একাত্তরে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি ঘটনা তদন্তে কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত দল কাজ শুরু করেছে।
Published : 04 Jun 2013, 11:45 AM
মঙ্গলবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা আইজিপি এম ছানাউল হকের নেতৃত্বে তদন্ত দলের সদস্যরা জেলার তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলায় ভূক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এম ছানাউল হক জানান, কিশোরগঞ্জে মোট ১০টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে দুটির কাজ প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে।
“তদন্ত দল দুটি ঘটনার স্থান পরিদর্শন ও ভূক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছে এবং এসব অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।”
তদন্ত দলের কর্মকর্তারা জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে সতীশ চন্দ্র ঘোষ ও তার তিন সহোদর ভাইসহ আট আত্মীয়কে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সতীশ চন্দ্র ঘোষের স্ত্রী সঞ্জু বালা ঘোষ বাদী হয়ে ‘রাজাকার’ হাছেন আলীর বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার কারণে আইলা গ্রামের মিয়া হোসেনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. গোলাপ মিয়া বাদী হয়ে ‘রাজাকার কমান্ডার’ মো. নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
উভয় মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাড়াইলের সঞ্জু বালা ঘোষ বলেন, “একাত্তরে রাজাকার হাছেন আলী আমার স্বামী, তিন দেবর ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনসহ আটজনকে হত্যা করে। ৪২ বছরেও আমি এর বিচার পাইনি। এখন মামলা করায় আসামিরা আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।”
অপর মামলার বাদী মো. গোলাপ মিয়া বলেন, “করিমগঞ্জ উপজেলার রাজাকার কমান্ডার নাছির উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমার পিতাকে হত্যা করেছে।”