somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এ বিগ স্যালুট টু মাই হিরো

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রৌদ্রজ্জ্বল মাঠে উইকেট কিপারের অদুরে দাঁড়িয়ে রোদ চশমার আড়াল থেকে তীক্ষ্ণ চোখে দু হাত সামনে নিয়ে ওঁত পেতে আছে সাউথ আফ্রিকান ফিল্ডার রবিন পিটারসেন। বলার বল নিয়ে দৌড়ে আসছেন, সতর্ক মুহুর্ত। রবিন পিটারসেন নিজেই জানতেন না তিনি হতে যাচ্ছেন ক্রিকেট ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়ের যবনিকাপাতের নায়ক। বলটি ব্যাটের কানায় লেগে ছুটে এল রবিন পিটারসেন এর কাছে আর নিমিষেই লুফে নিয়ে উল্লাসের সাথে একটা মন খারাপ আর বিদায়ের অনুভুতি নিয়ে চলে এলেন সরাসরি আউট হওয়া ব্যাটসম্যানের কাছে। আর এই অনুভুতি ছড়িয়ে পড়ল অন্য খেলোয়াড় থেকে শুরু করে মাঠে উপস্থিত অন্য সবার মাঝে। একে একে সকল ফিল্ডাররা এগিয়ে এসে করমর্দন করলেন এই ব্যাটসম্যানের সাথে। বিদায় দিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের এই মহান শিল্পীকে। কারন এটিই ছিল তার আন্তরজাতিক ক্রিকেট জীবনের শেষ ইনিংস।


রিকি পন্টিং আজ বিদায় নিলেন ক্রিকেট থেকে। এর পর থেকে টেস্ট বা ওয়ানডে কোন পোশাকেই আর দেখা যাবে না এই তারকা ক্রিকেটারকে। আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাটসম্যান। এই আমি তার খেলা দেখতাম মুগ্ধ হয়ে, আমাকে রিকির খেলাই সর্বদা আকর্ষিত করে। এ পর্যন্ত ১৬৭টি টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহন করে ১৩ হাজার ৩৭৮ রান করেছেন পন্টিং। টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ৫২.৮৫। এছাড়া তার ঝুলিতে রয়েছে ৪১টি শতক ও ৬২টি অর্ধশতক। রিকি পন্টিং ৩৭৫টি একদিনের ক্রিকেটেও অশংগ্রহন করেন। একদিনের ক্রিকেটে তার মোট রান ১৩ হাজার ৭০৪। ব্যাটিং গড় ৪২.০৩। তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগারের দেখা পেয়েছেন ৩০বার ও অর্ধশতক রয়েছে ৮২টি।

আমার দেখা শ্রেষ্ঠ অধিনায়ক। ৯ বছর একটা টিমের অধিনায়কত্ব করা! ৯ বছর একটা দলের নেতৃত্ব দেয়া, দলের নেতা হয়ে থাকা কম কথা নয়। একটা প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে রিকি পন্টিং'র অসাধারন অধিনায়কত্ব দেখে!! তারা দেখে এসেছে কিভাবে একজন নেতাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয়, কিভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছাতে হয়। কিভাবে দলকে আগলে রাখতে হয়। কিভাবে দলের মধ্যে জয়ের তৃষ্ণা ছড়িয়ে দিতে হয়!


আজ থেকে ১৪ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটির স্পট অ্যাডমিশন ভাইভার সময় জিজ্ঞেস করেছিল, আমি কেন অস্ট্রেলিয়া যেতে চাই । উত্তরে আমি সজ্ঞানে বলেছিলাম, কারন ওটা রিকি পন্টিং এর দেশ-আর এই জন্যি আমি যাব আর ওখানকার ইঊনিভার্সিটি আমার সেকেন্ড প্রায়োরিটি। জানিনা প্রশ্নকারী অস্ট্রেলিয়ান মহিলা কি ভেবেছিলেন সে সময়। এর দু মাস পরে অফার লেটার পেলাম ওখানকার এক ইঊনিভার্সিটি থেকে। হয়ত আমার পন্টিং ভক্তি দেখে ওরা মুগ্ধ হয়েছিল। যাই হোক অন্য কারনে যাওয়া হয়নি সে দেশে কিন্তু পন্টিং কখনও মুছে যায়নি ভাল লাগার সেই জায়গা থেকে। আমার এই বিদায়ী জয়ের নায়ক কে জানাই স্যালুট। ক্রিকেট বিশ্ব মনে রাখবে এই ক্রিকেট শিল্পী আর শ্রেষ্ঠ অধিনায়ককে যুগ যুগ ধরে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×