হিমাদ্রী রেহান
সৃষ্টিকর্তার পৃথিবীর এই অবিনাশী শরীর
এত সুন্দর করে চিনব, আমি ভাবতেও পারিনি !
চেতনার গলিপথে হারিয়ে যাই বুঝতে শিখি যখন...
অরণ্য আর সভ্যতার ভেদাভেদ খুঁজি মানবীয় আচরণে ,
ধন্যবাদ বিধাতা; এইসব বিচিত্র চরিত্রের কি অপরুপ (!) চিত্রায়ন ॥
নাগরিক সমাজের বক্ষ ভেদ করে যাই এপিঠ ওপিঠ
মনোহারী গাড়ির চাকায় দারিদ্রকে পিষ্ট করে;
প্লাষ্টিক ইমালশন করা মুখ-গুলো সব অভিনব শিষ্টাচারে
অশোভন ভদ্রতায় প্রতিযোগী, যেন মাংসাসী চতুষ্পদ;
সেই মাংসের খেলা শেষেও উচ্ছিষ্ট খেয়ে মানুষ (!) হয়েছি আমি
জেনেছি অভাবনীয় প্রাচুর্যের কত জঘন্য প্রয়োজন ॥
হাইড্র্যান্ট খুলে উন্মত্ত পৈশাচিকতার স্বাদ নিয়ে-----
নারী পুরুষের এইসব ছলাকলায় মিশে গেলাম অনুষঙ্গ হয়ে;
তবু স্মৃতি ও কথা বলে -শুব্ধ প্রেম ছিল এক, সৃজনী হৃদয়ে....
আজ সময়ের প্রয়োজন মিটিয়ে সাক্ষী হলাম
অবজ্ঞা-করুণা আর কথিত ! ভালবাসার
দেখালে বিধাতা; পবিত্র (!)ভালবাসার কি অদ্ভুত আয়োজন ॥
শান্তি’র লক্ষ্যে ঘোষিত যুব্ধ আর দুর্বলে শক্তিমানের নির্লজ্জ অবদমন,
বিধাতার রুষ্ট প্রতিঘাতে সৃষ্ট দুর্যোগেও নিক্ষিপ্ত থেকে
দেখেছি তোমাদের সভ্যতায় ক্ষুধা ও মৃত্যুর কি অপূর্ব সম্মিলন !
সেই ভালবাসার গালে চপেটাঘাত করে, নিরাশ্রিতের স্বজন-সম্ভ্রম হারানোর হাহাকার।
তবুও চলছে এক নিয়মেই জাগতিক সভ্যতা....
আর নিরব দর্শকের ভূমিকায় মহাজাগতিক ভালবাসা ॥