somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভিক্টোরিয়া কলেজ, কুমিল্লায় টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এক ছাত্রীর সাথে নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকের এ কেমন ঘটনা !!!

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাতীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখেই শুরু করছি> আমরা কি এখন বিষয়টা দেখব, নাকি জাহাঙীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রের করুণ দশার মত আরো কোন ঘটনার অপেক্ষা করব?
ঘটনা এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এ, যেটি কিনা অনেক পুরনো ও ঐতিয্যবাহী কলেজে।
০২ ডিসেমবরের ঘটনা:
ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষ শিক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। প্রথম পরীক্ষার দিনেই তাদের পরীক্ষা হবার কথা ২য় তলায়, কিন্তু কোন এক শিক্ষকের সমস্যা থাকায় তাদের কে যেতে বললেন নিচ তলায়।

যথারীতি চলছিলো পরীক্ষা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের পরীক্ষাগুলো হয় অনেক বড় পরিসরের সিলেবাসের ভিত্তিতে। আবার সৃজনশীল প্রশ্ন থাকায় হুবহু কমন পড়ার সম্ভবনাও অনেক কম, যদি স্যারদের সাথে প্রাইভেট পড়ে কোন কিছু পাওয়া যায় তা ভিন্ন কথা।

পরীক্ষার আড়াই ঘন্টা পর আসল ঘটনার সুত্রপাত ! হটাত করেই অস্ট্রেলিয়া থেকে ডিগ্রী নিয়ে আসা নতুন নিয়োগ পাওয়া এক শিক্ষক কেড়ে নিয়ে যান জানালার পাশে ও সর্বশেষ সিটে বসা এক ছাত্রীর !

অভিযোগ হচ্ছে তার পাশের জানালার ওয়াল থেকে একটি মোচড়ানো কাগজের টুকরা পাওয়া গেছে!

রুমের জানালা এমন উচু যে কেউ থু-তু ফেলতে চাইলে জানালার পাশে থাকলেও একটু উঠতে হবে। ছাত্রীর কথা না শুনেই না বুযেই দেড় ঘন্টা আগেই তার খাতা কেড়ে নেওয়া হয়!

ছাত্রীঃ স্যার এটা আমার না, আমি এর কিছু জানি না।
স্যারঃ বোরকা পড়ে কেন আসো আমরা বুযি না ভেবেছ?
এই কথা কয়েক বার বলতে বলতে সোজা সেমিনারে গিয়ে খাতা ও কাগজের টুকরাটি জমা দিয়ে চলে আসেন এই শিক্ষক।

জানা যায় এই ছাত্রীটি এই কলেজের কোন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ত না। এই পরীক্ষার নম্বরের উপর তাদের টিউটোরিয়ালের ৫০ নম্বর ও নির্ধারণ হবে !!!

স্যার পরে তাকে রুম থেকে বের করে দেয়। অথচ এটা তার নকল ছিল কিনা বা তার হাতের লিখা মিল আছে কিনা অথবা এই নকলের সাথে তার খাতার লিখা মেলে কিনা এটা পরখের কোন প্রয়োজন এই শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষ মনে করল না !!!

জীবনে এমন ঘটনা আগে কোনদিন স্বীকার না হওয়ায় ও স্যারের কথায় লজ্জায় ও অপমানিত হয়ে এক প্রকার দিশেহারা মেয়েটি ওই দিন মেসে চলে যায়। বিষয়টি শেয়ার করতে পারে না কারো কাছে এমনকি তার বাবার কাছেও !

পরদিন ফরম পুরনের জন্য ছবি জমা দিতে যান ছাত্রীটি। সেমিনারের দায়িত্বে থাকা লোকটি জানায়
>তোমার তো ফরম ফিলাপে জামেলা হবে, তুমি বরং একটা দরখাস্থ লিখে ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কাছে যাও।

ওভাবেই ছাত্রীটি গেলে স্যার তাকে ধমকের সুরে ৫০০টাকা ফাইন সহকারে ফরম পুরনের কথা লিখে দেয় দরখাস্থে !!
ছাত্রীটি ঘটনাটি অস্বীকার করলে স্যার স্পষ্ট জানিয়ে দেন পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা শিক্ষকের চোখের দেখাই আসল ! কোন যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই ! আর কোন কথা এ ব্যাপারে বলতে তাকে ধমকের সুরে নিষেধ করে দেন !এইদিন ঐ অস্ট্রেলিয়ান ডিগ্রীধারি শিক্ষককে ক্যাম্পাসে দেখা যায় নি!

টাকাটা এখানে বড় কিছু না তবে


>জানালার পাশে সিট পরা কি কোন শিক্ষার্থীর অপরাধ?
>একজন শিক্ষার্থীর কি এই রকম সহযোগীতাই প্রাপ্য তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলীর কাছে?
>যাচাই ছাড়া একজনের বিরুদ্ধে সমস্ত ডিপার্টমেন্ট কিভাবে এমন করে, ছাত্রীটি এখন যাবে কোথায়, কার কাছে?
>অনুমানের উপর ধর্মীয় দিক থেকে ক্লাসের সবার সামনে নিরপরাধ একজনকে অপমান ও লজ্জা দেওয়া কি শিক্ষক সমাজের জন্য মানানসই?
>৫০ নম্বর যেখানে নির্ভর করে সেই পরীক্ষায় দেড় ঘন্টা আগে যাচাই ছাড়া কিভাবে একজন কে হল থেকে বার করে দেয়?
>১ম পরীক্ষায় এমন হয়ে গেলে, পরের পরীক্ষা যদি খারাপ হয় বা ফাইনাল রেজাল্টে যদি কোন সমস্যার পরে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, তখন এই দায়ভার কে নেবে, কে?


প্রশাসন কি এখন কিছু করবে না, নাকি জাহাঙীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মত নির্মম কিছু হবার পর সচ্চার হবার বৃথা চেষ্টা ও লোক দেখানোর প্রয়াস চালাবে।

অস্ট্রেলিয়ান ডিগ্রীধারি শিক্ষক উনাকে বলার কারণ কিন্তু ডিগ্রীকে অপমান করা না, বলছি উনাকে শ্রদ্ধার সাথেই শুধু specify করতে, কারণ স্যারতো আরো আছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তো উনি ছিলেন না উচ্চশিক্ষার সময়, এইতো...

আমরা আর কত নির্বাক থাকব?

সামুতে যদি কোন সাংবাদিক ভাই থাকেন বা পড়েন এটার জন্য কিছু করার অনুরোধ করা গেল।

স্টিকি করার মত কোন পোষ্ট কোন দিন লিখি নি, তবে এ ব্যাপারে কি সামু কর্তৃপক্ষ কিছু করতে পারেন কিনা তা দেখা অপেক্ষায় রইলাম।
গতকালের তাজা ঘটনা, যে কেউ পারলে প্লিজ প্লিজ কিছু করার বিষেশ আহবান জানাচ্ছি, সামু ও হতে পারে প্রান রক্ষার কোন ইতিহাস, সাথে আপনিও। কারণ বিষয়টা সাম্প্রতিক আলোচিত...
সাবধান ও সতর্ক হয়ে সবাই ভালো থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৭
৩২টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×