somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভোটার কার্ড বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড তৈরি করতে মুসলমান জনগোষ্ঠীকে বাধ্য করলেও হারাম গণতন্ত্রের প্রবর্তক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দিতে ছবির প্রয়োজন হয় না

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হারাম থেকে হারাম ব্যতীত অন্য কিছু বের হয় না।’
আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেকী ও পরহেযগারিতে সাহায্য করো, পাপে ও শত্রুতাতে সাহায্য করো না।’
আমাদের দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের অজুহাতে ছবিযুক্ত ভোটার কার্ড বা ন্যাশনাল আইডি কার্ড তৈরি করতে মুসলমান জনগোষ্ঠীকে বাধ্য করলেও হারাম গণতন্ত্রের প্রবর্তক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোট দিতে ছবির প্রয়োজন হয় না।
৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে ছবি, ভোট, গণতন্ত্রের মতো হারাম বিষয়গুলো চাপিয়ে দিয়ে কাফির-মুশরিকরা নিজেদের সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে।
আর মুসলমানরা অজ্ঞতা ও হীনমন্যতাবশতঃ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার থেকে সরে গিয়ে ঈমানহারা হয়ে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র শরীয়ত উনার তরফ থেকে ‘ছবি তোলা হারাম’ হওয়া সত্ত্বেও সরকার মুসলমানগণকে ভোটার কার্ডের জন্য ছবি তুলতে বাধ্য করছে।

বর্তমান প্রযুক্তির যুগে মানুষ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র বহন করছে, যেমন- ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট ইত্যাদি আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছবি ছাড়াও বিশেষ কার্ড ব্যবহার করছে; যেমন- ব্যাংকের কার্ড, অফিস-আদালতে সিকিউরিটি কার্ড ইত্যাদি। অথচ সকল ক্ষেত্রে ও সকল প্রকার পরিচয়পত্রে এবং বিশেষক্ষেত্রে ব্যবহারের কার্ড ছবি ছাড়া শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে তৈরি করা সম্ভব এবং করা উচিত অর্থাৎ দায়িত্ব ও কর্তব্য।

বিভ্রান্ত শাসকরা যেহেতু তাদের নফসের অনুসরণকারী ও দুনিয়া তালাশী, তাই তারা যেখানে পবিত্র শরীয়ত উনার নির্দেশ আসে তখন তা প্রগতিশীলতা, আধুনিকতার বিপরীত বলে অনুসরণ না করে কাফির-মুশরিকদের নিয়মনীতি অনুসরণ করে। গণতন্ত্রের মুখস্থ বুলি হচ্ছে- সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিষয় গ্রহণযোগ্য। তবে ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বাংলাদেশে কেন হারাম ছবির এত ব্যাপক প্রচার-প্রসার হবে? মুসলমানগণ উনারা তো ছবির ব্যবহার চায় না। এক্ষেত্রে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার অনুসরণ না করে নগণ্য সংখ্যক কাফির-মুশরিকদের গোলামী ও সন্তুষ্টির জন্য; মূলত তাদের নফসের সন্তুষ্টি ও দুনিয়া হাছিলের জন্য তারা ছবির মতো হারাম বিষয় আমাদের মুসলিম দেশে চাপিয়ে দিচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘আমিষ সম্প্রদায়’ নামে খ্রিস্টান ধর্মের কিছু গোঁড়া অনুসারী আছে; যাদের সংখ্যা প্রায় ২,৫০,০০০ জন। যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্টেটের কাছে প্রায় ১০০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে এদের বসবাস। এ গোঁড়া খ্রিস্টান সম্প্রদায়টি আধুনিক গাড়ির পরিবর্তে ঘোড়া ও ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করে, বিদ্যুৎ ব্যবহার করে না অর্থাৎ আধুনিক প্রযুক্তির অনেক কিছুই ব্যবহার করে না। যেহেতু তাদের নবী যীশু খ্রিস্ট (হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম) তিনি এসব ব্যবহার করেননি, তাই তারা ব্যবহার করে না। তারা ছবি তোলার বিপক্ষে। তারা সামাজিক নিরাপত্তা কর ইত্যাদি দিতে, জীবন বীমা করতে, ইনস্যুরেন্স করতে অনাগ্রহী। অথচ তাদের দেশের সরকার তাদের এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের মতো এত বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের ধার্মিক মুসলমানদের উপর একের পর এক কাফিরদের বানানো রীতিনীতি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

মূলকথা হলো- ছবি ছাড়া শুধু পরিচয়পত্রই নয়, বরং যত জায়গায় ছবির ব্যবহার করা হচ্ছে সব জায়গা থেকে ছবি দূর করে ইসলামী শরীয়তসম্মত পদ্ধতি চালু করতে হবে। আর জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এসব ক্ষেত্রে ছবির পরিবর্তে ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতি চালু করতে হবে। কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘ছবি তুলনেওয়ালা, তোলানেওয়ালা প্রত্যেকই জাহান্নামী।”
১৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভুল শুধু ভুল নয়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৬

এক
লেখাটা একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। ১৯৯৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে শফিপুর আনসার একাডেমিতে বিদ্রোহ হয়। ৪ ডিসেম্বর পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায়। এতে চারজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছিল। এটি ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ময়লাপোতার কমলালেবুর কেচ্ছা!! (রম্য)

লিখেছেন শেরজা তপন, ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩


বাংলাদেশের বিশেষ এক বিভাগীয় শহরে ময়লাপোতা, গোবরচাকা, লবনচোরা, মাথাভাঙ্গা, সোনাডাঙ্গার মত চমৎকার সব নামের এলাকায় দারুণ সব সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাস।
আমার এক বন্ধুর আদিনিবাস এমনই এক সম্ভ্রান্ত এলাকায় যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট: বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন

লিখেছেন করুণাধারা, ২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


বন্ধ হয়ে গেল সচলায়তন! view this link

সামহোয়্যারইনব্লগ থেকে কয়েকজন ব্লগার আলাদা হয়ে শুরু করেছিলেন সচলায়তন বা সংক্ষেপে সচল ব্লগ। এটি বন্ধ হবার মূল কারণ উল্লেখ করা হয়েছে দুটি:

১)... ...বাকিটুকু পড়ুন

×