রাজধানীবাসীর দৈনিক পানির চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা ওয়াসা এখন বাড়তি ১৭ কোটি লিটার পানি উৎপাদনে সক্ষম বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।
Published : 04 Jun 2013, 10:41 AM
“পানির দিক থেকে ঢাকা ওয়াসা এখন মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ,” মঙ্গলবার ওয়াসা ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেছেন তিনি।
তাকসিম খান বলেন, ইতিহাসে এই প্রথম ঢাকা ওয়াসা মোট চাহিদার বিপরীতে উদ্বৃত্ত পানি উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে।
ঢাকাবাসীর দৈনিক পানির চাহিদা ২২৫ কোটি লিটার জানিয়ে তিনি বলেন, এখন ওয়াসা ২৪২ কোটি লিটার পানি উৎপাদনে সক্ষম।
পরিবেশবান্ধব পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গত তিন বছরে ঢাকা ওয়াসা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে বলে দাবি করেন সংস্থার এমডি।
ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে পদ্মা নদী থেকে পানি এনে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ‘পদ্মা জশলদিয়া পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প’ এবং মেঘনা নদী থেকে পানি এনে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ‘গান্ধবপুর পানি শোধনাগার প্রকল্পের’ কাজ এগিয়ে চলেছে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
এছাড়া সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্প, ফেজ-৩ এর সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চালাচ্ছে ওয়াসা। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি শোধন করে নগরীতে সরবরাহ কারা যাবে।
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন হওয়া সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প, ফেজ-২ থেকে এখন দৈনিক ২২ দশমিক ৫ কোটি লিটার পানি ভূ-উপরিস্থ পানি সরবরাহে যোগ হয়েছে বলেও জানান ওয়াসা এমডি।
একইসঙ্গে ওয়াসা ভূ-উপরিস্থ উৎসের দিকে অগ্রসর হলেও রাজধানীবাসীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে ২০১০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ৩ জুন পর্যন্ত সর্বমোট ২১৫টি গভীর নলকূপ স্থাপনের তথ্য দেন তিনি।
এতকিছুর পরও রাজধানীর অনেক এলাকার মানুষ এখনো সময়মতো পানি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয়ে তাকসিম বলেন, রাজধানীর ৬৪০টি পানির পাম্পের মধ্যে প্রতিদিনই শতকরা এক শতাংশ পাম্প নষ্ট হওয়া কিংবা মেরামতের কাজ চালানোর জন্য বন্ধ রাখতে হয়। আর প্রতিটি পাম্পের আওতায় থাকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।
“সে হিসাবে এই সমস্যা অস্বাভাবিক নয়।”
“এর মধ্যে আমরা রাজধানীর সবচেয়ে বড় কড়াইল বস্তির এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে বৈধ পানি ব্যবস্থাপনার আওতায় এনেছি। বাকিটা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।”
অন্যদিকে অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ‘জলজট’ নিরসনের জন্য রামপুরা ও কমলাপুরে ইতোমধ্যে দুটি অস্থায়ী পাম্প বসানো হয়েছে।
এছাড়া আরো ১১টি স্থানে অস্থায়ী পাম্প বসানোর পরিকল্পনাও সভায় জানান ওয়াসা এমডি।
দুই সপ্তাহ আগে টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে জল জমে যায়, যা কয়েকদিন ধরে আটকে থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে।