেকটা ফাঁকা। কিন্তু গাড়ির সংখ্যা খুব কম।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×