[বাল্যগুরু, মৌলানা তস্লিম উদ্দিন আকন্দ স্মরণে]
যদিও তারা বলেছিলো, 'তস্লিমুদ্দিন নামে এই লোক
ভারি বোকা, বদ্ধ উন্মাদ!' ওরা তো জানতো না
কত গুপ্তজ্ঞানে তোমার মগজ ঋদ্ধ ছিলো!
সময়ভ্রমণ নিয়ে কত কী যে ভাবনা তুমি পুষে রাখতে মনে
ওরা সেই সন্ধান কীভাবে পাবে?
নতুন পৃথিবী যারা ভাবা তো দূরের কথা, স্বপ্নেও দেখেনি!
দূর গ্যালাক্সির ডাক নিশ্চয় শুনেছিলে তুমি!
মঞ্চজুড়ে পর্দা নামারও আগে মঞ্চের নীরবতা দেখতে পেয়েছিলে?
ইলেক্ট্রন কণাগুলো ক্রিয়াশীল হলে, সময় ও দূরত্ব যে
অভিন্নে বিলীন__ এই ভাবনা কখন, কীভাবে ভেবেছিলে?
যে সমস্যা এখনও আসেনি সামনে, তারও সমাধান খুঁজে
নিষ্পত্তির স্বপ্ন দেখেছিলে; 'স্ব ও সমাজ'-এর ঠিক মাঝখানে
আগামীকে টেনে এনে দাঁড় করিয়েছো, অস্বীকৃত আহ গুপ্তজ্যোতি!
মেধা ও পাগলামি কোনও পৃথক অভিধা নয়,
সহজেই বলা যেতে পারে; তবু দ্যাখো,
তোমার অধিক কেউ এ-দুয়ের সীমানাকে আগে তো ভাঙেনি!
স্বপ্নের ভেতরে তুমি রচেছিলে নতুন দুনিয়া, জেনেছিলে,
বাস্তবতা কল্পনারই অন্ধ-অনুসারী! আজকের মঠে বসে,
আগামীকালের নগ্নস্তনশোভা স্পষ্ট দেখেছিলে।
আহা, মৌন অভিজ্ঞান!