অভিমানী বালিকাটা অবুঝ বালকটাকে খুব জ্বালাতন করতো। অবুঝ বালক খুব বিরক্ত- এত বার করে ফোন করে কান ঝালাপালা করে দেয় অভিমানী বালিকা। আবার অবুঝ বালক বিরক্ত হলেও তার অভিমান হয়।
এমনি একদিন খুব অভিমান করে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিল অভিমানী বালিকা। অবুঝ বালক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। যাক বাবা, বাঁচা গেল। কেউ আর কানের কাছে যখন তখন বকবক করবেনা।
কিন্তু একি, অবুঝ বালকের কি হল ! তার যে ইদানিং খুব বিরক্ত হতে মন চায় ! সে চায়- কেউ একজন সারাক্ষণ তাকে জ্বালাতন করুক, যখন তখন তার খবর নিক, মাঝরাতে মেসেজ পাঠিয়ে ঘুম ভাঙ্গাক।
কিন্তু কেউ আর তাকে বিরক্ত করেনা, সময়ে অসময়ে ফোনটা আর আগের মত বেজে ওঠেনা। কেউ জিজ্ঞেস করেনা অবুঝ বালক খেয়েছে কিনা, পড়াশোনা করেছে নাকি ফাঁকি দিয়েছে, মন খারাপ কিনা কিংবা শরীরটা ভাল তো !
অবুঝ বালক মুঠোফোন হাতে নিয়ে বসে থাকে আর ভাবে- অভিমানী বালিকা কি জানেনা যে- সে অবুঝ বালক? সে কেন তবু অভিমান করে?
কিন্তু অবুঝ বালক এইসব কিছুই অভিমানী বালিকাকে বুঝতে দেয়না।
কিছুদিন পর অভিমানী বালিকার অভিমান ভাঙ্গে। আবার সে আগের মত অবুঝ বালককে জালাতন শুরু করে। আর অবুঝ বালক আবার তাতে বিরক্ত হয়।
খুব অদ্ভুদ, তাই না??
কিন্তু, এভাবেই চলতে থাকে তাদের দিন.........