আরও একটা বারের জন্য পুরো শহরটা আঁধারে ঢেকে গেল-
কিশোরী ভুলানো জোছনায় আহ্লাদী প্রেম ছাদের এমাথা থেকে ওমাথায় গড়াগড়ি খেয়ে-
চুপচাপ ভঙ্গিতে প্রেমিকারা শ্যাওলা ধরা বারান্দায়- চোখের কাজল ভেজাল.
হলুদ জোছনার প্লাবনে পুরোনো শহরটা ভেসে গেলেই,
শহরের রাস্তায় রাস্তায় বিভ্রান্ত,ব্যার্থ কবিরা বলে উঠল-
অন্ধকারের জয় হোক.
আমিও তাদের সাথে ছিলাম.
হেঁটে চলে গিয়েছিলাম শহরের সবচেয়ে বড় দেয়ালটায়.
হাজারে হাজারে মানুষ অন্ধকারে আমার চারপাশে জড় হয়,
ধুসর জোছনায় তারা দেয়াল দেখিয়ে বলে-
-কবি,কবিতা লেখ.
-আমারটা আগে লিখবে,আমারটা আগে.
হিংস্র হিংস্র তাদের মুখাব্যাক্তি,হাতে দা,বটি রক্তাক্ত ছুরি.
আমি ভয় পেয়ে সেদিন দেয়ালে কবিতা লিখিনি,
একটা শয়তানের মুখ এঁকে দিলাম.
কারেন্ট চলে এলে-
আমি তাদের দিকে চাইলাম,
তাদের মুখের নিস্পাপ ভালোমানুষী দেখে শয়তানও লজ্জা পাবে.
আমার বেখেয়ালে ছেড়ে দেওয়া সিগারেটের ধোঁয়ায়-
বোধহয় লজ্জাতেই,
ডাষ্টবিনে বসা দাঁড়কাকটা উড়ে চলে গেল.